২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘটনাবহুল কিছু বির্তকিত বক্তব্য : যা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠে!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতাশা
প্রধানমন্ত্রীর আলোচিত মন্তব্য : গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। দেশের আলোচিত ও নির্মম এ হত্যাকান্ডের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ ফেব্রুয়ারি গণভবনে দলীয় এক অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা কী মানুষের বেডরুমে পুলিশ বসাতে পারব? সরকারের পক্ষে কারও বেডরুম পাহারা দেয়া সম্ভব নয়।
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি গণভবনে এক মতবিনিময় সভায় বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপনি এত অস্থির কেন? তত্ত্বাবধায়ক এলেই যে বিরোধীদলীয় নেতাকে চ্যাংদোলা করে ক্ষমতায় বসাবে তার গ্যারান্টি কী? ৭ মার্চ অনুরূপ আরেকটি মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে দলের শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়াকে কোলে তুলে নিয়ে ক্ষমতায় বসাবে না।
বিরোধী দলীয় নেতা আইএসআইয়ের (পাকিস্তানি সেনা গোয়েন্দা সংস্থা) কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ১৪ মার্চ এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশের কাছ থেকে টাকা নেন আপনি সেদেশেই চলে যান। পাকিস্তানের প্রতি আপনার এতই দরদ থাকে তো সেখানে চলে যান।
এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পরাজয় প্রসঙ্গ তুলে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যিনি (বেগম জিয়া) জীবনে কোনো দিন মাঠে যান না, সেদিন কেন গিয়েছিলেন? হঠাত্ করে তিনি ত্রিক্রকেটপ্রেমীই বা হয়ে গেলেন কেন? কাদের উত্সাহ দিতে তিনি মাঠে গিয়েছিলেন? তিনি যদি মাঠে না যেতেন তাহলে...। উল্লেখ্য, এই বক্তব্য দেয়ার দুদিন আগে মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দুই রানে পরাজিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া দুজনই ওই খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে যান।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইসিটি মন্ত্রী আবুল হোসেনকে দেশপ্রেমিক বলে আখ্যায়িত করেন। গত ২৬ জুলাই লন্ডনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, আবুল হোসেন প্রকৃত বড় দেশপ্রেমিক। দেশপ্রেম আর সত্ সাহস আছে বলেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
১৫ সেপ্টেম্বর দলের কার্যনিবাহী সংসদের বৈঠকে বিশিষ্ট সাংবাদিক এবিএম মূসার সমালোচনা করে তিনি বলেন, উনাকে (এবিএম মূসাকে) মিডিয়া (টিভি চ্যানেল) দিলে টাকা কোথায় পেতেন? চুরি করতেন না ভিক্ষা করতেন?
১১ অক্টোবর টকশোর আলোচকদের কড়া সমালোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে তো আমরা জানতাম—মধ্যরাতে সিঁধ কাটতে যায়। আর এখন মধ্যরাতে আমাদের গলা কাটতে ও ধ্বংস করতে যায়। ঘুম কামাই দিয়ে রাত জেগে টকশো করে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। পত্র-পত্রিকার মালিকদের চাহিদা পূরণ না হলেই তারা বেজার হয়ে যান এবং আমাদের বিরুদ্ধে অনেক কথাই লেখেন।
জুন মাসের ২ তারিখে গণভবনে শেখ হাসিনা বলেন, মিডিয়া সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই না করেই সরকারের বিরুদ্ধে লিখছে। এগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে না লিখলে, তাদের পেটের ভাতই হজম হয় না। সরকারের বিরুদ্ধে তাদের লিখতেই হবে।
এদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও কুইক রেন্টাল নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণ যাতে লোডশেডিংয়ের কথা ভুলে না যায় তারজন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে বিদ্যুত্ বিভাগকে বলেছি।
রামুর বৌদ্ধমন্দিরে হামলার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলায় একটা কথা আছে না—সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়ে। আমি বিএনপি নেত্রীকে বলব—আপনি সর্প হয়ে দংশন করেন আর ওঝা হয়ে ঝাড়েন। এই খেলাটা বন্ধ করেন।
গত ২০ ডিসেম্বর যশোরে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতার সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি তেল মারতেই ভারতে গিয়েছিলেন। উনি (খালেদা জিয়া) ক্ষমতায় থাকলে একেবারে ভারতপ্রীতি আর বিরোধীদলে থাকলে ভারত বিরোধিতা। ভারত সফরে গিয়ে টিপাইমুখে বাঁধ ও সীমান্ত হত্যার কথা ভুলে গিয়ে তেল মারায় ব্যস্ত ছিলেন।
এটাই হচ্ছে একটি দেশের সরকার প্রধানের বক্তব্য যা নতুন প্রজন্মকে আরো সামনে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে ।
আমাদের আশা, ২০১৩ সালটা সরকার দেশের জনগণকে আরো নতুন নতুন আশার বানী শুনাবেন। সেই বানীতে দেশের সাধারণ মানুষ নীল হয়ে যাবেন। সামনে সেই ভয়ংকর দিন হয়তো অপেক্ষা করছে।
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।