somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মুজিব রহমান
সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

বাঙালির যৌন তাড়না পর্ব- দুই

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পূর্ব প্রকাশের পর ... Click This Link

হুমায়ুন আজাদ লিখেছেন, ‘তিনি কখনো তাঁর পিতামাতাকে ভালবাসতে দেখেন নি’। খুব কম সংখ্যক সন্তানই আছেন যারা, পিতামাতাকে অন্তত চুমু খেতে দেখেছেন। নগ্ন অবস্থায় দেখেছেন এমন সন্তানের সংখ্যা আরো কম। যৌনমিলনরত অবস্থায় দেখেছেন এটা খুবই কম। এটা সামাজিক কারণে সন্তানরাও পছন্দ করেন না। তারাও সমাজের মতো ভাবে, অন্তত যৌনকর্মের মতো জঘণ্য কর্মের দ্বারা তাদের জন্ম হয়নি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যৌনতা কোন জঘণ্য কর্ম নয় এবং এই প্রক্রিয়াতেই তাদের জন্ম হয়েছে। একবার যৌনমিলনে কোটি কোটি শুক্রাণুর দৌড় প্রতিযোগিতায় একটি যদি সফল হয় তবেই জন্ম নেয় একটি সন্তান। হাজার হাজার দম্পতির সন্তান হয় না।
মানুষ সন্তান উৎপাদন করার মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বিয়ে বা প্রেম করে না। যদি যৌনতায় সুখ না থাকতো তাহলে পৃথিবী থেকে মানবজাতির বিলুপ্তিই নিশ্চিত ছিল। বিয়ের পরে সন্তান নেয়ার সামাজিক ও পারিবারিক চাপ থাকে। সেই সন্তানকে আদর করার চাপও থাকে। আমরা প্রায়শই দেশি মায়ের মৃত্যুর পরে পিতা যদি বিয়ে করে তবে সেই পিতা আগের ঘরের সন্তানদের বিভিন্নভাবে কষ্ট দেয়, অপছন্দ করে, নির্যাতন করে। আগের স্ত্রীর বেঁচে থাকাকালীন সময়ে সেই পিতারই অসাধারণ আচরণ সন্তানরা পেয়েছিল। এর একটাই ব্যাখ্যা হতে পারে- পরের স্ত্রীকে খুশি রাখতেই তিনি এটা করেন।
ভালবেসে প্রেম করে বিয়ে করেও বাঙালি সুখী হবে তার নিশ্চয়তা থাকে না। সুখী না হওয়ার অন্যতম কারণ হলো তাদের অসুখী যৌন জীবন। অসুখী যৌন জীবন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার ভালাবাসা দূর করে দেয়। যৌন অতৃপ্তি দুজনকেই পরস্পরের প্রতি ঘৃণা করতে শেখায়। যৌন অতৃপ্তিই পুরুষদের বাইরের নারীর প্রতি আকৃষ্ট করে তুলে। আবার নারীকেও পরকীয়ার দিকে ঠেলে দেয়।



বাঙালি নারী গর্ভ ধারণ করে, এটাকে তাঁর সীমাবদ্ধতা হিসাবেই দেখা হয়। এই সুযোগটাই নেয় পুরুষরা। ধর্ষিতা হলেই তাঁর জীবন শেষ হয়ে যায়। বিয়ে ছাড়া গর্ভবতী হলেতো সর্বনাশ। বাঙালি নারী হয়ে জন্মানো যেনো দুর্ভাগ্যের। বিয়ে ছাড়া নারীর যৌনতাকে মানা হয় না। নারীকে অবরোধ করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ছিল মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপে। সেইন্ট পল যৌন সঙ্গমকে পাপাচারই মনে করতেন। সেই ইউরোপিয়ান খৃস্টান সমাজ আজ নারীর স্বাধীনতা অনেকাংশেই নিশ্চিত করেছে। বাঙালিরা ধরে রেখেছে সেইন্ট পলের সেই মনোভাব। বৌদ্ধ, হিন্দু ও ইসলাম ধর্ম নারী-পুরুষের প্রেমকে সমর্থন করে না। ইসলাম তো অবিবাহিত নারীর মুখ দেখাই হারাম করেছে, প্রেমতো বহু দূরের কথা। হিন্দু ধর্মে নারীর ঋতুশ্রব হওয়ার সাথে সাথে বিয়ের কথা বলা হয়েছে। আর স্ত্রীতো দাসী। প্রেমের সুযোগ নেই। রবীন্দ্রনাথ বলি, লালন বলি, নিতাই বলি সকলেই ঈশ্বর প্রেমের কথাই বলেছেন।
সাংবাদিক ওরিয়ানা ফাল্লীচির ‘লেটার টু এ চাইন্ড নেভার বর্ণ’ এবং ঝুম্পা লাহিড়ীর ‘লো ল্যান্ড’ উপন্যাসে আমরা সিঙ্গেল মাদার দেখি। অর্থাৎ ভালবেসে গর্ভে সন্তান আনা এবং সন্তান আসার পরে সন্তানকে নিজের পরিচয়ে বড় করে তোলা। এখানে পিতার শুক্রাণু থাকলেও তাঁর পরবর্তী অস্তিত্ব থাকবে না। ওরিয়ানার বইটিতে অনাগত সন্তানটি গর্ভেই মারা যায় আর ঝুম্পার বইটিতে আমরা এমন এক শিশুকে জন্ম নিতে দেখি।
বাঙালি সমাজে ভালবাসাটাকে এখনো নিন্দার চোখে দেখা হয়। অধিকাংশ স্বামীই স্ত্রীকে এবং স্ত্রী স্বামীকে বিশেষ ভাবে দেখে বাসর ঘরেই। আজকাল বিয়ের আগে একটু আধটু কথা বলার সুযোগ মিলে। সারা জীবনের সঙ্গী নিজের জন্য কতটা যোগ্য অথবা মানসিকতার মিল আছে কিনা তা জানার সুযোগ হয় না। বাঙালির ধর্মও তীব্র ভাবেই যেহেতু ভালবাসার বিরোধী তাই ভালবাসার সুযোগ ও স্বীকৃতি থাকে না তেমন। ভালবাসাহীন যৌনতায় থাকে অতৃপ্তি। সেই অতৃপ্তি দূর করার পুরুষদের কৌশল হল, নিজেকে কাজে ডুবিয়ে রাখা আর নারীর কৌশল হলো ভারতীয় সিরিয়াল দেখা। অনেক পুরুষ যারা অন্য নারীতে আসক্ত হয়ে পরে তারা আবার স্ত্রীকে তুষ্ট রাখে বিভিন্ন উপঢৌকন দিয়ে। ধনীদের ক্ষেত্রে এসব নারীরা থাকে প্রাচুর্য্যের মধ্যে। তাদের কোন কাজ করতে হয় না গৃহে। অলঙ্কারে আচ্ছাদিত রাখে। কিছু তথাকথিত সামাজিক কাজ করে। কেউ কেউ আচ্ছন্ন হয়ে যায় ধর্মে।
নারী জাগরণের এক কালজয়ী উপন্যাস/নাটক হল ইবসেনের ‘ডলস হাউজ’। নায়িকা নোরা সুখেই ছিল স্বামীর সংসারে। কিন্তু সংসারকে তাঁর মনে হয় পুতুলের সংসার। তিনি নিজে পুতুলের সংসার থেকে বের হয়ে যান, স্বাবলম্বী হতে। ওখানেই মুক্তি। বাঙালি নারীর মুক্তিও ওখানেই।
