somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এক শেষ না হওয়া ভালোবাসার গল্প

১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১)
রিহান এর মনটা খুব খারাপ। আজ তার কলেজ জীবনের প্রথম দিন কিন্তু তারপর ও তার মন কিছুতেই ভালো নেই। বহু বছর যাবৎ রিহান শুধু এই দিনটার অপেক্ষা করেই আসছে কবে সে কলেজে উঠবে, বাধাঁধরা নিয়ম এর বেড়াজাল পেরিয়ে কবে নীল আকাশে ডানা মেলবে। কিন্তু আজ যখন সত্যিই সে কলেজে উঠে গিয়েছে তখন তার মনে ওই সব কথা আর সামান্য প্রভাবও ফেলছে না। সব কিছুই তার কাছে এখন অর্থহীন মনে হচ্ছে। বন্ধু ছাড়া এ জীবন কি কারও কাছে ভাল লাগে? রিহান যে বন্ধুশুন্য ব্যাপারটা তা না কিন্তু আজ সে তার সবচেয়ে ভাল বন্ধুগুলোকে ছেড়ে সম্পূর্ণ নতুন একটা পরিবেশে নতুন মানুষের মাঝে এসে পড়েছে। এতে অবশ্য রিহান এর কোন দোষ নেই। রিহান এর বাবা’র বদলীর চাকুরী আর এবার তার বদলী হয়েছে ঢাকায়। বলা যায় অনেক তদবির এর পর ছেলেকে ভালো একটা জায়গায় পড়াশুনা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তার বাবাকে প্রায় কান্নাকাটি করে ঢাকায় বদলী হতে হয়েছে। এ নিয়ে রিহান যে খুব সন্তুষ্ট তা কিন্তু না কারণ বদ্ধ জীবন তার একদমই ভালো লাগে না। আর তা যদি হয় ঢাকার মত কোন জায়গা তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। শুরুতে একদমই অখুশি থাকলেও বাবা’র ধমকে রিহান চুপ হয়ে গেছে।
ঢাকার বাসায় রিহানরা উঠেছে মাত্র দিন-দুয়েক হল কিন্তু এর মাঝেও তার মনে হতে লাগলো যেন বহুদিন সে এই বদ্ধ খাঁচায় আটকা পড়ে আছে। বাবা একদিন সাথে নিয়ে বের হয়েছিল। এই একবার ই তারপর আর আকাশ দেখা হয়নি ওর। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে রিহান ভাবে তার বন্ধুগুলোর কথা, যাদের সাথে তার বড় হওয়া, নিত্যনতুন জিনিস শেখা, বাদরামী, আরো কত কী? রিহানের মনে পড়ে যায় সেই দিনগুলোর কথা যখন ওদের যন্ত্রনায় পুরো এলাকাটা অতিষ্ঠ হয়ে থাকত। প্রতিদিন একটা না একটা বাঁদরামি তাদের করতে হতই।তারপর দিন শেষে বাবা-চাচার হাতে পিটুনি খেয়ে পড়তে বসা। এভাবেই দিন কেটে যেত ওর। কিন্তু বাবার বদলীটা দিল সব ওলট পালট করে। ভাবতে ভাবতে চোখ দিয়ে পানি পড়ে রিহানের।
“কি নাম তোমার ?”, পাশেই বসা সুন্দর করে এক ছেলে জিজ্ঞাস করে রিহানকে।
“আমি রিহান, তুমি?”
” আমি অভ্র, কোন স্কুলে ছিলা তুমি?”
” আমি কিশোরগঞ্জের, নবকুমার হাই স্কুলের ছাত্র ”
” ও! আমি আইডিয়াল এ ছিলাম, তা তোমার স্কুলের আর কেউ নেই এখানে? ”
“নাহ”, অনেকটা কষ্ট নিয়েই উত্তরটা দেয় রিহান।” তোমার?”
