হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জোরালো অভিযোগ উঠেছে। ঢাকার মানুষ একটি বিষয়ে একমত, হাসিনা-সরকার কিছুতেই মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে পারছে না। এদিকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাতে ইসলামি, জাতীয় পার্টি সব দল এখন মাঠে। রাজনীতির উত্তাপে শীতও কামড় বসাতে পারছে না ঢাকায়
ভারতের কলকাতা থেকে প্রকাশিত আনন্দবাজার পত্রিকায় আজ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
আনন্দবাজার তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, “নয়া দিল্লির রেস কোর্স রোডের ৭ নম্বর বাড়ি থেকে ঢাকার গণভবনের দূরত্ব প্রায় দেড় হাজার কিলোমিটার। অথচ ঢাকায় এসে মনে হচ্ছে, দুই বাড়ির বাসিন্দার ভাবনাচিন্তা এখন একই খাতে বইছে। আগামী এক-দেড় বছরের মধ্যেই দু’জনকে মানুষের রায়ের মুখোমুখি হতে হবে। দুই সরকারের বিরুদ্ধেই জোরালো অভিযোগ দুর্নীতি ও মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্র্ত্রণে ব্যর্থতা। আবার আর্থিক সংস্কার ও উন্নয়নেই জোর দিচ্ছেন মনমোহন সিংহ ও শেখ হাসিনা, দু’দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীই। দুই রাজধানী শহরের ছবিটা অবশ্য আলাদা। আগামী লোকসভা নির্বাচনের কত দেরি, তা দিল্লিতে পা দিয়েই কারও পক্ষে বোঝা কঠিন। আর ঢাকায় বছর ঘুরলেই নির্বাচন। যুদ্ধের দামামা বেজে গেছে। নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাতে ইসলামি, জাতীয় পার্টি সবাই এখন মাঠে। রাজনীতির উত্তাপে শীতও কামড় বসাতে পারছে না ঢাকায়।”
আনন্দবাজার আরও লিখেছে, “সামনের শক্ত চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখেই শাসক আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী দলগুলির জোট আশা করছে, নির্বাচনের আগে তিস্তা চুক্তি সই হলে নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা আদায় করা যাবে। অন্যদিকে তথ্য-সমপ্রচারমন্ত্রী, শরিক দল জাসদ-এর নেতা হাসানুল হক ইনুর মতে, ‘ঘরোয়া রাজনীতিই ঠিক করবে, ভোটের ফল। তবে তিস্তা চুক্তি সই হলে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি হত। মনমোহন সিংহের সফরকে বাংলাদেশে মানুষ খুবই ইতিবাচক দিক হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ফরাক্কার পরে তিস্তা-চুক্তি দু’দেশের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মাইল-ফলক হতে পারত।’
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “দুর্নীতি, কালো টাকা নিয়ে বিতর্কও পুরোমাত্রায় উপস্থিত। বিশ্বব্যাঙ্কের টাকায় পদ্মা নদীর ওপরে সেতু প্রকল্পে হাসিনা-সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুই প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। দেখেশুনে মনে হয়, দিল্লি ও ঢাকার চরিত্রগুলো আলাদা হলেও রাজনৈতিক তরজার বিষয় একই। আর সেই কারণেই যেন ফারাক মুছে গিয়েছে দিল্লির ৭ নম্বর রেস কোর্স রোডের সঙ্গে ঢাকার গণভবনের।"
কপি পেষ্ট করা ।
সু