আমাদের সকল ধর্ম প্রচারকেরই নারীর প্রতি এতো বিদ্বেষ কেনো? ধর্ম প্রচারকেরা সর্বোচ্চ সম্মানের আসনে বসেন বৃদ্ধ বয়সে। তখন তাদের যৌন কামনা থাকে না। তরুণরা চায় ভালবাসা, নারীর সান্নিধ্য। তাতে বৃদ্ধ প্রচারকের পক্ষে তরুণদের টানতে সমস্যা হয়। যদি নারীর কাছ থেকে তরুণদের সরিয়ে রাখা যায় তবেই না দল ভারী হবে। আবার সুন্দরী তরুণীরা যদি প্রেমের সুযোগ পায় তাহলে তারা কোন বৃদ্ধকেই ভালবাসবে না। তাহলে সুন্দরী তরুণীদের পেতে হলে লাগবে বহু ষড়যন্ত্র। তাই যৌনতার নিন্দা সর্বত্র। বাঙলায় তরুণীরা ভালবাসার বিষয় না থেকে হয়ে থাকছেন ভোগ্যবস'।



আমাদের এলাকার দুজন তীব্র গঞ্জিকা সেবির কথা শুনলাম যারা স্ত্রীকে ‘মা’ সম্বোধন করেছেন। বহু বছর আগে এক পৌঢ়ও স্ত্রীকে মা বলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তার ক্ষেত্রে স্ত্রী তালাকের ফতোয়াও হয়েছিল। এর মূল কারণ ছিল, গঞ্জিকা সেবনে তাদের যৌনশক্তি হ্রাস। গঞ্জিকা সেবিদের অনেকেই ভাববাদী এবং লালন ফকির বা অন্য মাজার দর্শনের অনুসারী। লালন নিজেও বিয়ে করেন নি এবং তার যে সঙ্গিনী বিশখা ছিলেন তার সাথে যৌন সম্পর্কেরও কোন নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায় না।
বাঙালির বিয়ে করার লক্ষ্য সন্তান জন্ম দেয়া নয়, ধর্মবিধি মতের পাপাচার বন্ধ করা। বাঙালি প্রেমিক প্রেমিকার চুমুকেও পাপাচার মনে করে আর গৃহকর্মীকে ধর্ষণ করাকে স্বাভাবিক মনে করে। ধর্ষণের মধ্যে প্রকৃত যৌনসুখ থাকার কথা নয়। পরিপূর্ণ যৌনসুখ অবশ্য বাঙালির কাছে পাপই। যৌনতা যে শিখতে হয় সেটা অভাবনীয়ই আমাদের কাছে। মাজারেও একসাথে নারী-পুরুষ নাচগান করে ঠিক তবে তাদের মধ্যে অবাধ যৌনাচারের তথ্য কিন্তু পাওয়া যায় না। তারা যৌনাচারকে অবদমনই করে।
অবিবাহিতদের জন্য যৌনসুখ গ্রহণ কি পাপ? সভ্য সমাজে পাপ নয়, পাপ পশ্চাৎপদ সমাজে। আমাদের বাঙালি সমাজে বহুগামী পুরুষও সতী স্ত্রী প্রত্যাশা করে। আমাদের এলাকার এক সিনিয়র ভাই ছিল বহুগামী। বিয়ের আগেই সে বহু নারীর সাথে বিয়ের কথা বলে, বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে যৌনকর্ম করেছে। একদিন এসে জানালেন, তাঁর স্ত্রীকে নিজে দেখেছেন, অন্য পুরুষের সাথে যৌনকর্ম করতে। হাতে নাতে ধরেছেন। কিন্তু হিন্দু সমাজে স্ত্রী তালাকের বিধান নাই। জনৈক আইনজীবী তাকে পরামর্শ দিয়েছেন, স্ত্রীকে এমনভাবে মারধর করতে যেন সে সংসার ছেড়ে চলে যায়। আমার কাছেও পরামর্শ নিতেই এসেছেন। আমি তাঁর জীবনে ঘটা অবৈধ যৌনতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বললাম, আপনিও করেছেন, বৌদীও করেছে কাটাকাটি। তাদের সংসার টিকে যায়। তবে বাঙালি সমাজে এ ধরনের ঘটনা খুবই কম।