“হুম, আমার স্কুলের অনেকেই আছে , কিন্তু বন্ধু বলতে কেউ নেই, আমার আসলে কখন বন্ধু ছিলই না।”
“মানে? এটা কেমন কথা? বন্ধু ছিল না কেন? ” রিহান বিস্মিত।
“আসলে আমি একটু একা থাকতে পছন্দ করি, তোমাকে একা দেখে মনে হল কিছুক্ষণ কথা বলে যাই, তাই আসলাম।আমি বন্ধুত্ব জিনিসটা পছন্দ করি না।” বলেই চলে গেল অভ্র।
অবাক দৃষ্টিতে অভ্রর দিকে তাকিয়ে থাকে রিহান।

২)
ডায়েরী লেখা রিহানের অন্যতম শখগুলোর একটি, একদিনও ও লিখতে বসতে ভুল করে না, আজ ও রিহান ডায়েরী লিখতে বসেছে, তবে কোন এক কারণে ও খুব বিস্মিত!
২৯.০৯.২০০৯
“আজ অবাক করা এক ছেলের দেখা পেলাম,তার নাকি বন্ধুত্ব ভালো লাগে না!! পাগল নাকি ছেলেটা? নাকি আসলেই বন্ধুত্ব বলতে কিছু নেই? এই যে আমিও তো আজ প্রায় বন্ধুশুণ্য , এভাবেই মনে হয় মানুষ এক সময় খুব একা হয়ে যায়, তাই তো! আসলেই তো! নাহ ধুর কি ভাবছি! বন্ধু ছাড়া মানুষ হয় নাকি? ধুর অভ্র ছেলেটা মনে হয় আমার সাথে মজা করেছে, হুম তাই হবে! ধুর বাদ দেই! ভালো কথা আজ না কলেজে আমার প্রায় ২-৩ জন বন্ধু হয়ে গেছে, রানা, মাসুদ, আকাশ! তবে ক্লাসের মেয়েগুলোর সাথে কথা বলি নাই, এদের থেকে ১০ হাত দূরে থাকুন !
শেষ কথাটা লিখতে গিয়ে নিজে নিজেই হাসতে থাকে রিহান। তারপর আরও কিছুক্ষণ অতীতের দিন গুলোর কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে ও।
“এই রিহান! রিহান! উঠবি?, নাকি দিব পানি ঢেলে?” মায়ের মুখে পানি ঢালার কথা শুনে লাফ দিয়ে উঠে বসে রিহান। সে ভাল করেই জানে যে আর এক মুহূর্ত দেরি করলে সকালের গোসলটা তাকে বিছানাতে সারতে হবে। ” আম্মু, আর একটু ঘুমাই না?” রিহানের গলায় আহ্লাদি সুর। ” হুম , অনেক ঘুমিয়েছ বাপধন এবার ওঠ, আর দেখ গিয়ে ড্রইংরুমে তোমার বান্ধবী এসে বসে আছে তোমার সাথে কলেজে যাবে বলে ” আম্মুর মুখে দুষ্টামির হাসি । “আমার বান্ধবী! মা, তুমি কি পাগল নাকি? ঘুমাতে দিবানা ভালো কথা তাই বলে অযথা আমার নামে মিথ্যা বলা ঠিক না” রিহান রাগ করে বাথরুমে চলে যায়। ফ্রেস হয়ে যেই না রিহান ড্রইং রুমে ঢুকেছে ওমনি যেন তার মাথায় ধপাস করে আকাশ ভেঙ্গে পড়ল!! ” আরে এ তো দেখি সত্যিই আমাদের কলেজের মেয়ে!! এখানে কি করে???” মনে মনে ভাবে রিহান, আর অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মেয়েটার দিকে!
