আমরা সবাই কারনে অকারনে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মিথ্যা বলি। বুঝে না বুঝে মিথ্যা কথা গ্রহণ করি।অথচ মিথ্যা সাময়িক সুবিধা দিলেও পরিনামে খারাপ ফলাফল বয়ে আনে। সত্য সুন্দর ও চিরন্তন। আমরা আবার ঘুনে ধরা সমাজের চাপে ভুল কাজকে গ্রহন করি। প্রভাবশালী ব্যক্তির চাপে মিথ্যাকে সত্য বলে চাপিয়ে দেই। আবার আমরা যাদের কে গ্রহন যোগ্য ব্যক্তি মনে করি তারা তাদের সুবিধা মতো সিদ্ধান্ত আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়।একই অপরাধের শাস্তি ব্যক্তি বিশেষ ভিন্ন হয়। এ বিষয়ে একটা গল্প বলিঃ
একবার একটা ছেলে এক ব্যক্তির গাছ থেকে নারিকেল চুরি করে খেয়েছে। তখন ঐ ব্যক্তি ছেলেটির পিতার নিকট গেল বিচার চাইতে । ছেলেটির পিতা এলাকার গন্যমান্য ও প্রভাবশালী। ভিকটিম ব্যক্তি গিয়ে বলল, হুজুর চুরি করে নারিকেল খেলে কি হয়? হুজুর জানালেন চুরি করে নারিকেল খেলে গুনাহ হয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তখন ঐ ব্যক্তি বলল, হুজুর আপনার ছেলে আমার গাছের নারিকেল চুরি করে খেয়েছে। তখন হুজুর বলেন, নারিকেল কি ঝুনা (পাকা) ছিল না ডাব (কাচা) ছিল? লোকটি জানায় চুরিকৃত নারিকেল ঝুনা ছিল।
তখন হুজুর বলেন,
নারিকেল খাইলে ঝুনা, হয়না তার গুনা
যদি খায় ডাব, হবে তার পাপ।
এভাবে আমরা অনেক ভুল ফতোয়া, ভুল তথ্য ও ভুল মানুষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভুল পথে চলি।
অনেক সময় আমরা সাইন বোর্ডকে গুরুত্ব দিয়ে ভিতরে প্রকৃত তথ্য না জেনে ভুল পথে অগ্রসর হই।
সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি ভুল বললেও আমরা গ্রহন করি। একটা বাস্তব ঘটনার বিবরণ দেই।
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী বর্তমান অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এর সাথে ব্যাংকারদের নিয়ে গঠিত পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দেখা করতে গিয়েছিলেন জাতীয় বাজেট বাস্তবায়নে ব্যাংকারদের ভূমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠানে অতিথি করার বিষয়ে আলোচনা করার জন্য। আলোচনা শুরুতে তিনি বলেন, তোমরা ব্যাংকার না। যারা ব্যাংকের মালিক তারাই ব্যাংকার। এ কথা একশতভাগ ভুল হলেও প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ার কারনে ব্যাংকারগণ তাঁর কথার প্রতিবাদ করতে পারলেন না। অথচ
সর্বজন স্বীকৃত অক্সফোর্ড ডিকশনারী তে ব্যাংকার বলতে ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা ও ব্যাংকের মালিক উভয়কেই নির্দেশ করে।
আসুন আমরা মিথ্যাবাদীদের প্রভাব মুক্ত হয়ে সাদাকে সাদাএবং কালোকে কালো বলি, সর্বদা সত্য কথা বলি।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