somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৯"

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আফতাব বুঝতে পেরেছিল দ্বিতীয় দিনই যে সে তার আরাধ্য মেয়েটিকে পেয়ে গেছে। তনুর মনের অনেকখানি জুড়ে যে আফতাব বাসা বেধেঁ ফেলেছে তা সে তনুর প্রতিটা কথায় টের পেয়েছে। অবশেষে উপরওয়ালা তার মিনতি শুনেছে। তনুর সাথে ভালবাসার প্রহরগুলো কেটে যেতে থাকল অসম্ভব সুন্দর ভাবে। তনুর কলেজে ক্লাস শুরু হয়ে গেলো। এই ফাঁকে তনুর সাথে প্রায়ই দেখাও হতে থাকল। ছুটি পেলেই বাসায় চলে আসত আফতাব। সকালবেলা তনুর কলেজে যাবার আগে ফিজিক্স স্যারের বাসায় পড়া থাকত। তনু আগে থেকে বাসা থেকে বের হত আর স্যারের বাসার আশেপাশের সব গলিতে ও আর আফতাব হাত ধরে ঘুরে বেড়াত। সকালবেলা কলেজ ড্রেস পরে একটা মেয়ে একটা ছেলের হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকেই অদ্ভুত চোখে তাকাত। কিন্তু তনুর কোনো খেয়ালই থাকত না। পাশে যে তার মনের মানুষটি আছে। ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাওয়ার জন্য এতটুকু তার কাছে সামান্যই।
তনুর এই গোপন অভিসারগুলোর কথা কিন্তু মিতু জানতো না। আফতাবই নিষেধ করেছিল কাউকে ওদের কথা জানাতে। মিতুর কাছে মাঝে মাঝেই মিথ্যে বলতে হত তাই তনুকে। ব্যাপারটা তনুর কাছে ভালো লাগত না। কিন্তু আফতাবের জন্য সে এটাও মেনে নিয়েছিল। তনু আফতাবের সাথে কথা বললেই একবার না একবার মিতুর কথা উঠবেই। আফতাব কেনো জানি মিতুর কথা সহ্যই করতে পারত না। তনু অবাক হত, আবার ভালোও লাগত এই ভেবে যে আফতাব আসলে চায় না তনু ওকে ছাড়া আর কাউকে বেশি ভালোবাসুক। তবে তনু কিন্তু মিতুর সাথে সায়েম ভাইয়ার যা কথা হত তার সব জানত। লাইন ধরে সব না বললে মিতুর যেনো পেটের ভাতই হজম হত না।
সায়েমের আজকাল একটা অদ্ভুত অভ্যাস হয়ে গেছে। মন খারাপ থাকলেই কেনো জানি মিতুর কথা মনে পড়ে। মনে হয় এই মেয়েটার সাথে দু মিনিট কথা বললে হয়তো নিজেকে হালকা লাগবে। পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে। ভার্সিটি কোচিংয়ের জন্য সায়েম ঢাকা চলে গেলো। মিতুর সাথে এখন ওর প্রায়ই দেখা হয়। মিতুকে দেখলেই বুঝে ও যে মেয়েটা ওকে একনজর দেখার জন্য কেমন জানি পাগলের মত হয়ে থাকে। কিন্তু মিতুর প্রতি ওর তেমন কোনো আবেগই জন্মায় না। মনটা ওর এখনও রিমাতেই আটকে আছে। ওর খুব ক্লোজ বন্ধু তারেক জানে মিতু আর রিমার ব্যাপারটা। তারেক বলে, মিতু মেয়েটা আসলে ওকে পাগলের মতই ভালোবাসে। কিন্তু সায়েম মানতে পারে না। সায়েমের ধারণা এটা শুধুই মিতুর একটা পাগলামী , দুদিন পরই ঠিক হয়ে যাবে মিতু। আর ঢাকার মেয়েদের কাছে ছেলে পাওয়া কোনো ব্যাপারই না। মিতুর মতো মেয়েরা কখনও ভালোবাসতে পারে না। পারে শুধু ছেলে ঘুরাতে। কেনো জানি মিতুর চালচলন একটুও ভালো লাগে না সায়েমের। তা লাগবেই বা কেনো? সায়েমের মন তো আটকে আছে রিমাতে।
আজ সায়েমের এইচএসসির রেজাল্ট দিবে । বাবার এক বন্ধু বোর্ডে আছেন। তিনি আগেই জানিয়েছেন রেজাল্টটা ভালো হয় নাই সায়েমের। খব খারাপ লাগছে। রেজাল্টের জন্য ও ঢাকা থেকে এসেছে গতকাল। কিছুই ভালো লাগছে না ওর। কি সব জানি ভেবে ও মিতুকে ফোন দিল। ফোন ধরলো মিতুর ছোটো বোন, মিলা। মিলা গলা শুনেই বুঝলো সায়েম ভাই। ও বলল," আপুতো কলেজে । আসলে বলব আপনি ফোন করেছিলেন।" সায়েমের মনটা আরও খারাপ হয়ে গেলো। রিমাকে কি একটা কল দিবে? নাহ, এই মুখ নিয়ে ও কিভাবে রিমাকে ফোন করবে? খুব কান্না পাচ্ছে সায়েমের।

" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৮"
" দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ ৭"

(** রেগুলার হওয়ার চেষ্টা করছি। বেশি লিখার ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই।**)
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২

কারবারটা যেমন তেমন : ব্যাপারটা হইলো কি ???



আপনারা যারা আখাউড়ার কাছাকাছি বসবাস করে থাকেন
তবে এই কথাটা শুনেও থাকতে পারেন ।
আজকে তেমন একটি বাস্তব ঘটনা বলব !
আমরা সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×