“হুম, শুনছিস ও ফারিহা, আমদের পাশের বাসায়ই থাকে, তোর কলেজেই তো পড়ে! আজ সকালে ওর মা এসেছিল বলল, ওর বাবা মাকে হুট করে গ্রামের বাড়ি যেতে হবে, কিন্তু ফারিহার তো কলেজ আছে, কিভাবে কি করবে বুঝতে পারছিল না, এমন সময় ফারিহাই তোর কথা বলল তুই ও নাকি ওর সাথে এক কলেজে পড়িস! তাই ওর মা বলল আজ যেন তুই আর ও এক সাথে কলেজে যাস, আমি ভাবলাম ঠিক ই তো আছে তুই এখানে নতুন , একজন ক্লাসমেট ও পেয়ে গেলি, আর খুব বেশি খারাপ লাগলে ওর সাথে গল্প গুজব ও করতে পারলি।”
” হুম গল্প না ছাই! এমনিতেই নতুন আসছি তার উপর একটা মেয়ের সাথে একসাথে কলেজে গেলে মান সম্মান টা আর থাকবে না” বিড়বিড় করে রিহান। ” কিরে কিছু বললি?” “নাহ কই? ”
রিহান আর ফারিহা রিক্সায় বসে আছে, ১০ মিনিট হয়ে গেছে দুইজনই চুপ। শেষ পর্যন্ত ফারিহাই মুখ খুলল ” ওই মিয়া চুপ করে আছ কেন? আর তোমার নাম টা অদ্ভুত না? রিহান! এইটা কোন নাম হল? আমরা কালকে এই নাম নিয়ে যা হাসাহাসি করলাম,” বলতে বলতে হাসতে শুরু করে ফারিহা। ” মানে? অদ্ভুত মানে? অদ্ভুতের কি হল এখানে? আর হাসার ই বা কি দেখলা তোমরা, আর আমার নাম নিয়ে তোমরা হাসার কে? ” রাগ হয় রিহান। ” আজব তো হাসব না কি কাঁদব? আর আসলে আমাদের এক বান্ধবীর নাম রিহা, আমরা ডাকি ” হাড়ি” , কাল তোমার নাম শোনার পর ওকে সবাই বললাম এই দেখ তোর জামাই ” ন হাড়ি ” বলেই আবার হাসতে থাকে ও! ” ধ্যাত ” রিহান আরও রেগে যায়।
কলেজ গেট থেকে প্রায় অনেকটা সামনে রিক্সা থামায় রিহান, বন্ধুরা দেখে ফেললে, আর রক্ষা নাই, কলেজে টেকাই মুশকিল হয়ে যাবে!
ক্লাসে সুমন স্যার বাংলা ক্লাস নিচ্ছেন, তিনি “হৈমন্তী” পড়াচ্ছেন। স্যার যতবারি অপুর কথা বলেন, ফারিহা আড় চোখে ১ম বেঞ্চের কোনায় বসা ছেলেটার দিকে তাকিয়ে থাকে, তার মনে হয় এই তার ” অপু” , তার ” মুহিব”, ভাবতে ভাবতে কোথায় যেন হারিয়ে যায় সে। কিন্তু কোণায় বসে থাকা ছেলেটার এই দিকে কি কোন খেয়াল আছে? সে ক্লাসের সবচেয়ে বড় বিদ্বান, সব কয়টা ক্লাসেই সে হা করে স্যারদের কথা গিলে আর তা যদি হয় সুমন স্যারের বাংলা ক্লাস তাহলে তো আর কোন কথাই নে, মন্ত্রমুগ্ধের মত স্যারের কথা শুনতে থাকে সে। সে আর কেউ নয় আমাদের
” অভ্র “।

৩)
অভ্রর বয়স তখন তিন ছুই ছুই, হঠাৎ এক রোড এক্সিডেন্টে মা মারা যায় ওর, তার পর বেশ কয়েক বছর ও ওর বাবার সাথেই ছিল, কিন্তু ওর বয়স যখন ৬ তখন ওর বাবা আবার নতুন করে বিয়ে করেন, ঘরে নতুন মাকে ও কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না, এমন না যে নতুন মা খুব খারাপ ছিল কিন্তু অভ্র তার মাকে ছাড়া আর কাউকে মা বলে ডাকতে পারবে না । তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই