আমরা সারাদিন কত কাজ করি,কত জায়গায় যাই,কত কিছু খাই,কিন্তু কখনো কি আমাদের শরীরের দিকে তাকাই।সুস্থ আমরা সবাই থাকতে চাই কিন্তু তার জন্য যে কাজ গুলো করা দরকার তা কি আমরা করি?করি না।খুব সহজ কিছু কথা মাথায় রেখে যদি আমরা চলতে পারি তাহলে খুব সহজেই খুব জটিল কিছু রোগ থেকে আমরা বাচতে পারি।খুব সহজ,একটু চেষ্টা করেই দেখুন না।
প্রচুর পানি পান করুন :
একটু খেয়াল করলে দেখবেন যেদিন আপনি পানি একটু কম খাবেন আপনার প্রস্রাব কম
আর হলুদ হচ্ছে।কখনো কি চিন্তা করেছেন কেন হয় এমন? পানি কম খেলে শরীরে পানির ঘাটতি হয়।এই ঘাটতি পূরন করার জন্য কিডনী পানি ধরে রাখে ফলে প্রস্রাব কম হয়। এতে শরীর থেকে দূষিত পদার্থগুলো পুরোপুরি নিষ্কাষন হতে পারে না।ফলে এগুলো শরীরে জমা হয় এবং ধীরে ধীরে কিডনীর নিষ্কাষন ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।এমনকি দীর্ঘদিন এমন চলতে থাকলে একসময় কিডনী পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওার সম্ভাবনা থাকে।তাই প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করুন।কিডনীর সমস্যা থেকে আপনি অনেকটাই নিরাপদ থাকতে পারবেন।
কাঁচা লবন খাবেন না :
খবারে লবন এমনিতেই একটু কম খাওয়া ভাল।আর সবচেয়ে বেশী ক্ষতিকর হল কাঁচা লবন।লবন শরীরে পানি ধরে রাখে, ফলে উচ্চ রক্তচাপ হয়।এ উচ্চ রক্তচাপের বিপরীতে কজ করতে হয় বলে হৃৎপিন্ডের দেয়ালগুলো মোটা হয়ে যায়।যার সর্বশেষ পরিণতি হার্ট ফেইলার।তাই কাঁচা লবন পরিহার করে উচ্চ রক্তচাপ এবং হৃদরোগ থেকে আমরা বাচতে পারি অতি সহজেই।
শাক সবজি আর ফল খান প্রতিদিন একটু করে :
ফাস্টফুড আর চাইনিজ খাবারের এই যুগে শাক সবজি আমাদের খাবার টেবিলে এখন একটু কমই থাকে।কিন্তু প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটু সবজি আর কিছু মৌসুমী ফল কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, কোলন ক্যান্সারের মত কষ্টকর আর জীবনঘাতী রোগগুলো থেকে আমাদের অনেকটাই দূরে রাখতে পারে।শুধু তাই না ভিটামিনের অভাব পুরন আর ওজন কমাতেও এই খাবার গুলোর গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা আছে।
ডাক্তারের পরামর্ষ ছাড়া ঔষধ খাবেন না :
ইদানিং মানুষের একটা প্রবণতা খুব বেশী লক্ষ্য করি একটু মাথাব্যাথায় প্যারাসিটামল, ব্যাথা একটু পেলেই পেইনকিলার আর জ্বর না আসতেই এন্টিবায়োটিক খায়।কিন্তু কখনো কি কেউ চিন্তা করে সব পেইন কিলার কিডনীর ক্ষতি করে আর প্যারাসিটামল নষ্ট করে লিভার?আর এন্টিবায়োটিক এর যথেচ্ছ ব্যবহারে তৈরী হচ্ছে রেজিস্টেন্স। মাথাব্যাথা
করছে একটু রেস্ট নিয়েই দেখুন না কিংবা ফ্রেশ একটা ঘুম।অল্প স্বল্প ব্যাথা না হয় সহ্য করলেন।জর,সে তো ভাইরস জনিতও হতে পারে।৫-৭ দিনে হয়ত এমনি ভাল হয়ে যাবে। কথায় আছে "Time Is The Best Medicine."।একান্তই ঔষধ খেতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই খান।
লাল মাংস কম খাবেন :
লাল মাংস বলতে বোঝায় গরু, ছাগল, মোয ইত্যাদির মাংস।আমাদের শরীরে প্রতিদিন প্রচুর প্রোটিন প্রয়োজন।মাংস প্রোটিনের একটি ভাল উৎস।কিন্তু লাল মাংসে কোলেস্টেরল বেশী থাকায় তা হৃদরোগের ঝুকি বাড়ায়।মাছ একটু বেশী খাবার অভ্যাস করেই দেখুন না।মাংস একান্তই না ছাড়তে পারলে মুরগী বা হাসের মাংস খান।মুরগীর মাংসে কোলেস্টেরল কম থাকে।
ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন :
একজন হিন্দু অর্থোপেডিক সার্জনকে বলতে শুনেছি কেউ যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমত পড়ে তবে তার কখনো জয়েন্ট পেইন হবে না।মুসলমান হিসেবে এটা তো আমাদের অবশ্য কর্তব্যের মধ্য পড়ে।তাছাড়া শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললেই আমরা বাচতে পারি এইডস, সিফিলিস, গনোরিয়ার মত ভয়ঙ্কর রোগ গুলো থেকে।
একটু সতর্কতা, একটু নিয়মানুবর্তিতা আমাদেরকে সুস্থ নীরোগ শরীর উপহার দিতে পারে।আর কেবলমাত্র শরীর সুস্থ থকলেই আপনি আপনার কাজগুলো মনযোগ দিয়ে করতে পারবেন।
আমার লিখটি পড়ে একজন পাঠকও যদি উপকৃত হন আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে মনে করব।