কবির ভাষায় বলতে হয়,“ মানুষ হওয়া সংসারেতে কঠিন ব্যাপার”। আমিও মাঝে মাঝে সহজ উপদেশ হিসেবে বলে ফেলি,“ ছেলে-মেয়েদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার না বানিয়ে মানুষ বানাও। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল আমার অফিসে আগন্তক এক ভদ্রলোক কে বললাম, নিজের প্রয়োজনে সমাজের প্রয়োজনে ছেলে-মেয়েদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। ভদ্রলোক পাল্টা প্রশ্ন করলেন, মানুষ হওয়া বলতে কি বুঝায়? তাইতো আমরা যদি মানুষ কি, মানবিক গুনাবলী কি, মানুষের কাজ কি, কিভাবে মানুষ হওয়া যায় এসব না জানলে মানুষ হবে কিভাবে? মানুষ হচ্ছে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা প্রানী যার দুই হাত, দুই পা, দুই চোখ (প্রকৃত পক্ষে ত্রিনেত্র এবং আচরণ এক চোখা), দুই কান, নাক ও ঠোটের সমন্বয়ে সুন্দর মুখশ্রী ও মাথায় মগজ(যার ব্যবহার হয় না) বুদ্ধি ও বিবেক সম্পন্ন প্রাণী যা আমি আপনি দাবি করি। আসলে মানুষের পেটে জন্ম গ্রহন করলেই মানুষ হওয়া যায় না। মানুষ হতে হলে কাজ করতে হয়। অন্যান্য প্রানী জন্মসূত্রে ঐ সকল প্রাণীর বৈশিষ্ট্য আয়ত্ব করে থাকে কিন্তু মানুষ জন্মের পর হয় মানব শিশু। মানব শিশু থেকে মানুষ হতে হলে তাকে অনেক কিছু করতে হয়। দোলনা থেকে কবর অবধি শিক্ষা গ্রহন করতে হয় এবং ধাপে ধাপে তাকে মানবীয় গুনাবলী অর্জন করতে হয়। দিনের শুরু থেকে রাতের ঘুম পর্য়ন্ত মানুষকে কিছু কাজ করতে হয় যা অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা। বাস্তবে আমরা মানুষের খোলসে বসে নিম্নশ্রেণীর প্রানীর মতো আচরণ করে থাকি। আসুন আমরা সবাই প্রকৃত শিক্ষা গ্রহন করি, পারিবারিক শিক্ষা, নৈতিক শিক্ষা, ধর্মীয় শিক্ষা ও সামাজিক শিক্ষা থেকে নিজেদের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলি।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২১ সকাল ১১:১৮