বেস্ট সেলার বুক এর লেখক হিসেবে হুমায়ুন আহমেদ থেকে এগিয়ে আছেন কাসেম বিন আবু বকর। তাঁর লেখার মান মন্দ নয়। প্রতিটি লেখায় ইতিবাচক বার্তা আছে। তাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম রিপোর্ট করে। তারপরও কেন লেখক শিবির দেশীয় গনমাধ্যম তাকে দাবিয়ে রেখেছে? বড় জানতে ইচ্ছে করে।
কাশেম বিন আবু বকর একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বাংলাদেশী উপন্যাসিক যার উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে ইসলামকেন্দ্রিক প্রেম ভালোবাসা। তিনি অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হুগলিতে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশে চলে আসেন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন একজন বই বিক্রেতা। ১৯৭৮ সালে তিনি তার প্রথম উপন্যাস ফুটন্ত গোলাপ লেখেন। উপন্যাসটি প্রকাশ পেতে এক দশকের মত সময় লেগে যায়। প্রকাশের পরে বইটি বেস্ট সেলারে পরিণত হয়। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি তাকে নিয়ে প্রতিবেদন করার পরে তিনি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন। তার উপন্যাস ঠিক উপন্যাস কিনা এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়
পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া বোর্ড থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন । ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হলেও শেষ করতে পারেন নি। বাবার বড় সন্তান হওয়ার কারণে পারিবারিক চাপ ছিল।
ফুটন্ত গোলাপ পাণ্ডুলিপি লেখার পরে তিনি তা প্রকাশের জন্য প্রকাশক পাচ্ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত ১০০০ টাকায় বইটির স্বত্ব বিক্রি করে দেন। ফুটন্ত গোলাপের সাফল্যের পরে তিনি মোট ৭২ টি উপন্যাস রচনা করেছেন।
ফুটন্ত গোলাপ, আমিও মানু , তুমিও মানুষ, বিদেশী মেম, ক্রন্দসী পিয়া, কি পেলাম, প্রেমের পরশ, বিলম্বিত বাশর, প্রেম ও স্বপ্ন, তোমার প্রত্যাশায়, ভাঙা গড়া, পাহাড়ী ললনা, হৃদয়ে আকা ছবি, কে ডাকে তোমায়, মেঘলা আকাশ, অনন্ত প্রেম, শেষ উপহার, কলংকের ফুল, শহরের মেয়ে, ফুলেরকাটা, স্বর্ণ তুমি, হৃদয় যমুনা, বহু রুপিনী, বধুয়া, কামিনী কাঞ্চন, বিয়ের খোপা, পলাতকা, কালো মেয়ে, অমর প্রেম, আমি তোমার, ধনীর দুলালী, হঠাৎ দেখা, শরীফা, বিদায় বেলায়, আধুনিকা, জ্যোৎস্নারাতে কালো মেঘ, কোন বনের হরিণ, বিকেলে ভোরের ফুল, যেতে নাহি দেব, প্রেম বেহেস্তের ফুল কেউ, ভোলে কেউ ভোলে না, একটি ভ্রমর পাচঁটি ফুল, শ্রেয়সী, প্রেম যেন একসোনার হরিণ, প্রতিবেশিনি, অসম প্রেম, পল্লী বালা, অবশেষে মিলন, ভালোবাসি তোমাকেই, বিয়ে বিভ্রাট, চেনা মেয়ে, অবাঞ্চিত উইল, কাঙিক্ষত জীবন, তুমি সুন্দর, সংসার, বড় আপা, অচেনা পথিক, বালিকার অভিমান, বাসর রাত, অলোকিক প্রেম, মানুষ অমানুষ, প্রতীক্ষা, পথে পরিচয়, ধুমায়িত পথ, মেঘে ঢাকা মন, শ্রাবনী, নাফ নদীর বাকে, সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে, স্বনির্বাচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস, প্রেমের ফসল, আজরাঈল(আ এর কান্না, বোরকা পড়া সেই মেয়েটি, প্রেম ।
বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গন এবং মূলধারার গণমাধ্যমে কাশেম বিন আবু বকর অনেকটা উপেক্ষিত ছিলেন। শহুরে শিক্ষিত পাঠক সমাজের কাছে তিনি প্রায় অপরিচিত নাম। তার উপন্যাসের প্রধান পাঠক গ্রামীণ মুসলমান তরুণ শ্রেণি। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম যেমন যুক্তরাজ্যের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল, মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইয়াহু নিউজ, মধ্যপ্রাচ্যের আরব নিউজ, মালয়েশিয়ার দ্যা স্টার ও মালয়মেইল, পাকিস্তানের দ্য ডন, ফ্রান্সের ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর ও রেডিও ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল, হাঙ্গেরির হাঙ্গেরি টুডেসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বাংলাদেশের পত্রিকাগুলোও তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্ক শুরু হয়।
সূত্রঃ উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১১