
‘নায়ক’ ও ‘খলনায়ক’ ধারণা আমাদের কাছে কেমন? কীভাবে এই শব্দদুটি আমাদের মনে প্রভাব ফেলে? আমরা আমাদের জীবনে অনেক শব্দের সাথে পরিচিত হই। কিন্তু অধিকাংশ শব্দের ‘সংজ্ঞা’ আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়।
সাধারণত নায়ক হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি একটি নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে হঠাৎ জন্ম নেন এবং ঐ জাতিগোষ্ঠীর মতে তাদের সাথে ঘটে চলা অন্যায় কে প্রতিহত করেন। অন্যদিকে, খলনায়ক হলেন, যিনি ঐ নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর মতে তাদের সাথে অন্যায় করছেন।
‘নায়ক’ শব্দ শুনলে আমাদের মনে হয় একজন উদ্ধারকারী। যিনি নির্দিষ্ট বিপদ থেকে নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীকে উদ্ধার করেন। আর ঐ নির্দিষ্ট বিপদ সৃষ্টিকারী ব্যক্তি হলেন ‘খলনায়ক’। সাধারণত এই সংজ্ঞা-ই আমাদের মনে প্রথমে এসে থাকে। এবং আমরা একটি বাইনারি কাঠামোর মধ্যে প্রবেশ করি। আমরা মনে করি, আমাদের কে আমাদের বিপদ থেকে উদ্ধার করবার জন্য একদিন কোন এক ‘নায়ক’ আসবেন।
এই সংজ্ঞায় সবচেয়ে বড় সংকট হলো আমাদের আরো দুটি কঠিন শব্দের সংজ্ঞায় ফেলে দেওয়া। একটি হলো ‘ন্যায়’ ও আরেকটি হলো ‘অন্যায়’। কোনো ব্যক্তি যদি ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে সঠিক সংজ্ঞা জেনে যান তাহলে খুব সহজেই তিনি ‘নায়ক’ ও ‘খলনায়ক’ ধারণা বুঝতে পারবেন।
বিশেষ করে তিনি চিহ্নিত করতে পারবেন, কে নায়ক? আর কে খলনায়ক? আর কেন-ই-বা একই ব্যক্তি একই সাথে নায়ক ও খলনায়ক? অথবা, নায়ক ও খলনায়ক বলে কিছু আছে কি?
উদাহরণস্বরূপ: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা নিঃসন্দেহে আমাদের দৃষ্টিতে নায়ক। কিন্তু পাক-বাহিনীর কাছে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ খলনায়ক। ব্যক্তি একই। চব্বিশের আন্দোলনেও ঠিক তাই। চব্বিশের আন্দোলনে যে সরকারের পতন ঘটেছে তাদের কাছে চব্বিশের সবাই খলনায়ক। কিন্তু চব্বিশের পক্ষের শক্তি/জনগণের কাছে তারা নায়ক। এখানেও ব্যক্তি পরিবর্তন হচ্ছে না শুধুমাত্র কনটেক্সট পরিবর্তিত হয়ে চলেছে।
তাই এখানেই সবচেয়ে জটিল প্রশ্নের উদ্ভব ঘটে। আর সেটা হলো, ন্যায় কি? ও অন্যায় কি? আমরা কীভাবে তফাৎ করবো কোন সহিংসতা বৈধ এবং কোন সহিংসতা অবৈধ? কোন মৃত্যু শহীদের মৃত্যু? এবং কোন মৃত্যু একজন সন্ত্রাসীর মৃত্যু?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করতে গিয়ে আমরা দেখি, আসলে ‘ন্যায়’ বা ‘অন্যায়’ কখনোই কোনো স্থির, সার্বজনীন বা চিরন্তন সংজ্ঞায় বন্দি থাকে না। এগুলো সবসময়ই একটি নির্দিষ্ট ক্ষমতা-কাঠামোর ভেতর থেকে নির্ধারিত হয়। যে কাঠামোর হাতে ঐ ক্ষণে ক্ষমতা আছে, সেই ‘ন্যায়’-এর সংজ্ঞা তৈরি করে। ফলে নায়ক-খলনায়কের চিহ্নিত করাও সেই কাঠামোর ভেতরেই আবদ্ধ থাকে।
আমরা যদি ইতিহাসের পাতা উল্টাই, দেখব প্রায় প্রত্যেক বড় পরিবর্তনের পরেই পুরোনো খলনায়কেরা নতুন বইয়ের পাতায় নায়ক হয়ে উঠেছেন, আর পুরোনো নায়কেরা খলনায়ক। ১৯৪৭-এর দেশভাগ থেকে শুরু করে ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭৫-এর পরিবর্তন… এইসব প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজয়ী পক্ষই ‘ন্যায়’-এর মালিক বনে গেছেন।
এখানেই আমাদের আরেক ধাপ গভীরে যেতে হয়। প্রশ্ন করতে হয়, আদৌ কি ‘ন্যায়’ কোনো বাইরের থিওরি, কোনো ধর্মগ্রন্থ বা সংবিধানের ধারায় লিখিত শব্দমালা, নাকি এটি একটি জীবন্ত, সামাজিক প্রক্রিয়া? যদি তা-ই হয়, তবে ‘ন্যায়’ বলতে আমরা কী বুঝবো? সেটা নির্ধারণ করবে কারা?
