আমরা শুধু বর্তমান সম্পর্কে যা চোঁখে দেখি বা কানে শুনি তাই সত্য বলে ধরে নিতে পারি। তাছাড়া কোরআনের বাণী বা আল্লাহ প্রেরিত মহা মানববের বাণী বা সত্যবাদীদের মুখের কথা সত্য হিসেবে ধরা যায়। অতীত বা ভবিষ্যতের কোন কথা আমাদের নিকট স্পষ্ট নয়। কোরআন বিশ্লেষণ বা জ্যোতির্বীদের কথা থেকে কিছু ভবিষ্যতের তথ্য জানা যেতে পারে। তবে মানুষের অজ্ঞতা বা দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু জ্ঞানপাপী, দুষ্টু জোতির্বীদ বা গনক ভুল তথ্য দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করতে পারে।
কিন্তু অতীত কাহিনী বা ইতিহাস আমাদের সামনে আসে নিম্নলিখিত উপায়েঃ
১) শিলা লিপি থেকে পাঠ উদ্বার।
২) ফসিল এর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষেণ
৩) ইতিহাস গ্রন্থ
৪) কল্পকাহিনীর লেখা থেকে
৫) ঐতিহাসিক সাহিত্য থেকে
৬) গোয়েবলস থিউরি থেকে
৭) ষড়যন্ত্রবাদ তত্ত্ব থেকে
শিলা লিপিঃ মধ্যযুগের শিলা লিপির পাঠ সহজে উদ্ধার করা গেলেও প্রাচীনকালে প্রাপ্ত কিছু শিলার পাঠ সকলে উদ্ধার করতে সমর্থ নয়। তাই যারা শিলা লিপির পাঠ উদ্বার বা প্রকাশ করেছে তাদের ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে তা সত্য বা মিথ্যা বা তাদের মতো করে প্রকাশ । এই ভাবে আমদের সামনে কেউ পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা বা বিভ্রান্তমূলক তথ্য উপস্থাপন করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে। তাই যে কোন তথ্য গ্রহণ এবং প্রকাশ করার পূর্বে তার গুনাগুন বিশ্লেষণ করা প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব। Click This Link
ফসিলঃ ফসিল এর বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ ও তথ্য প্রকাশ মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে যারা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ভুল তথ্য প্রকাশ করতে পারে। কোরআনের আলোকে মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে হযরত আদম (আঃ) এর সৃষ্টি, মহাপ্লাবন এর সময় সাত-আট হাজার বছরের বেশি নয় কিন্তু ফসিলের উপর ভিত্তি করে মানব সভ্যতার ইতিহাস বলা হয় কোটি বছর যা বিভ্রান্তি মূলক।
ইতিহাস গ্রন্থঃ ইতিহাস লিখিত হয় বিজয়ীদের দ্বারা। তাই ইতিহাসে নিরপেক্ষ তথ্য থাকে না। শুধু বিজয়ীদের ইতিবাচক তথ্য দিয়ে ইতিহাস রচিত হয় বিধায় সেখান থেকে সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়। যেমন জার্মানীর রাষ্ট্রনায়ক এডলফ হিটলার ছিলেন তাঁর জাতির জন্য কান্ডারী এবং সূর্য সন্তান কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানীদের ভুলের কারনে পরাজীত হলে ইতিহাসবীদরা রিয়েল হিরোকে ভিলেন হিসেবে সারা দুনিয়ার সামনে উপস্থাপন করে।
কল্প কাহিনীঃ কল্পকাহিনীর লেখক কল্পনার চোখে মনের মাধুরী মিশিয়ে অনেক সাইন্স ফিকশন বই লিখে থাকেন যেখানে বাস্তবতা ভিন্ন। আমরা কল্পকাহিনীর তথ্যকে অনেক সময় গ্রহণ করে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকি। যেমন বারমুডা ট্রাইয়াঙ্গেল কাহিনীর বাস্তবতা না থাকলেও সাইন্স ফিকশন লেখার বদৌলতে সবার জানা।
ইতিহাস নির্ভর সাহিত্যঃ অনেক সাহিত্য রচিত হয় ইতিহাসকে আশ্রয় করে। এর মধ্যে ইতিহাস থাকে না, থাকে সাহিত্য। অনেকেই এই সাহিত্যকে ইতিহাস হিসেবে গ্রহণ করে ভুল তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভ্রান্তিতে পড়ে। আবার অনেক সাহিত্যিক তার সাহিত্য প্রতিভা দিয়ে নতুন কাল্পনিক ইতিহাস তৈরী করে যার সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় না। এ রকম কিছু সাহিত্য কর্ম হচ্ছে, গিলগামেশ, ইলিয়াড, ওডিসি, রামায়ণ, মহাভারত, শাহনামা, বিষাদ সিন্ধু ইত্যাদি
গোয়েবলস থিওরিঃ মিথ্যাকে বার বার বিভিন্ন কৌশলে উপস্থাপন করলে সত্যের মতো মনে হয়। আবার এমন মিথ্যা তথ্য কৌশলে উপস্থাপন করা হয় যা সাধারণ জনগণ যাচাই বাছাই ছাড়াই সত্য বলে গ্রহণ করে। একেই বলে গোয়েবলস থিউরি। গোয়েবলস থিউরি প্রয়োগ করে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাকে সত্য হিসেবে উপস্থাপন করে সাধারণ জনগণকে ধোকা দেয়া হয়। Click This Link
ষড়যন্ত্রবাদ তত্ত্বঃ কিছু জাতি বা রাষ্ট্র রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্য কিছু তথ্য বা তত্ত্ব এমনভাবে ছড়িয়ে দেয় যার ফলে সাধারণ জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করে। Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৬