somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরন শুধু লোক দেখানোর জন্যই মাত্র!!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরন আর রমজান মাসে খেজুর-জিলাপি বিতরনের প্রোগ্রামগুলো নিছক লোক দেখানো মাত্রই।
---জনৈক সুশীল

জনৈক সুশীল আরো বলেছেন ...সিজনাল হিপোক্রেসি গুলো বন্ধ করে গরমকালে 'এক-গ্লাস-পানি' এবং বছরের কোনো এক সময় 'এক থালা ডাল ভাত' এর প্রোগ্রাম চালু করা যেতে পারে।

বলি কি!এ কেমন নির্দেশনা দিলেন তিনি!সিজনাল হিপোক্রেসি বন্ধ করে সিজনাল হিপোক্রেসি চালুর অভিনব পদ্ধতি শিখাচ্ছেন যেন!

শীতবস্ত্র বিতরনের সাথে ডাল ভাতের প্রোগ্রামের আকাশ-জমিন ফারাক...
যারা শীতবস্ত্র বিতরন করে হয়তবা তারা লোক দেখানো কাজ করে না।হয়তবা তারা শুধু মানুষের শীতের দিনগুলোতে দূর্ভোগের কথা চিন্তা করেই এই কাজ করে।

একটা শীতবস্ত্র দিয়ে একটা মানুষের পুরো শীতকালের শীত নিবারন হয়।প্রায় আড়াই থেকে তিন মাস একটা শীতবস্ত্র কাজে লাগে।আর এক প্লেট ডাল ভাত একটা মানুষের একবেলার ক্ষুধা নিবারন করবে।

তাহলে কোনটা ভালো।একবেলা না খেয়ে থাকা নাকি ৩ মাস তীব্র শীতে কাপড় ছাড়া শীত নিবারন করা?হয়তবা আপনার জন্য একবেলা না খেয়ে থাকাটাই বেশি কষ্টের!

একটা উদাহরন দেই...।চলছে শীতকাল। এদেশের বিল,হাওড় ও বাওড়গুলোতে দেখা মিলবে নানান প্রজাতির অতিথি পাখির।

যদিওবা ৬০% পাখি এদেশেরই। মাত্র ৪০% পাখি বাইরে থেকে আসে।
এমনি মৌসুমেতো কখনো পাখি দেখতে বের হোন না তাই যখন শীতকালে এতগুলো পাখি চোখের সামনে দেখেন তখন সবগুলোই অতিথি পাখি মনে হয়।আর তখনি বন্দুক হাতে ছুটেন পাখি মারতে।

অবস্থা ঠিক এরকমি।শীতকালে শীতবস্ত্রে ইভেন্ট বেশি হয়।আর তাই সেটা চোখে পড়ে।চোখে পড়ার সাথে সাথে চোখ ঈর্ষায় জ্বলে ওঠে।চেতনায় আঘাত লাগে।তখন বলে উঠেন শীতকালে "একটি কম্বলঃ এক খন্ড উষ্ণতা" এ জাতীয় প্রজেক্ট তো অনেক দেখা যায়...এসব সিজনাল হিপোক্রেসি।

বছরে এক সিজিনে পাখি দেখতে গিয়ে আমাদের যেমন দেশি পাখি চিনতে সমস্যা হয় তেমন বছরে শুধু একবার চোখখুলে ঘরের বাইরের মানুষের দিকে তাকালে ঠিক বুঝে উঠা কঠিন হয় যে কোন মানুষের কোনটা বেশি প্রয়োজন!

আমার জানা মতে বছরে শীতবস্ত্রে ইভেন্টের থেকে এক_থালি_ভাতের ইভেন্ট বেশি হয়।একটূ চোখ খুললেই দেখতে পাবেন।

পানির ইভেন্ট নিয়ে কিছু বলা দরকার।
আপনি হয়তবা ভুলে গেছেন বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ।
যে দেশের ৮৯% মানুষ এখনো বিশুদ্ধ পানি পান করে।
সেই দেশে এই ধরনের ইভেন্ট শোভা পায়না।তবে এটা ঢাকার করলে শোভা পাবে।

জনাব সুশীল হয়তবা আপনার চিন্তা শুধু ঢাকার আশপাশেই ঘুরাঘুরি করছে।কিন্তু ভুলে যাবেননা ঢাকার বাইরেও বাংলাদেশ আছে...।অবস্থাটা এরকম--
গোসুল করিব,সাতার কাটিবো,মাথা ভিজাইবো না,
সত্যকে জানিয়া বুঝিয়া স্বীকার করিব না।

সত্যি কথা বলতে কি একটা কাজ করতে গিয়ে কাউরো সাহায্য পান না আর নাই বা পান।নিন্দুক পাবেনই।তবে কাজটা শেষ করেন এই নিন্দুকরাই সবার প্রথমে আপনার কাছে ছুটে আসবে বাহবা দেয়ার ক্রেডিটটা নেয়ার জন্য।যুগে যুগে নিন্দুকরা ছিল আছে থাকবে।

আর বর্তমান সময়ের নিন্দুক হলো সুশীল সমাজ।হাতে গোনা কয়েকজনকে পাওয়া যাবে যাদেরকে প্রকৃত অর্থে সুশীল বলা যায়।আর বাকিদের নিন্দুকের দলেই দিলাম।এরা একরোখা...এরা ভালোকে ভালো আর খারাপকে খারাপ বলার যোগ্যতা হারায় ফেলছে।

শেষ করার আগে...শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এর একটা লাইন মনে করায় দিই-"অতিকায় হস্তি লোপ পাইয়াছে কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে"।এই তেলাপোকা ড্রেনেও আছে টয়লেটেও আছে আবার ঘরের কোনাতেও আছে।দিনের আলোতেও একে দেখা যায় রাতেও দেখা যায়।এই দলটা থাকবেই।মলের মধ্যেও থাকবে মিষ্টির মধ্যেও থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×