মানুষ ছাড়াও সংসার বাঁধে কিছু পশুপাখিও। কবুতরকে দেখি, কিছু পাখি আছে, বানরজাতীয় কিছু প্রাণীও আছে যারা একজন সঙ্গীর প্রতিই বিশ্বস্ত থাকে। তবে কবুতরকেও দেখা যায় বিশ্বস্ততা ভঙ্গ করতে। মানুষ বিভিন্ন কারণে অবিশ্বস্ত হয়ে যায়। মুসলিম সমাজেও ধর্মীয় আইনে স্ত্রীর তালাক দেয়ার অধিকার থাকে না স্বাভাবিকভাবে। ফলে বাঙালি সমাজে পরস্পরকে তীব্রভাবে অপছন্দ করেও বৈবাহিক সম্পর্ক বজায় রাখে। আমাদের সাথে একটি সুন্দরী মেয়ে চাকরি করতেন। তিনি ঢাকায় তার বড় বোনের ফ্লাটে থাকেন। তিনি একদিন বলেছিলেন, সাত বছর যাবৎ তিনি বোনের বাসায় থাকেন। তিনি তার বোন এবং ভগ্নিপতিকে এই সাত বছরে কোন কথা বলতে দেখেন নি। মানে তাদের মধ্যে কোন যৌন সম্পর্কও নেই। বৈবাহিক সম্পর্কই টিকিয়ে রাখা হয়েছে সন্তানদের দিকে তাকিয়ে বা অন্য কোন কারণে। উন্নত দেশ হলে তারা নিঃসন্দেহেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতেন।
আমরা দেখি সমাজ যত সভ্য, বিচ্ছেদ তত বেশি। বাট্যান্ড রাসেল তাঁর ‘বিবাহ ও নৈতিকতা’ গ্রনে' লিখেছেন ‘পিতৃতান্ত্রিক প্রথা নারীকে দাসত্বে আবদ্ধ করেছে।’ নারীমুক্তি আন্দোলন যখন নারীর চোখ খুলে দেয় তখন তারা দাসত্বে আবদ্ধ থাকতে চান না। আমরা যারা গ্রামে বাস করি, দেখি এখানে ডিভোর্স খুবই কম হয়। একজন কৃষকের বা শ্রমিকের সংসার ভাঙ্গার সম্ভাবনা আরো কম থাকে। কারণ ঐ পরিবারে মেয়েরা উপার্জনক্ষম হন না ফলে তারা নিজেদের স্বাধীনতাও বুঝেন না। তারা ধরেই নেন, বিবাহিতা মানে স্বামীর অধীনে থাকা, স্বামীর মর্জি মতো থাকা। সচেতন সমাজে বিবাহ বিচ্ছেন হয় মূলত নারী তাঁর স্বাধীনতা/মুক্তিটা উপলব্ধি করে। এখানে যৌন আকর্ষণ গুরুত্বপূর্ণ, ঈর্ষাকাতরতাও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের রক্ষণশীল সমাজে যৌন শিক্ষা না থাকায় কেউই যৌন বিষয়ে অভিজ্ঞ থাকে না। তারা বিয়ে এমনকি প্রেমও করে প্রায়শই ভুল মানুষের সাথে। ফলে তাদের মধ্যে বিবাহিত জীবন এমনকি যৌনসঙ্গমও সুখের হয় না।


ঔপন্যাসিক জাকির তালুকদার ‘পিতৃগণ’ উপন্যাসে খুব ভালভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন মন্দিরে (হিন্দু/বৌদ্ধ) সেবাদাসিদের চরিত্র। মন্দিরের সেবাদাসি ছিল খুবই উৎফুল্ল এবং প্রভাববিস্তারকারী। সে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয় রাজনীতিতেও। সমাজের উচু পর্যায়ের লোকেরা আসে মন্দিরে, সেবাদাসির সাথে যৌনকর্ম করতে। ঘরের স্ত্রীর চেয়েও পুরুষের উপর বেশি প্রভাব বিস্তার করতো গণিকারা। বহু বিখ্যাত ব্যক্তিই সময় কাটাতেন গণিকালয়ে। আমাদের জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্রের