উত্তরটি অস্বস্তিকর হতে পারে। যারা ঐ ক্ষণে প্রশ্ন করতে সাহস পায়, যারা কথা বলার জায়গা দখল করে, যারা নিজেদের দেহ রাস্তায় রেখে দেয় তারাই ‘ন্যায়’-এর অর্থকে প্রথমে বিক্ষত, পরে পুনর্গঠিত করে। ফলে নায়ক-খলনায়কের গল্প কখনোই ব্যক্তির গল্প নয়, এটি একটি সংগ্রামের গল্প যেখানে সংজ্ঞা দখলের যুদ্ধ চলে।
সুতরাং যখন আমরা বলি “এই সহিংসতা বৈধ, ওই সহিংসতা অবৈধ”, আমরা আসলে ক্ষমতার ভাষায় কথা বলছি। আমরা ভুলে যাই, প্রতিটি শহীদ-ই কারও কারও কাছে সন্ত্রাসী ছিলেন; প্রতিটি সন্ত্রাসী-ই কারও কারও কাছে শহীদ (এমনকি টেরোরিস্ট পর্যন্ত)। পার্থক্যটা তৈরি হয় কোন দলটি পরে ইতিহাস লেখার কলমটা হাতে পায়, কোন দলটি পরে রাষ্ট্রীয় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের বাজেট পায়, কোন দলটি পরে পাঠ্যপুস্তকে নিজের ছবি তুলে রাখতে পারে।
এই উপলব্ধি থেকে যদি আমরা আরেক ধাপ এগিয়ে যাই, তবে দেখবো, ‘নায়ক’ ও ‘খলনায়ক’ এই দ্বৈত ভাঙা সম্ভব। ভাঙা সম্ভব ‘ন্যায়’-এর মালিকানাও। তখন আমাদের কাজ হয়ে দাঁড়ায় প্রশ্ন চালু রাখা: কারা সংজ্ঞা দিচ্ছে? কারা সুবিধা পাচ্ছে? কারা বাদ পড়ছে? এই প্রশ্নগুলো যতদিন জিভে থাকবে, ততদিন কেউ একজন চূড়ান্ত নায়ক বা চূড়ান্ত খলনায়ক হয়ে উঠতে পারবে না।
আমার মতে, প্রতিটি আন্দোলন, প্রতিটি বিদ্রোহ, প্রতিটি ছোট্ট প্রতিরোধ সবই তখন ‘ন্যায়’-এর সংজ্ঞা পুনর্লিখনের একটি সুযোগ হয়ে থাকে।
কিন্তু এখান থেকেও কিছু গভীর প্রশ্ন উদিত হয়, ঐ মুহুর্তে যারা ক্ষমতায় ছিলেন এবং যাদের হাতে কলম ছিলো তারা সবাই কি পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন? বা, ক্ষমতার দেওয়া ন্যায়-অন্যায়ের নির্ধারিত সংজ্ঞা কি সবই ভুল? মানে সবসময় ক্ষমতা বা বিজয়ী দল করাপ্ট বা দুর্নীতির সাথে সমঝোতা করে চলেন?
