somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম শান্তির ধর্ম হওয়ার পরও মুসলিম প্রধান দেশে অশান্তি কেন?

২৭ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসলাম শান্তির ধর্ম।ইসলামের অনুসারীরা শান্তিতে থাকবে এবং সারা দুনিয়ায় শান্তি বজায় রাখবে। ইসলামের অনুসারীদের বলা হয় মুসলিম। আজ মুসলমানরা কেন শান্তিতে নাই বা মুসলিম দেশগুলোতে কেন এতো বিশৃঙ্খলা বা মুসলমানদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে ভূরাজনীতিতে নেতিবাচক ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে?
আসলে প্রকৃত মুসলমান কখনো নেতিবাচক কাজ করতে পারে না আর মূল ইসলামের অনুসারীরা সর্বত্র শান্তি বজায় রাখবে।
আমরা জন্ম সূত্রে মুসলমান এবং ভুল ইসলামের অনুসারী। আল্লাহর হুকুম তালিম করি না, কোরআনের আলোকে জীবন ধারন করি না, ফিতনা ফ্যাসাদে জড়িয়ে দুনিয়ার ভোগবিলাসে ব্যস্ত থাকি। তাইতো সমাজ ও দেশের কথা ভাবার সময় নেই। ব্যক্তি স্বার্থে সমাজ ও দেশের ক্ষতি করতে একটও ভাবি না। আসলে সমাজ নষ্ট করে দেশ ধ্বংস করে নিজে ভালো থাকা যায় না। নগর পুরিলে দেবালয় কি রক্ষা পায়?

আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করে তার জীবন গড়তে পাঠিয়েছেন আল কোরআন। এই কোরআন হচ্ছে পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান। আল্লাহ তার প্রিয় বন্ধু হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর মাধ্যমে কোরআন শরীফ সর্বকালের সমগ্র মানবজাতির জন্য আশির্বাদ হিসেবে প্রেরণ করেছেন। হযরত মোহাম্মদ (সঃ) ও তার কওমের ভাষা ছিল আরবি তাই আল্লাহ তাওয়ালা আরবি ভাষায় কোরআন নাজিল করলেও সকল ভাষাভাষীদের জন্য এই কোরআন পাঠ্য। কেননা কোরআনেই রয়েছে আল্লাহর হুকুম আদেশ নিষেধ ও জীবন ধারনের পদ্ধতি।

আল্লাহ তাওয়ালা পবিত্র কোরআনের সুরা ক্বমর এর ১৭ নং আয়াতে বলেছেন, " আমি কোরআন কে সহজ করে দিয়েছি যাতে করে তোমরা পড়তে পারো "। সুতরাং ভাষাগত বাধা পেরিয়ে যে কোন ভাষার কোরআন পড়ে অনুধাবন করা প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব।
কোরআন পড়া এবং সে আলোকে জীবন ধারন করা আল্লাহর নির্দেশ ও ফরজ। হাদিস মানা এবং হযরত মোহাম্মদ (সঃ) জীবন দর্শন অনুসরণ করা সুন্নত।
আগে ফরজ পালন তারপর সুন্নত ধারন। কোরআন আল্লাহর বানী এবং অবিকৃত অপরদিকে প্রচলিত হাদিসের সবগুলোই সঠিক নয়। তাই কোরআন ও হাদিসের বিষয়ে বিতর্ক হলে কোরআন প্রাধান্য পাবে।
কিছু মুসলমান আছে তারা কোরআনের আংশিক মানে তাই তারা প্রকৃত মুসলমান নয়। আবার কিছু মুসলমান আছে যারা ফরজ আদায় না করে সুন্নতের লেবাস ধরে ঘুরে বেড়ায়। আবার কিছু মুসলমান ভুল হাদিস দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বড় জেহাদের চেয়ে ছোট জেহাদের গুরুত্ব দিয়ে জঙ্গি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
এই ভাবে কিছু মানুষ ভুল ইসলামের অনুসারী হয়ে মুসলমান নাম ধারন করে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে যাচ্ছে।

একটা গল্প বলে আজ শেষ করি, " একটা ওয়াজ মাহফিলে হুজুর ওয়াজ করেছেন পাগড়ি পড়া সুন্নত।একজনের মনে এই কথা খুব গুরুত্ব পায়। তার পড়নে লুঙ্গি ছাড়া আর কিছুই নেই। ওয়াজের প্রভাবে তার নিকট ফরজের চেয়ে সুন্নতের গুরুত্ব বেশি তাই সে লুঙ্গি খুলে পাগড়ি বেধে সুন্নত রক্ষা করলো।"
আমাদের আশে পাশে লক্ষ্য করলে এ রকম ঘটনা দেখা যায়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া ফরজ তা আদায় না করে নফল নামাজ পড়ার জন্য বিভিন্ন দিবসে অমুসলিমদে ভিড়ে প্রকৃত মুসলমান দেখা পাওয়া যায় না।
আবার ঘুষের টাকা দিয়ে হালাল খাবার ক্রয় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অপরের হক মেরে গরীবের টাকা লুন্ঠন করে অবৈধ অর্থ দিয়ে মসজিদ মাদ্রাসা গড়ে বেহেশতের টিকিট বুকিং দেয় বা দান করে হয়ে যায় দানবীর।

"অর্থের উৎস হালাল হওয়া ফরজ এবং দান করা সুন্নত" এই কথা মানতে যাদের কষ্ট হয় তারা কি মুসলমান?

আসুন আমরা সবাই কোরআন পড়ি এবং আল্লাহর হুকুম মতো জীবন গড়ি। আল্লাহ আমাদের সত্যিকারের মুসলমান হিসেবে মৃত্যুবরণ করা সুযোগ দিন। আমিন। আ.মু.
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:০৮
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×