ওকে ওর ফুফুর বাসায় রেখে আসেন অভ্রর বাবা। অভ্র বড় হয়েছে ওর ফুফুদের কাছেই। ওর আর একজন ফুফাত ভাই আছে যিনি আমেরিকায় থাকেন, তাই বাসায় শুধু অভ্র আর ওর ফুফা-ফুফু। এই অভ্র কোনদিন ক্লাসে ২য় হয়নি, ২য় যে হত তার চেয়ে অভ্র’র নম্বর থাকত অনেক বেশি, তাই স্কুলের টিচারদের কাছে সে প্রিয় ছাত্রই ছিল, কিন্তু বিপত্তি ঘটে কলেজে এসে, কলেজের পরীক্ষায় রিহানের সাথে কিছুতেই পারছেনা সে, গ্রামের এক ছেলে, ও এসে ধাম করে তার এত বছরের ১ম স্থানটা নিয়ে নিল তা চিন্তাই করলে গা কাটা দিয়ে ওঠে অভ্রর, তারপর আবার সে টার্ম ফাইনাল এবার ৩য় হয়েছে, ২য় হয়েছে ওই ফারিহা নামের বদ মেয়েটা। ও প্রায়ই খেয়াল করেছে মেয়েটা তার দিকে তাকিয়ে থাকে, বেয়াদপ টাইপের মেয়ে, অভ্র মেয়েদের দুই চোখে দেখতে পারে না।
এদিকে ফারিহা আর রিহানের মাঝে বেশ ভাল একটা বন্ধুত্ব হয়ে গেছে, কিভাবে হল তারা নিজেরাও জানে না, তবে জানে তারা এখন খুবই ভাল বন্ধু, রিহানের কোন নোট লাগলে ফারিহা তাকে সাহায্য করে আবার রিহান ও খুবই হেল্পফুল ফারিহার জন্য, ক্লাসের ছেলে-মেয়েদের অনেকেই এই বন্ধুত্বকে অন্য নাম দিয়ে চালিয়ে দিতে চায় কিন্তু রিহান বা ফারিহা কখনই এটা স্বীকার করে না। স্বীকার করারই বা কি আছে সত্যিই তো তারা বন্ধু ছাড়া আর কিছুই নয়। ওরা বুঝে না , মানুষ এত আজব কেন হয়, একটু সম্পর্ক ভাল তা বলে কি প্রেম করতে হবে নাকি??
“ এই রিহান শোন ”, অভ্র ডাকে রিহান কে,
“হুম, অভ্র বল, কিছু লাগবে তোর?
“না , লাগবে না তেমন কিছু,উমম একটা সাহায্য চাই ,করবি?”
“ আজব তো, বল না তুই”
“মানে, মানে, তোর কাছে ফারিহার নাম্বারটা হবে?”
“ফারিহার নাম্বার!!! মানে?? এটা তুই বলসিস অভ্র!! মামা!! হুম হুম ব্যাপারটা কি??”
“আরেহ না, ফারিহা , মিজান স্যার এর কাছে পড়ে তো, তাই ওর কাছ থেকে মিজান স্যার এর কিছু নোট নিতাম”
“ও! তাই বল, নাহলে আমি ভাবলাম..”
“না, না, আমি ভাই ভালো মানুষ” ,মিষ্টি একটা হাসি দেয় অভ্র।
আজ রাতে ফারিহাকে ফোন দিবে অভ্র, ওর কাছ থেকে জেনে নিবে কিভাবে রিহান এত ভাল করে, মেয়েরা একটু বোকা টাইপের হয়,ও বুঝবেই না অভ্র কেন ওকে ফোন দিয়েছে, ভাববে যে ওকেই বোধহয় দাম দিচ্ছে! মনে মনে হাসে অভ্র।
রাত ১২টা ৩৬ মিনিট, ফারিহা ফোন হাতে নিয়ে বসে আছে, রিহান আজ ওকে বলেছে অভ্র নাকি তার কাছ থেকে ওর নাম্বার নিয়েছে, ফারিহার ধারনা আজ রাতেই অভ্র ফোন দিবে, তার “ মুহিব” তাকে ফোন করবে, প্রথমবারের মত কথা বলবে! ভাবতেই ফারিহার কেমন জানি লাগে! “আচ্ছা অভ্র কেন ফোন করবে? ও কি আমাকে? নাহ ধুর ও যেই একটা আস্ত আঁতেল ! ওই টা আবার ভালবাসতে পারে নাকি?’