না, “সবসময় ক্ষমতা বা বিজয়ী দল দুর্নীত” বলে কোনো আপ্তবাক্য নাই; কিন্তু ক্ষমতা যে সংজ্ঞা তৈরি করে সেটাই আপাত-সত্য হয়ে যায়। এই যান্ত্রিক বাস্তবতাকে অস্বীকার করার উপায়ও নাই।
দুটি ভিন্ন স্তরে কথাটা ভেঙে নিলে পরিষ্কার হয়,
১. ব্যক্তিগত পক্ষপাত বনাম কাঠামোগত পক্ষপাত
ইতিহাস লেখকেরা ব্যক্তিগতভাবে সৎ হতে পারেন, এমনকি বিজয়ী দলের ভেতরেও নিঃস্বার্থ মানুষ থাকে। কিন্তু কাঠামোটি? রাষ্ট্রীয় আর্কাইভ, টেক্সটবোর্ড, মিউজিয়াম, মিডিয়া ফান্ড একটা ছাঁচ তৈরি করে দেয়। সেই ছাঁচে ফেলনা ছাড়া উপায় থাকে না। ফলে সৎ লেখকও ‘সংযোজিত স্মৃতি’ আর ‘বাদ-পড়া স্মৃতি’র মধ্যে বাছাই করতে বাধ্য হন; নইলে তাঁর লেখা প্রকাশিত-ই হয় না। অতএব পক্ষপাতটা অনেক সময় অজ্ঞাতসারেই ঢুকে যায়।
২. ক্ষমতার সংজ্ঞা সবসময় ভুল, আমি এ কথা বলছি না; কিন্তু সেটা আংশিক, সময়-নির্ভর এবং প্রসারযোগ্য
১৯৭১-এ পাক-সেনাবাহিনীর সংজ্ঞায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ ছিল একটি ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার অভিযান’; আমাদের সংজ্ঞায় সেটি গণহত্যা। দুটির মধ্যে দ্বন্দ্ব কেবল ‘মিথ্যা বনাম সত্য’ নয়। দুটি ভিন্ন স্বার্থগোষ্ঠীর ‘সত্য-প্রয়োজন’। ক্ষমতা যে সংজ্ঞাটি চাপে সেটি হয়তো তাদের দৃষ্টিকোণে ন্যায্য; কিন্তু সেটি অন্য দৃষ্টিকোণে অবশ্যই অসম্পূর্ণ বা অমানবিক হতে পারে।
সুতরাং প্রশ্ন করাটা জরুরি: ‘ন্যায্য’ বলে দাবি করা সংজ্ঞাটি কার চোখ দিয়ে দেখা?
৩. বিজয়ীদের মধ্যেও ‘বিকল্প স্মৃতি’ টিকে থাকে। ক্ষমতা যতই একচেটিয়া হোক না কেন
পল্লীকবি জসীমউদ্দীন ১৯৪৮-এ ‘নায়ক’ হিসেবে পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদের পক্ষে কবিতা লিখেছিলেন; ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে সেই একই কবি ‘খলনায়ক’-এর কাতারে পড়েন নাই, কারণ ছাত্রসমাজ তাঁকে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে পড়েছে।
কথাটা হলো, ক্ষমতার সংজ্ঞা যতই দৃঢ় হোক, নিচু স্তরে, পাড়ায়, গ্রামে, ফোরামে বিকল্প বর্ণনা টিকে থাকে। সেগুলো হয়তো প্রথমে ‘গুজব’ বা ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে চলে; কিন্তু পরে বড় আন্দোলনের ইনপুট হয়। অতএব “ক্ষমতা সবসময় জিতে যায়” - এই কথাটি খণ্ডিত হলো।
৪. সৎ ক্ষমতা কীভাবে সম্ভব?
(ক) স্মৃতি-প্রতিষ্ঠানগুলোকে বহুতল ও বহু-পক্ষীয় রাখা: আর্কাইভে পরাজিত পক্ষের ডকুমেন্ট সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা।
(খ) পাঠ্যপুস্তক কমিটিতে সরাসরি বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিভিন্ন শ্রেণি-জাতি-ধর্মের প্রতিনিধি রাখা।
(গ) ট্রায়াল-রেকর্ড, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়, সত্য-উদঘাটন কমিশনের প্রতিবেদন খুলে রাখা। যাতে পরবর্তী প্রজন্ম সেগুলো পুনর্মূল্যায়ন করতে পারে।
(ঘ) নাগরিক সমাজকে রাষ্ট্রীয় অনুদানের বাইরে স্বাধীন গবেষণা-তহবিল দেওয়া; তাহলে ‘বিকল্প সংজ্ঞা’ টিকে থাকার সুযোগ পায়।
৫. সবশেষে ব্যক্তিগত নৈতিকতা
ক্ষমতায় থাকা মানুষটি যদি সচেতনভাবে নিজের সীমাবদ্ধ দৃষ্টিকোণ স্বীকার করেন, যদি বলেন যে, “এটি আমাদের পক্ষের সত্য, অন্য পক্ষের কথাও শুনুন”, তবে সেই ক্ষমতা কমপক্ষে “সম্ভাব্য ভুল”-এর দরজা খোলা রাখে। সেটিই হলো সৎ ক্ষমতা; যা নিজেকে চূড়ান্ত সত্য ভাবে না, প্রশ্নের মুখে নিজেকে রাখে।
কিন্তু আমাকে এখন শুরুর দিকের প্রশ্নের উত্তরে ফিরে যেতে হবে। আসলে নায়ক আর খলনায়ক কে হলো তবে?
