somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দীপাবলী-পর্ব-০৯

২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অনেকদিন পর দীপাবলী পারিবারিক বন্ধনে মনোরম পরিবেশে সময় কাটালো। মূখার্জী পরিবারের ঘরে আজ যে প্রাণ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে তা ষোল কলায় পূর্ণ হতো যদি বড় ছেলের মেয়ে ও বৌ একসঙ্গে বসবাস করতো। পরশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায় আজ খুব উৎফুল্লো যে বৌমা তাকে দেওয়া কথা রেখেছে সম্পর্ক ছিন্ন না করে ছেলের সংসারে ফিরে এসেছে আর মিসেস মূখার্জী ব্যস্ত নানান পদের খাবার তৈরি করে পরিবারের সুখটাকে দীর্ঘায়িত করতে। রাতে খাবার টেবিলে সকলে একসঙ্গে খাবার খেতে বসে খুশিতে পরশ চন্দ্র বিষম খেলে উতলা হয়ে ওঠে মিসেস মূখার্জী।
আরে তোমার আবার কি হলো
তেমন কিছু না, বৌমার সৌজন্যে এতা সুস্বাদু খাবার দেখে লোভ সামলাতে পারছি না।
বাবা! তোমার তাড়াহুড়ার কিছু নাই, তুমি তৃপ্তিসহ আয়েশ করে খাও। তাছাড়া এ রকম আয়োজন নিয়মিত হবে, কি বলো দীপা?
অবশ্যই! আমি আর এ সংসার ছেড়ে দূরে কোথাও যাচ্ছি না। তুমি ঝুড়ি ভরে বিভিন্ন প্রকার বাজার করবে আর আমি রান্না করে সুস্বাদু খাবার বাবা-মা’র সামনে পরিবেশন করবো।
তোমাদের কিছু করতে হবে না, তোমরা তোমাদের অফিস ঠিকমতো সামলাও আর আমি কাজের লোক দিয়ে ঘর-সংসার ঠিকই সামলে নিতে পারবো।
খাবার সময় এতো কথা না বলে খাবার শুরু করা যাক। এ কথা বলে পরশ চন্দ্র খাওয়া শুরু করলো।
রাতের খাবার শেষে দীপাবলী ও অনন্ত একান্তে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে। সারাদিন বিভিন্ন ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটানোর কারনে দুজনে তেমন কোন কথা বলা হয়ে ওঠেনি।
বাবার ছেলে মানুষিতে কিছু মনে করোনি তো দীপা?
কি যে বলো! আমার কিন্তু ভালোই লাগে। বাবার স্নেহ থেকে অনেক দিন বঞ্চিত ছিলাম।
স্বামীর সোহাগ/আদর কি তোমার এখতিয়ার বহির্ভূত?
এখতিয়ারে থাকলেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
সময় গেলে সাধন হয় না। আর সব সময় সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে হয় না বা করা যায় না। নদীতে জোয়ার উঠলে যেমন বাধ দিয়ে আটকে রাখা যায়না তেমনি যৌবনের জোয়ার সব সময় নিয়ন্ত্রণ করা যায় না !
কথা তো ভালোই বলতে শিখেছো! কিন্তু কথায় চিড়ে ভেজে না।
তা তো ঠিকই। তোমার হ্রদয় আজ ভালোবাসার অভাবে মরুভুমির মতো শুষ্ক হয়ে গেছে। আমার ভালোবাসায় তোমাকে সিক্ত করে দেবো।
জনাব আমি ধন্য, তোমার ভালোবাসার জন্য! সকালে অফিসে যেতে হবে তাই আপাতত ঘুমিয়ে একটু বিশ্রাম নেই।
অনন্তকেও সকালে অফিসে যেতে হবে। তাই করার কিছুই নাই। দীপাবলীর পাশে শুয়ে পরের দিনের অফিসের কর্মপরিকল্পনা করতে করতে ঘুমিয়ে পড়লো।
সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিজ হাতে চা তৈরি করে এক কাপ চা নিয়ে শ্বশুরের সামনে হাজির হলো দীপাবলী।
বাবা! এই নিন আপনার চা।
বৌমা তুমি আবার সকাল সকাল কষ্ট করতে গেলে কেন?
বাবার জন্য করা আবার কিসের কষ্ট?
তোমাকে অফিসে যেতে হবে! কত রকমের ব্যস্ততা আছে না?
শত ব্যস্ততার মাঝে বাবার সেবাই অগ্রগন্য।
ঠিক আছে! বলে হাত থেকে চায়ের কাপ নিয়ে চুমুক দিয়ে বলে উঠলো তোমার হাতে যাদু আছে। চা খুব টেস্টি হয়েছে।
একটা বিজয়ের হাসি দিয়ে দীপাবলী রান্না ঘরের দিকে এগিয়ে দেখে শ্বাশুড়ি সকালের নাস্তা তৈরির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মা, আপনি বাবার পাশে বসে বিশ্রাম নিন! আমি নাস্তা তৈরি করছি।
কি যে বলো বৌমা। তোমাকে অফিসে যেতে হবে! তোমার কত ব্যস্ততা। তুমি অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নেও, আমি নাস্তা তৈরি করছি।
অনন্ত নিজের অফিসে যাওয়ার পথে দীপাবলীকে নতুন অফিসের সামনে নামিয়ে দেয়।
দীপাবলী Click This Link
দীপাবলী-০১ Click This Link
দীপাবলী-০২ Click This Link
দীপাবলী-০৩ Click This Link
দীপাবলী-০৪ Click This Link
দীপাবলী-০৫ Click This Link
দীপাবলী-০৬ Click This Link
দীপাবলী-০৭ Click This Link
দীপাবলী-০৮ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অল্প পুঁজিতে অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার সন্ধান, যে কেউ চাইলে শুরু করতে পারে

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৫



কেউ একজন জানতে চেয়েছেন ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে কিভাবে মাসে ১/২ লাখ টাকা ইনকাম করা যায়? বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করে দেখলাম বাংলাদেশে ১০/১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজনীতির পন্ডিত, ব্লগার তানভীর জুমারের পোষ্টটি পড়েন, জল্লাদ আসিফ মাহমুদ কি কি জানে!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:৪৯



সামুর রাজনীতির ডোডো পন্ডিত, ব্লগার তানভীর ১ খানা পোষ্ট প্রসব করেছেন; পোষ্টে বলছেন, ইউনুস ও পাকিসতানীদের জল্লাদ আসিফ মাহমুদ ধরণা করছে, "সেনাবাহিনী ও ব্যুরোক্রেটরা বিএনপি'কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নীল নকশার অন্ধকার রাত

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:১৬


কায়রোর রাস্তায় তখন শীতের হিম হাওয়া বইছিল। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা। দুইটা বড় সংবাদপত্র অফিস: আল-আহরাম এবং আল-মাসরি আল-ইয়াউম—হঠাৎ করেই আগুনে জ্বলে উঠলো। কিন্তু এই আগুন কোনো সাধারণ দুর্ঘটনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩২

আগুন যখন প্রশ্নকে পোড়াতে আসে[

স্বাধীন সাংবাদিকতার কণ্ঠরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতা, মব-রাজনীতি ও এক ভয়ংকর নীরবতার ইতিহাস
চরম স্বৈরশাসন বা ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রেও সাধারণত সংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার সাহস কেউ করে না। কারণ ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×