জানলাম, থাইল্যান্ডে মৎস্যখাত অর্থনীতিতে গুরুত্বর্পুণ অবদান রাখছে, কিন্তু এখানে আছে মৎস্য শ্রমিকের সংকট। আবার পার্শ্ববর্তী কম্বোডিয়া, লাওস, মায়ানমার আর ভিয়েতনাম থেকে এষানকার জেলে ও মৎস্যশ্রমিকদের আয় বেশি। এখানে তাই কাজ করতে ঐসব দেশ থেকে আসেন অনেকে, আর নৌকা মালিকরাও এসব অভিবাসীদেরকে নিয়োগ দেন। অবৈধ হলেও তারা কাজ করে বেশ ভালই আয় করেন। থাই সরকার বিভিন্ন সময় এ দেশে আসা প্রতিবেশী নাগরিকদের একটি ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসে । নিবন্ধন শেষে এদেরকে মৎস্য খাতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার অনুমোদন প্রদান করা হয়।
আমরা যে এলাকায় গিয়েছি সেখানে আছে কম্বোডিয়া থেকে এখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৫৬ হাজার মানুষ। ছবিটা তাদের বাসস্থানের। নিয়োগকর্তা জায়গা দিয়েছে, সেখানেই তারা ভাড়ার বিনিময়ে থাকে। ঘরবাড়ি, মোটর সাইকেল দেখেই বোঝা যায় যে এদের আয় রোজগার বেশ ভাল। খোঁজ নিয়ে জানলাম, একজনের দৈনিক আয় বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১ হাজার টাকা। এতে করে থাইল্যান্ড এক ডিলে দুই পাখি মারলো বলা যায়! একদিকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বজুড়ে কৃতিত্ব নিচ্ছে, অন্যদিকে নিজের মৎস্যখাতের উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে তুলছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৮