somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিকরা সততা দেখায় কেন?

০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একজন মানুষ নাস্তিক হলেও ভালো ব্যবহার, সৎ হওয়া, নৈতিকতা, মানবিকতা প্রকাশ করা এগুলোও ধর্মের অস্তিত্বের কারণে প্রকাশ পায়—

আমরা কেন সৎ হবো, মিথ্যা বলবো না, অন্যের অধিকার হরণ করবো না, খুন করবো না, নিজের ক্ষমতায় রাহাজানি করবো না, চুরি করবো না? কেন করি না বা করলেও অন্তরে অনুশোচনার ভাব ফুটতে দেখা যায়? ভয়ে থাকতে দেখা যায়? কোর্ট আদালতের শাসনের জন্য? হা হা। লোক লজ্জা, মা বাবার সম্মান নাকি অন্যকিছু? এই লোকলজ্জা, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, মান সম্মান, সম্পর্ক সবই ধর্মের ডিফাইন করা নিয়ম থেকে সৃষ্টি হয়েছে।

ঈমানের মূলনীতির মধ্যে একটি বিশ্বাস হচ্ছে পরকাল যেখানে পৃথিবী ধ্বংসের পর সবাইকে জীবিত করে বিচার কার্য সম্পাদন করে জান্নাত জাহান্নাম দেয়া হবে৷ আমাদের মেইন কনসার্ন হচ্ছে এই পুনরুত্থান। নাস্তিক আস্তিক সবাই বিশ্বাস করে মৃত্যু অবধারিত। আস্তিক গোষ্ঠীর পরবর্তী জীবন নিয়ে বিশ্বাস আছে কিন্তু নাস্তিকদের নেই। যেহেতু তাদের পরকালে বিশ্বাস নেই তাদের ক্রিয়াকর্মের শাস্তি পুরষ্কারের আলোচনাও নেই। তাও কেন সে নিজের সচ্চরিত্রতা দেখায়? কারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের পরকাল বিশ্বাস। নাস্তিককে চলতে হলে এদের মাঝেই চলতে হবে, কাজ করতে হবে, লেনদেন করতে হবে। এই কোর্ট আদালতের শাস্তির নমুনাও ধর্মের কারণে প্রচলিত। এখানে সে তার মনগড়া কাজ করতে গেলেই বাঁধার মধ্যে পড়বে। সমাজের মধ্যে তার চলা মুশকিল হয়ে যাবে৷

মানুষ সবসময় অন্যের মুখাপেক্ষী। নিজে যতই শক্তিধর হোক না কেন অন্যের উপর তাকে নির্ভর হতেই হবে৷ আমরা এটা বুঝার জন্য জাহেলিয়াতের যুগ, রাসুল(সঃ) এর সময়কাল এবং কিয়ামতের সময়কালের কথা চিন্তা করতে পারি৷ জাহেলিয়াতের সময় অধিকাংশই ধর্ম নিয়ে কনসার্ন ছিলনা। ইব্রাহিম (আঃ) এর ধর্মকে বিকৃত করে অন্যরকম করে ফেলেছিল। বলা যায় ক্ষমতা কেন্দ্রিক ধর্ম; নিজেদের ক্ষমতার বলে খোদা দাবী করা। পরকালের কনসেপ্ট ছিল না। এর দরুন সে সময়ের নিকৃষ্ট বর্ণনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তখন কারো সততা দেখানোর, মানবিকতার দরকার ছিল না কারণ তাদের সবাই-ই পরকালের শাস্তিকে অস্বীকার করতো। একই রকম লক্ষণ দেখা যাবে কেয়ামত পূর্ববর্তী সময়ে। ধর্মকে মানুষ ভুলে যাবে। চলবে আবার হত্যা লুন্ঠন রাহাজানি। পরকালের চিন্তা কারো কাছে থাকবে না। তাদের একটাই বিশ্বাস থাকবে মরে গেলে এখানেই সব শেষ।
(আপনার নিজের মতামত থাকলে জানাতে পারেন। এটা আমার নিজের চিন্তা থেকে লিখা)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৮:১৪
১৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরিবি

লিখেছেন মৌন পাঠক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২১


চিত্রঃ অন্তর্জাল

গরিবি বা ফকিন্নি ও সেল করা যায়,
উহারে এনক্যাশ করা যায়।

সেই এনক্যাশমেন্টটা গরিব নিজেও সেল করতে পারে, আবার তার গরিবানারে অন্য কেউও এনক্যাশ করতে পারে।

দেশের সিংহভাগ এতিমখানা মাদ্রাসা এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

হেলুসিনেশন। চ্যাপ্টার ৮

লিখেছেন স্প্যানকড, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

ছবি নেট ।

এ তুমি কি সেই তুমি?
যাকে খুঁজি দিবানিশি
এ তুমি কি সেই তুমি?
যার জন্য নিজেকে
খতম করতে রাজি।

এ তুমি কি সেই তুমি?
যার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতা

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪২

"শেষ অধ্যায়"

তুমি আমায় দেবতাদের দেয়া
অভিশপ্ত সিসিফাস ভেবোনা,
আসলে আমি হই, জলন্ত কোনো অগ্নিকুণ্ড,
অথবা ভালোবাসার দুরন্ত কোনো
এক দুর্বাঘাস।

যেখানে তুমি নিশ্চেন্তে মুখ ডুবিয়ে
শ্বাস নিতে পার। অথবা তুমি
জানই না,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ প্লিজ বলে না, ধন্যবাদ বলে না, সরিও বলে না। ***************************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫

আমাদের দেশের মানুষের খুব কমন একটি বিষয় একটু খেয়াল করলেই যে কারো চোখে পরে। আমাদের দেশের মানুষ পারতপক্ষে প্লিজ, সরি, ধন্যবাদ এই জাতীয় শিষ্টাচার বা এটিকেট (Etiquette) সমৃদ্ধ শব্দগুলোর ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

হ্যালোকাহিনী :) The HELLO Story

লিখেছেন আফলাতুন হায়দার চৌধুরী, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬

আমরা ফোন বাজলে প্রথমে বলি হ্যালো। প্রশ্ন হল হ্যালো আসলে কি?

কিছু মানুষ বিশ্বাস করতো হ্যালো হলেন টেলিফোনের আবিষ্কারক বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল এর প্রেমিকা। এই নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×