হাদিউ্ল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ১ম বর্ষের টগবগে এক তরুণের নাম, আমাদের সবার প্রিয় হাদি। খেলার মাঠে , ডিসিপ্লিনের কোন অনুষ্ঠানে বা হলের কোন মিটিং এ বা খেলায় ১ম বর্ষের সবচেয়ে অগ্রগন্য ছেলেটি।শীতে শুরু হওয়া ব্যাডমিন্টন খেলার কোর্টে একটি অপ্রতিরোধ্য নাম।
সবই ঠিক ছিল ; কিন্তু তার সাথে দেশের অন্য আর দশটা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলের পার্থক্য হল সে দেশের তথাকথিত রাজনীতি(যদিও শিক্ষকদের মধ্যে নোংরা রাজনীতির কাদা ছোরাছোরি ঠিকই আছে) ও সেশনজটমুক্ত(!!!!) বিশ্ববিদ্যালয়ে (যদিও ফরেষ্ট্রি ও উড টেকনোলজি নামক ডিসিপ্লিনের ২০০৭ সালে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের চার বছ্ররের অনার্স কোর্সের ফলাফল প্রায় পাঁচ বছর হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও এখনো দেয়া হয়নি) পড়ে; যেখানে একজন ছাত্রের সম্মান একজন একজন ড্রাইভারের চেয়ে কোন অংশেই বেশি নয় বরং কম অন্তত শিক্ষকদের কাছে। আমি আমার কোন ক্ষোভ থেকে এই কথাগুলো বলছি না বিশ্ববিদ্যা্লয়ের সাম্প্রতিক সময়ের ঘটনাপ্রবাহই আমার কথার অকাট্য প্রমাণ। বাস শ্রমিকদের কাছে আহত কারও বিচার চাইতে গেলে শিক্ষকরা সাসপেন্ড করার হুমকি দেয়, আর লাঠি হাতে তুলে নিলে শ্রমিকদের পক্ষে চলে যায় অবলিলায়। যারা খুলনা বিশ্ববিদ্যা্লয়ে পড়াশুনা করেনি বা প্র্রকৃত পরিস্থিতি সম্বন্ধে জানেন না তারা আমার কথার মর্ম বুঝবেন না।
হাদির হত্যাকারী ড্রাইভারের বিচারের দাবীতে শিক্ষার্থীরা যখন রাজপথে তখন ড্রাইভার কে পালিয়ে যেতে সাহায্য করা শিক্ষকদের ভাষ্য হল 'ভিতরের সমস্যা ভিতরে গিয়ে সমাধান করতে হবে'।একজন ছাত্রের প্রাণ চলে গেলেও এটা তাদের কাছে ভি্তরের সমস্যা।
যার বাপধন বলে রাত ১২টা পযন্ত দাড় করিয়ে রেখে আর্মড পুলিশ লেলিয়ে দিতে পারে (এপ্রিল ২০১০) তাদের নিয়ে কিছু বলার নেই।কিন্তু এই লেখা শুধু নিজেকে ধিক্কার দেবার জন্য, গতকাল রাতে দেখা হওয়া হাদির হাসিমাখা মুখটি ভুলে থাকার জন্য। কিছুতেই ভুলতে পারছি না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




