একজন মানুষ নাস্তিক হলেও ভালো ব্যবহার, সৎ হওয়া, নৈতিকতা, মানবিকতা প্রকাশ করা এগুলোও ধর্মের অস্তিত্বের কারণে প্রকাশ পায়—
আমরা কেন সৎ হবো, মিথ্যা বলবো না, অন্যের অধিকার হরণ করবো না, খুন করবো না, নিজের ক্ষমতায় রাহাজানি করবো না, চুরি করবো না? কেন করি না বা করলেও অন্তরে অনুশোচনার ভাব ফুটতে দেখা যায়? ভয়ে থাকতে দেখা যায়? কোর্ট আদালতের শাসনের জন্য? হা হা। লোক লজ্জা, মা বাবার সম্মান নাকি অন্যকিছু? এই লোকলজ্জা, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, মান সম্মান, সম্পর্ক সবই ধর্মের ডিফাইন করা নিয়ম থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
ঈমানের মূলনীতির মধ্যে একটি বিশ্বাস হচ্ছে পরকাল যেখানে পৃথিবী ধ্বংসের পর সবাইকে জীবিত করে বিচার কার্য সম্পাদন করে জান্নাত জাহান্নাম দেয়া হবে৷ আমাদের মেইন কনসার্ন হচ্ছে এই পুনরুত্থান। নাস্তিক আস্তিক সবাই বিশ্বাস করে মৃত্যু অবধারিত। আস্তিক গোষ্ঠীর পরবর্তী জীবন নিয়ে বিশ্বাস আছে কিন্তু নাস্তিকদের নেই। যেহেতু তাদের পরকালে বিশ্বাস নেই তাদের ক্রিয়াকর্মের শাস্তি পুরষ্কারের আলোচনাও নেই। তাও কেন সে নিজের সচ্চরিত্রতা দেখায়? কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের পরকাল বিশ্বাস। নাস্তিককে চলতে হলে এদের মাঝেই চলতে হবে, কাজ করতে হবে, লেনদেন করতে হবে। এই কোর্ট আদালতের শাস্তির নমুনাও ধর্মের কারণে প্রচলিত। এখানে সে তার মনগড়া কাজ করতে গেলেই বাঁধার মধ্যে পড়বে। সমাজের মধ্যে তার চলা মুশকিল হয়ে যাবে৷
মানুষ সবসময় অন্যের মুখাপেক্ষী। নিজে যতই শক্তিধর হোক না কেন অন্যের উপর তাকে নির্ভর হতেই হবে৷ আমরা এটা বুঝার জন্য জাহেলিয়াতের যুগ, রাসুল(সঃ) এর সময়কাল এবং কিয়ামতের সময়কালের কথা চিন্তা করতে পারি৷ জাহেলিয়াতের সময় অধিকাংশই ধর্ম নিয়ে কনসার্ন ছিলনা। ইব্রাহিম (আঃ) এর ধর্মকে বিকৃত করে অন্যরকম করে ফেলেছিল। বলা যায় ক্ষমতা কেন্দ্রিক ধর্ম; নিজেদের ক্ষমতার বলে খোদা দাবী করা। পরকালের কনসেপ্ট ছিল না। এর দরুন সে সময়ের নিকৃষ্ট বর্ণনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তখন কারো সততা দেখানোর, মানবিকতার দরকার ছিল না কারণ তাদের সবাই-ই পরকালের শাস্তিকে অস্বীকার করতো। একই রকম লক্ষণ দেখা যাবে কেয়ামত পূর্ববর্তী সময়ে। ধর্মকে মানুষ ভুলে যাবে। চলবে আবার হত্যা লুন্ঠন রাহাজানি। পরকালের চিন্তা কারো কাছে থাকবে না। তাদের একটাই বিশ্বাস থাকবে মরে গেলে এখানেই সব শেষ।
(আপনার নিজের মতামত থাকলে জানাতে পারেন। এটা আমার নিজের চিন্তা থেকে লিখা)