আমাদের দেশের সুনামধণ্য ছাত্র সংগঠন, আমাদের সোনার ছেলেরা, আমাদের করের টাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে থাকে। আমাদের দেশের গর্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রাজনীতির সাথে জড়িত সোনার ছেলেদের দিয়ে নোংরা রাজনীতি করেন । তাদের নিয়ে খারাপ বুদ্ধি পরামর্শ করে থাকে । তাই তাদের আসল চেহারা ছাত্রদের নিকট প্রকাশ পায় । তাদের সাথে নিয়ে মদ, সিগারেট পান করে থাকে । আবার বিপক্ষ দলকে কিভাবে মারতে হবে সেই পরামর্শ দিয়ে থাকে । শুধু তাই না তাদের একদলের লোক হলে ও রাজনীতির কারণে, শিক্ষকের পোষ্টের রাজনীতি কারণে অন্য শিক্ষককে বা ছাত্রকে মারার পরিকল্পনা করেন । আর এই ছাত্ররা যখন বেকে বসে, তখন তাদেরকে মারতে ও আপত্তি থাকে না ।
আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, আমার মনে পড়ে, একদিন হলের নিচের বারিন্দায় হাটাহাটি করছি, তখন লান্ডলাইন টেলিফোন সিস্টেম ছিল (মোবাইল ছিল না), তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক (বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাধাক্ষ্য) ফোন করে বিপরীত রাজনীতির একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের নেতাকে চাচ্ছে । আমি নিচে ছিলাম বলে আমি ফোনটা পিকআপ করি, দারোয়ানকে বললাম নেতাকে খোজে দিতে । আমার মনে সন্দেহ হল, উনি কি করে, বিপরীত রাজনীতির একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের নেতাকে খোজছেন, তার কিছুদিন পরে দেখতে পেলাম অনেক আন্দোলনের ফল গড়িয়ে উপাধাক্ষ্য বিদায় নিলেন আর যে ফোন করলেন সে উপাধাক্ষ্য হলেন ।
তাই আমরা দেখতে পাই আজকে যে শিক্ষকরা রাজনীতির নামে নোংরা খেলায় মেতে উঠেছে, তারই প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই । কুইনিন জ্বর ছাড়াবে বটে, কুইনিন (রিয়েক্শান হলে) ছাড়বে কে???? আর কুত্তালীগ থেকে এর চাইতে আর ভাল কিছু আশা করা যায় না ।
নিচের টুকু কপি পেষ্ট ।
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপর ফের ছাত্রলীগের হামলায় ৩০ শিক্ষক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। আহত শিক্ষকদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্সা কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আজ বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি ও কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সম্মিলিত শিক্ষক সমিতির আহ্বানে আজ সকাল ১০ টা থেকে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করে শিক্ষকরা। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারর সভাপতি সামসুজ্জামান তুহীনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ক্যাম্পসে মিছিল নিয়ে প্রবেশ করে ধর্মঘটরত শিক্ষকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। ছাত্রলীগ ও বহিরাগতদের এই আকস্মিক হামলায় ৩০ জন শিক্ষক আহত হন।
এসময় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. আবুল আহসান চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. রুহুল কে এম সালেহ,শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এম ইয়াকুব আলী,
প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান,ড. নজিবুর হক ও ড. মিজানুর রহমানসহ কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষক।
এদের মধ্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এম ইয়াকুব আলী, প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান, ড. আবুল আহসান চৌধুরী, ড. নজিবুর হক ও ড. মিজানুর রহমানের অবস্থা গুরুতর।
ছাত্রলীগ এ সময় ক্যাম্পসে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ভাংচুর ও শিক্ষকদের উপর এ হামলার সময় ক্যাম্পাসে পুলিশ থাকলেও তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
পরে শিক্ষকরা আত্মরক্ষার জন্য গাড়িতে উঠতে গেলে তাদের গাড়িতেও ইট-পাটকেল ছোড়ে ছাত্রলীগ। বর্তমানে ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৭