ভাবতে থাকে ফারিহা। এমন সময় ফোনটা বেজে ওঠে ওর “অভ্র” ! রিহান এর কাছ থেকে আগেই অভ্রর নাম্বার নিয়ে রেখেছিল সে, এখন তাকে এমন ভাবে কথা বলতে হবে যেন সে আসলে জানে না কে ফোন করেছে..
“হ্যালো”
“হ্যালো, ফারিহা?”
“আপনি কে বলছেন?” ফারিহার গলাটা কেপে উঠছে
“আমি অভ্র, তোমাদের কলেজেই পড়ি”
“ অভ্র! ও আচ্ছা অভ্র! ওই যে বলদ মার্কা ছেলেটা , ১ম বেঞ্চের কোনায় বসে যে সবসময়?”অনেক কষ্টে হাসি আটকিয়ে রাখে ফারিহা,
“হুম, আমি সেই কিন্তু আমি যে বলদ তা আমি জানতাম না” মৃদু হাসে অভ্র
“হুম তো এত রাতে ফোন দিয়েছ কেন?”
“ না , মানে এমনেই, মানে তুমি মিজান স্যার এর কাছে পড় না?”
“হুম পড়ি তো?”
“ না , আমার কিছু নোট দরকার ছিল”
“তা ওইটা কলেজে বলা যায় না? এত রাতে ফোন দেওয়ার মানে কি” বলেই ফারিহা বুঝতে পারল কাজটা ঠিক হল না।
“ না মানে, তাহলে রাখি, পরে কথা হবে” বলেই রেখে দিল অভ্র,
‘ ধুর আমি একটা বলদের ঘরে বলদ, এত ভাব মারার দরকার কি ছিল! এখন যদি আর কোনদিন ফোন না দেয় অভ্র, হায় হায় ধুর ছাই” নিজেকে মনে মনে বক্তে থাকে ফারিহা। এমন সময় আবার ফোন আসে , এবার রিহান,
“ হ্যালো, ফারিহা,কিরে ঘুমাস নাই?”
“না রে এখন ঘুমাব”
“হুম, তাহলে ঘুমা, তো কাল কয়টায় থাকবি কলেজে?”
“ ওই ১১ টায় ই থাকব”
“ আচ্ছা, রাখি তাহলে ভাল থাক” বলে রেখে দেয় রিহান, আজ কাল তার খুব বাজে একটা অভ্যাস হয়েছে, ফারিহাকে না বলে রাতে ঘুমাতে যেতে পারেনা সে, কেন জানি ওকে বলেই যেতে হয় রিহানের, এর অর্থ কী? রিহান জানে না, রাতে ডায়েরী লিখে ঘুমিয়ে পরে ও।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই আগস্ট, ২০১৬ সকাল ১১:৩১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাফসান দ্য ছোট ভাই এর এক আউডি গাড়ি আপনাদের হৃদয় অশান্ত কইরা ফেলল!

লিখেছেন ব্রাত্য রাইসু, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের প্রতি আপনাদের ঈর্ষার কোনো কারণ দেখি না।

আউডি গাড়ি কিনছে ইনফ্লুয়েন্সার হইয়া, তো তার বাবা ঋণখেলাপী কিনা এই লইয়া এখন আপনারা নিজেদের অক্ষমতারে জাস্টিফাই করতে নামছেন!

এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঁচতে হয় নিজের কাছে!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৮

চলুন নৈতিকতা বিষয়ক দুইটি সমস্যা তুলে ধরি। দুটিই গল্প। প্রথম গল্পটি দি প্যারবল অব দ্যা সাধু।  লিখেছেন বোয়েন ম্যাককয়। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ জার্নালের ১৯৮৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর সংখ্যায়। গল্পটা সংক্ষেপে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×