নায়ক আর খলনায়ক কথা দুটো আমাদের মাথায় ঢুকে গেছে একেবারে শৈশব থেকেই, প্রায় জিনের মতো। কারণ স্কুলের বই, টিভির খবর, মায়ের গল্প, ঢালিউড ও বলিউড, রাজনৈতিক বক্তৃতা সবই বলে দেয় একজন আসবে, হাতে পতাকা নিয়ে, আমাদের সব দুঃখের সমাপ্তি ঘটবে।
আবার আরেকজন থাকবে, কালো পাঞ্জাবি পরা, চোখদুটো লাল, সে সব দুঃখের উৎস। এই সহজ ফর্মুলায় আমরা আশ্বাস পাই, বুঝতে সহজ হয়, পক্ষ নেওয়া যায়। কিন্তু ঠিক এখানেই লুকিয়ে আছে ফাঁদ। কারণ একই লোক আজ যে পতাকা হাতে দেখাচ্ছে, কাল সেই পতাকার রঙ বদলে গেলে সে হয়ে যাবে অপর পক্ষের চোখের বিষ।
সংজ্ঞা দুটো যে আসলে কাগজের তাস, সেটা বোঝা গেলে মনে হয় জমিন কাঁপছে।
ইতিহাসের পাতা উল্টালে দেখা যায়, সেই তাসগুলো বারবার ঘুরছে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় একজনকে এপারে বলা হলো নায়ক, ওপারে বলা হলো বিশ্বাসঘাতক। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের ছাত্রকে বাঙালী বলে ডাকা হলো বীর, কিন্তু সরকারি ফাইলে লেখা হলো দাঙ্গাবাজ।
একই রক্ত, একই কণ্ঠ, দুই ভিন্ন লেবেল। লেবেল লাগানোর মেশিনটির নাম ‘ক্ষমতা’। যে দল যখন প্রিন্টারের বোতাম চেপে ধরে, তার রংধনুতেই রঙ ছড়ায়। তাই ন্যায় আর অন্যায় কখনোই স্থির নয়, বরং জীবন্ত বিতর্কের নাম; যে বিতর্কে জিতলেই আপনি হিরো, হারলেই ভিলেন।
এখন আসি ব্যক্তিগত জীবনে। অফিসে আপনি যদি বসের অন্যায় নির্দেশের বিরুদ্ধে কথা তোলেন, তখন তোমার সহকর্মীরা আপনাকে দেখবে সাহসী নায়ক হিসেবে, বস দেখবে বিশৃঙ্খল খলনায়ক।
বাসায় সিদ্ধান্ত হলো চুরি করে বিদ্যুৎ বিল কমানো হবে; আপনি প্রতিবাদ করলেন, পরিবারের কাছে আপনি হয়ে গেলে নীতিবাদর খলনায়ক, প্রতিবেশীর চোখে নৈতিকতার নায়ক। এমনকি ফুটপাতে পলিথিন না ফেলার জন্য একজন রিকশাওয়ালাকে ধমক দিলে সে মুহূর্তে আপনি তার কাছে খলনায়ক, পরিবেশবাদী বন্ধুর কাছে নায়ক। অর্থাৎ তোমার চরিত্র নয়, তোমার অবস্থান আর সময়ই লেবেলটা ঠিক করে দেয়।
সুতরাং বুঝতে হবে, নায়ক বা খলনায়ক কোনো চিরস্থায়ী পরিচয় নয়; এ দুটি ভাড়া করা পোশাক, পরিস্থিতি বদলালেই খুলে ফেলা যায়। প্রশ্ন রাখা উচিত কতটা সহজে আমরা কাউকে জামা গায়ে তুলে দিই, আর নিজের ভেতরের ছোট ক্ষমতাটাও কখনো অজান্তে খলনায়কের মুখোশ পরে ফেলে কি না।
সতর্ক থাকলে দেখা যাবে, আসল নায়কত্ব হলো, লেবেল ছাড়া মানুষটিকে দেখার সাহস, আর আসল খলনায়কত্ব হলো নিজেকে চিরনায়ক ভাবার অহংকার।
Also Read It On: নায়ক বনাম খলনায়ক: ক্ষমতার লড়াই ও ইতিহাসের খণ্ডিত বয়ান
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