গণিকালয়ে থাকার কথাও জানি আমরা। আগেতো প্রতিটি বড় বাজারেও গণিকালয় ছিল। আমাদের শ্রীনগর উপজেলা সদরেই ছিল দুটি- একটি বাজারে থাকা থানার কাছাকাছি অর্থাৎ ইসলামিয়া হোটেলের পেছনে খালের ঐপাড়ে, আরেকটি দেউলভোগে। দোহারের জয়পাড়াতেও একটি বড় পতিতালয় ছিল। দেশের বৃহত্তম ব্যবসা কেন্দ্র যেমন ছিল নারায়ণগঞ্জ তেমনি বৃহত্তম পতিতালয়ও ছিল নারায়ণগঞ্জের টান বাজারে। দেশের অন্যতম বৃহৎ নৌবন্দর যেমন ছিল গোয়ালন্দ তেমনি বৃহৎ একটি পতিতালয় ছিল সেখানে। অবশ্য টানবাজার বন্ধ হয়ে গেলেও, গোয়ালন্দের পতিতাপল্লী এখনো বর্তমান।
বাঙালি কোথাও ব্যবসা করতে গেলেই যেতো গণিকালয়ে। কর্মচারী যখন খরচের হিসাব দিতো সেখানে গণিকালয়ে গমণের খরচও তারা দিতে পারতো। এটাকে লেখা হতো লগি খরচ বলে। দূরদূরান্তে যারা দীর্ঘকাল চাকরি করতো তারাও যৌনক্ষুধা নিবারণ করতো পতিতালয়ে গিয়েই। সুন্দরী নারীর সাথে যৌনতা করার আর কোন সুযোগও সেকালে ছিল না পুরুষের। আজ মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের ইমামদের শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকাল নিয়ে অনেক খবর আসছে। আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু কেন তারা এমনটা করছেন? অনেক হুজুরেরই যৌন কামনা চরিতার্থ করার সুযোগ নেই। তারা স্ত্রীকে দূরে রেখে আসেন। বছরে এক আধবার সুযোগ পান স্ত্রীকে সান্নিধ্যে পাওয়ার। শরীরতো সেটা সহ্য করতে চায় না। অবদমিত যৌনতা স্বাভাবিক ভাবেই ফেটে বের হয়ে আসে। স্খলন ঘটিয়ে ফেলেন শিশুদের উপর। তাদের পক্ষেও একজন সুন্দরী যুবতীকে পটিয়ে বা প্রলোভনে ফেলে বা আরেকটি বিয়ে করে যৌনক্ষুধা নিবারণ করা সম্ভব হয় না। যৌনক্ষুধা নিবারণের জন্য শিশু ধর্ষণ/বলাৎকারের চেয়ে সমকামিতাই উত্তম। আমরা যেভাবেই দেখি না কেন, তাদের যৌনতা চাড়া দিবেই এবং তা থেকে নিষ্কৃতির চিন্তাও করতে হবে।
সেমিটিক ধর্ম (খৃস্টান, ইসলাম, ইহুদী) গণিকালয়ে গিয়ে বেশ্যাগমণ সমর্থন করে না। তাদের উপাসনালয়ে সেবাদাসি থাকারও সুযোগ নেই। তাদেরও বিকল্প রয়েছে। যেমন ইসলামে বহুগামীতার সুযোগ রয়েছে বহুবিবাহের সুযোগের মধ্যে। এমনকি দাসিদের ভোগ করার সুযোগও রয়েছে। পেগান (মূর্তি উপাসক) ধর্মে আবার সেবাদাসি সিস্টেম পুরুষের জন্য খুবই আকর্ষণীয় ছিল। তারা এর যথাযথা ব্যবহারও করেছেন। আমরা দেখেছি সমাজে কারো সুন্দরী কন্যা বেড়ে উঠলে পুরোহিতরা গিয়ে ওই কন্যার পিতাকে নির্দেশ দিতো, তোমার কন্যাকে দেবতাদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করো। আসলে দেবতাদের ভোগ করার সুযোগ থাকতো না, ভোগ করতো প্রভাবশালী পুরুষরাই। আমরা সারাদেশের পতিতালয়গুলো বন্ধের পেছনে ইসলামপন্থীদের ভূমিকা দেখি সবচেয়ে বেশি। তারা এটাকে অনৈসলামিক মনে করেন। পতিতাবৃত্তি পেশাকে কেউই শ্রদ্ধার চোখে দেখে না। ওখানে বহুরকম অনাচার ও অপকর্মও রয়েছে। যেমন- মাদক, সন্ত্রাস, যৌনরোগ ইত্যাদি।

