মাননীয় যোগাযোগমন্ত্রী (ওবায়দুলকাদের স্যার) ফাটাকেষ্টকে লিখছি....
আপনি চাইলেই একদিনের মধ্যে সমাধান দিতে পারেন...
প্রতিদিন বাসে উঠলেই দেখি কনডাক্টরের সাথে প্যাসেঞ্জারদের ঝগড়া লেগে আছে।
আর এই ঝগড়াটা মুলতঃ মিরপুরের বাসগুলোতেই বেশি।
ডাইরেক্ট বলে ভাড়া নিয়ে রাস্তায় কেন প্যাসেঞ্জার তুলবে???
মিরপুর-১০ থেকে উঠে যদি শ্যাওড়াপাড়া কিংবা শেরেবাংলা নগরও নামে তাকে কিন্তু ডাইরেক্ট ভাড়াটা দিতে হচ্ছে প্যাসেঞ্জারদের। আবার ফার্মগেট এসে কিছু যাত্রি নেমে যায় তখন সেখান থেকে কিছু প্যাসেঞ্জার ওঠে এরপর কাওরানবাজার থেকে কিছু ওঠে, বাংলা মটর ও শাহবাগ থেকে ওঠে তখন প্যাসেঞ্জাররা একেবারে ক্ষেপে যায়। মারামারি শুরু হয়ে যায়।
এখন বাস যদি মিরপুর থেকে সায়েদাবাদ বা যাত্রাবাড়ী চলে যায় মাঝে কোন ষ্টপিজ থেকে প্যাসেঞ্জার না তুলে।
তাহলে এই মাঝের স্টপিজের মানুষরা যাবে কি করে???
শেরোবাংলা নগর, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, বাংলামটর ও শাহবাগ এর প্যাসেঞ্জাররা কি বাসে উঠবে না????
তারপর কথা হচ্ছে
বাসের ভাড়া নিয়ে একেক কোম্পানীর বাস একে রকম ভাড়া নেয়!
নুন্যতম ভাড়া কত হওয়া উচিত!
কত কিলোমিটার গেলে কত হওয়া উচিত?
দুই কিলোমিটার গেলে ভাড়া কত হবে আর ৫ কিলোমিটার গেলে ভাড়া কত হবে????
এ ব্যাপারে নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছেনা।
নন এসি সকল বাস ডাইরেক্ট না করে লোকাল করে দিলে সকল ষ্টপিজের প্যাসেঞ্জারদের সুবিধা হয়।
নন এসি কোন বাসই ডাইরেক্ট থাকতে পারবেনা।
জনবহুল এই ঢাকা শহরে যে পরিমান মানুষ প্রতিদিন রাস্তায় বের হয় সে পরিমান গাড়ী নেই। তাছাড়া সিএনজি ভাড়া এতো বেশি হয়েছে, এতো বেশি। যেটা মাথায় নিলে মাথা ঘুরে যাবে। মানুষের ধরা ছোয়ার বাইরে চলে গেছে সিএনজি। কিছু মানুষ বাধ্য হয়ে এখন সিএনজি ব্যবহার করছে।
বাস মালিক যেন ভাড়া কম না পায় আর প্যাসেঞ্জারদের যেন ভাড়া বেশি দিতে না হয়! এ ব্যাপারে একটু চিন্তা করুন।
ফাটাকেষ্ট আপনার কাছে অনুরোধ..
আপনি বাস ও সিএনজি নিয়ে একটু ভাবুন।