১। সরীসৃপের আগে কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর ফসিল খুঁজে পেলেই হল
ফসিল রেকর্ডে উভচর প্রাণীর উৎপত্তির আগে কোন সরীসৃপের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না আবার সরীসৃপের আগে কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর ফসিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন পর্যন্ত এমন কোন স্তরে এমন একটি অদ্ভুত ফসিল পাওয়া যায়নি। বিবর্তনকে ভুল প্রমাণ করতে গেলে আমাদের এই সহজ কাজটিই করতে হবে অর্থাৎ সরীসৃপের আগে কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর ফসিল খুঁজে বের করতে হবে।
২। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে মানুষের ফসিল পাওয়া গেলেই হল
মানুষ এক ধরনের বনমানুষ থেকে বিবর্তিত হয়েছে, এখন যদি দেখা যায় বন মানুষ জাতীয় প্রাইমেট তো দূরের কথা স্তন্যপায়ী প্রাণী উৎপন্ন হওয়ার অনেক আগে সেই ক্যামব্রিয়ান যুগেই মানুষের ফসিল পাওয়া যাচ্ছে তাহলেই বিবর্তনের তত্ত্ব ভেঙ্গে পড়বে। আমাদের এমন একটি ফসিল খুঁজে বের করতে হবে।
৩। এককোষী প্রাণীর আগে পেতে হবে মাছের ফসিল
এককোষী প্রাণী, বহুকোষী প্রাণী, মাছ, উভচর প্রাণী, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ফসিলগুলো তাদের বিবর্তনের ধারাবাহিক স্তর ছাড়া অন্য পূর্ববর্তী কোন স্তরে পাওয়া যায়নি। আমরা যদি এককোষী প্রাণীর চেয়ে আরো আগে একটি মাছের ফসিল পেয়ে যাই কিংবা একটি ছাগলের তাহলেই হবে।
৪। ম্যামথের সাথে একটি হাতিকে খুঁজে পেতে হবে
সাড়ে তিনশ কোটি বছর ধরে প্রাণের পরিবর্তন অনবরত ও আকস্মিকভাবে ঘটছে তার নিদর্শন পাই মাটির বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণির ফসিল থেকে। ম্যামথ আর ডাইনোসারদের আমরা পেয়েছি ফসিল থেকেই। ওই যুগের কোন প্রাণিই এখন পৃথিবীতে নেই। আবার উল্টোও বলতে পারি আজকের পৃথিবীর কোন প্রাণীই ডাইনোসদের যুগে ছিল না। একটি হাতিকেও আমরা ম্যামথদের সাথে চলতে দেখিনি, আজকের হাতিদের সাথে একটি ম্যামথও চলে না। যদি কোনভাবে ম্যামথদের ফসিলের সাথে একটি হাতির দাঁতও পাওয়া যায় তবেই ভুল প্রমাণিত হবে বিবর্তনবাদ।
৫। প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল খুঁজে পেতে হবে
বিবর্তনের পক্ষে অন্যতম জোরালো প্রমাণ হল - কোন ফসিলই 'ভুল স্তরে' পাওয়া যায়নি। একবার বিজ্ঞানী জেবি এস হালডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কিভাবে বিবর্তনকে ভুল প্রমাণ করা যায়? তিনি উত্তরে হালডেন বলেছিলেন,
“কেউ যদি প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল খুঁজে পায়”। খরগোশ যেহেতু একটি পুরোপুরি স্তন্যপায়ী প্রাণী, সেহেতু সেটি বিবর্তিত হয়েছে অনেক পরে এবং বিভিন্ন ধাপে (মাছ থেকে উভচর, উভচর থেকে সরিসৃপ এবং সরিসৃপ থেকে শেষ পর্যন্ত খরগোশ), তাই এতে সময় লেগেছে বিস্তর। প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল পাওয়ার কথা নয়, কারণ বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী এ সময় (প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে) থাকার কথা কতকগুলো আদিম সরল প্রাণ – যেমন নীলাভ সবুজ শৈবাল, সায়নোব্যকটেরিয়া ইত্যাদি (ফসিল রেকর্ডও তাই বলছে)। আর স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছে ট্রায়োসিক যুগে (প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগ শেষ হওয়ার ৩০ কোটি বছর পরে)। কাজেই কেউ সেই প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল খুঁজে পেলে তা সাথে সাথেই বিবর্তনতত্ত্বকে নস্যাৎ করার জন্য যথেষ্ট হত।
মানুষ চেষ্টা করলে কি না পারে? অবশ্যই যেকোন একটা কিছু পাওয়া যাবেই। আসুন চেষ্টা করে বিবর্তনবাদকে ভুল প্রমাণ করে দেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৪