আজ ফ্রান্সের জাতীয় দিবস। প্রতি বছর এই দিনে প্যারিসের শনজেলিজে এভিনিউ থেকে প্লাস দ্যো লা কনকর্ড পর্যন্ত থাকে দেশের সামরিক, আধা সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ ও সামরিক মহড়ার নানা আয়োজন।উপস্থিত থাকে দেশ বিদেশের সম্মানিত অতিথিবৃন্দ ।
এই আয়োজনে প্রধানত গুরুত্ব পেয়ে থাকে দেশের সামরিক বাহিনী। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় উদ্বুদ্ধ করার জন্যই এই আয়োজন।সাধারণত কুচকাওয়াজ শেষে প্লাস দ্যো লা কনকর্ড অতিথি মঞ্চের সামনে দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দাঁড়িয়ে মার্চপাস্ট প্রতিবেদনের ক্ষণিক সাক্ষাৎকারের জন্য অপেক্ষা করেন তিন বাহিনীর প্রধান। এভাবেই প্রতিবছর দেখি। কিন্তু এবার টিভি পর্দায় সরাসরি সম্প্রচারিত কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য সম্পন্ন ব্যতিক্রম মনে হল। ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাখোঁ’র মঞ্চের সামনে তার সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করছেন তিন বাহিনীর প্রধান, তাদের সঙ্গে আরও দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।তারা হচ্ছে, ডাক্তার, নার্স, রেস্টুরেন্ট, হোটেল এবং অন্যান্য পেশার পোশাক পরিহিত কয়েকজন বেসামরিক মানুষ। দেখে সত্যি অভিভূত হলাম। দেশের জনগণ দেশের জন্য কাজ করবে আর দেশের সরকার জনগণকে প্রকৃত মূল্যায়ন ও সম্মান প্রদর্শন করবে।এটাই নিয়ম। সেই মূল্যায়ন ও সম্মান এতটা উঁচু পর্যায়ের তাই ভেবেই মনে হয় দুই একজন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দকে অশ্রু ভেজা চোখে দেখা যাচ্ছিলো ।
করোনা শুধু কেরেই নেইনি , উপলব্ধির উন্মেষও ঘটিয়েছে। করোনার ভেতরদিয়ে পৃথিবীর রাষ্ট্র ব্যবস্থাগুলো অন্যান্য পেশার গুরুত্ব নতুন ভাবে উপলব্ধি করছে। তারই চিত্র মিলল আজকের বাস্তিল দিবসের অনুষ্ঠানে।
Vive la France et vive la république
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:০৩