এসেছে রমজান মাস।আমাদের সাওম পালন যেন শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে।সাওমের শিক্ষা হল অনাহারী দুঃখীদের কষ্ট অনুধাবন করা,সংযমের সাধনা।
অথচ আমদের বেশিরভাগ শুধু খাওয়া-দাওয়ার সংযম মানি,কিন্তু অন্যান্য সংযমের ব্যাপারে উদাসীন।চারপাশের খুব কম মানুষকেই দেখি যারা দৃষ্টি,শ্রবন,কথা,চিন্তা-ভাবনা,ব্যবহার সবকিছুতেই সংযমের চর্চা করে সাথে সাওম পালন করে।কিন্তু,আমাদের ধর্মীয় বিধানে বলা হয় নি শুধু না খেয়ে থাকলেই রোজা হয়।
রমজান মাস আসলে নির্লজ্জের মত অনেকেই মেতে ওঠে বিভিন্ন খাবার-দাবারের রেসিপি নিয়ে।ইফতারের নানা বাহারি আয়োজন আর অপচয়,পাল্লা দিয়ে টিভি চ্যানেলগুলোর মজাদার দামি রেসিপিতে ডিনার আর সেহরির মেন্যু নিয়ে ব্যস্ত থাকা যেন রমজানের একটা স্বাভাবিক ব্যাপার।রমজান মাস আসলে অনেকের ওজন বেড়ে যায়!!আর সারাবছর তো বটেই এই রমজান মাসেও অনেক গরীব-দুঃখী না খেয়ে থাকে,ঠিক মত ইফতার আর সেহরি করতে পারে না! ... অথচ কিনা রমজানের প্রকৃত শিক্ষা হল সাওম পালনের মাধ্যমে এসব অনাহারীদের দুঃখ অনুধাবন ও লাঘব করা।
রমজান মাসে বোধকরি প্রকৃত সংযমের পরিচয় দেয় আমাদের ব্যবসায়ী মহল,দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে,ইফতারি সহ নানা আইটেমে ভেজাল(জিলাপিতে মবিল,পিঁয়াজিতে রং) মিশিয়ে,সিন্ডিকেট করে।সারা বিশ্বে উৎসবের মৌসুমে দ্রব্যের দাম কমে আর বাংলাদেশে বাড়ে।
রমজানের প্রকৃত শিক্ষা ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।