১০
মানুষটি হইচই করে বিচার নিয়ে আসলো, তার মুরগীকে অমুক ধর্ষণ করেছে। মুরগীর কক কক শব্দ শুনে ভেবেছিলেন খাটাসে ধরেছে।
কি বিচার করবো? খুবই লজ্জিত হয়ে সটকে পড়লাম। গরু ছাগলের উপর উপগত হওয়ার কতা অনেকই শুনেছি। সম্প্রতি পত্রিকায় দেখলাম এক ছাগীর উপর জনৈক পুলিশ সদস্যের উপগত হওয়ার কথা। মাটির তৈরি হিন্দু দেবির উপরও উপগত হওয়ার প্রথম ঘটনা শুনি স্কুলে পড়ার সময়। জনৈক চোর রাতে মন্দিরে ঢুকে এ অপকর্ম করার সময় লোকজন দেখে ফেলে। ওই চোরকে পরে আরেক চুরির অভিযোগে আটক করতে সক্ষম হয়েছিলাম। সে স্বীকার করেছিল। সে গরু ছাগলের উপর উপগত হওয়ার কথাও স্বীকার করেছিল। বাঙালির অবস্থা এমন কেন? সম্প্রতি এক ফুটফুটে শিশুকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনা ব্যাপক তোলপাড় করেছে। বাংলাদেশে এক বছরে ৪শত শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। অপ্রকাশিত ঘটনা আরো বিপুল। বলাৎকারের কোন সীমা পরিসীমা নেই। ফতুল্লায় একজন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বারোটি শিশুকে ধারাবাহিক ধর্ষণ করেছেন। ময়মনসিংহে আরেক হুজুর আট শিশুকে। যৌন অতৃপ্তি বাঙালিকে যৌন উন্মাদে পরিণত করেছে।
কয়েকজন সিনিয়র ভাইর সাথে বাঙালির যৌন তাড়না নিয়ে আলোচনা করলাম। তাদের কাছ থেকে জানলাম, জাপানের যৌন জীবন সম্পর্কে। অনেক বাঙালি জাপানি নারীকে বিয়ে করে ওখানে থেকে যায়। শিঘ্রই বাঙালি তাদের যৌন দুর্বলতা বুঝে ফেলে এবং অনেকে যৌন ব্যর্থতার কারণে পালিয়ে চলে আসে। সিঙ্গাপুরে অনেক বাঙালি যৌনতা করতে গিয়ে সিংহভাগ আয় ব্যয় করে ফেলেন। কিন্তু শিঘ্র পতন বাঙালির দৈণ্যতা। তারা টাকা দিয়ে যৌনতা করে পাপবোধ নিয়ে। একজন শিক্ষক বললেন, তিনি জানতেন না কিভাবে সন্তান হয়। মনে করতেন, মলদ্বার দিয়েই সন্তান জন্ম নেয়। একজন বিশিষ্ট ব্যাংকার বললেন, তিনি মনে করতেন, মায়ের পেটে ডিম তৈরি হয়। এই যে শরীর সম্পর্কে না জানা এবং যৌন আকাঙ্ক্ষা নিবৃত্ত করতে না পারা বাঙালিকে বিকৃত মানসিকতার মানুষে পরিণত করেছে।

চলবে . . .
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৭
৪টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×