
বনানীর ধর্ষণকাণ্ড অনেক অপ্রকাশিত ঘটনার মধ্যে একটির প্রকাশ...এরকম অভিজাত হোটেল ও কুকর্মের ফ্ল্যাট তথা বাসাগুলো চিহ্নিত করা হোক...মেসে মেসে কী ঘটছে সবই আমরা জানি...কোন পার্কে খোলামেলা দৃশ্য কত পরিমাণ দেখা যাবে তা সকলেরই জানা...এই দিবস সেই দিবস উৎসব আর উচ্ছৃঙ্খলাতায় কোনো বাধাই দিচ্ছে না পরিবারও...
ধর্ষকদের শাস্তি হোক ধর্ষিতার আর্তনাদ থামুক...আমাদের বাচালতাও কমুক...‘অতি ডান’ আর ‘অতি বামে’রা অতিকথক বৈ আর কিছু না...
আমরা বুকে হাত দিয়ে বলতো পারবো না- সমাজের নৈতিক অবক্ষয় ঘটেনি...বনানীর এক ধর্ষিতা একটি জাতীয় দৈনিককে বলেছেন, ‘ধর্ষকরা গুলশান হামলার জঙ্গিদের থেকেও খারাপ...’ তাই সোজা কথা এরকম ভিডিও কুকর্মের উৎসগুলো খুঁজতে দেশব্যাপী একটা অভিযান চালানো হোক...অনেক নারী এমন সম্ভ্রমহানির হাত থেকে রক্ষা পাবেন...আর অনেকে বিপথে যেতে পারবেন না...
তবে আজ যারা রাস্তায় বিচারের দাবিতে নেমেছেন তাদের অনেকেই তখন বাধা দিতে পারেন...কিন্তু সামাজিক অবক্ষয় রোধে এমন অভিযান এখন জরুরি হয়ে গেছে...পরকীয়ার স্তুপ, ছাত্র-ছাত্রীদের রোমান্স, লিভ টু গেদার কত কী ধরা পড়বে...অভিযান মাঠে-ঘাটেও বিস্তৃত করা হলে বুড়ো ধামেরাও ধরা পড়বে...প্রয়োজনে পৃথক ট্রাইব্যুনালে অপরাধীদের বিচার হবে...কিন্তু এর একটা সুন্দর প্রভাব পড়বেই...
দরিদ্র দেশের মানুষ আমরা, ক্যারিয়ার নির্ভরতা তাই বেশি...ক্যারেকটার উচ্ছন্নে যাচ্ছে...সেদিকে পরিবারেরও খেয়াল নেই...সুস্থ সংস্কৃতির বদলে পার্টি সংস্কৃতির আমদানি ঘটেছে...কথিত ভোগবাদী আদর্শের প্রভাবও প্রবল...কেক খায় না মাখে এ প্রশ্ন এখন অবান্তরই ঠেকে...
ভঙ্গুর সমাজটাকে নতুন করে সাজানো দরকার...তাহলেই তো আগামীর কোনো পরিবার প্রধান- ধর্ষণকে সমঝোতার সম্পর্ক হিসেবে দেখবেন না!!!
বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিলেই শয্যায় যাওয়া যাবে কী না...তা আমরা জানি না...অভিভাবকরাও প্রাপ্তবয়স্কদের মতের তোয়াক্কা করে না...ভালোবাসা বিছানা পর্যন্ত গড়িয়েই যায় বাসরের অপেক্ষা রাখে না...এরপর নানা জটিলতা...বিয়ে হলেও না হলেও...
সরকারের কাছে আকুল আবেদন, দেশে ধর্ষণের জোয়ার চলছে...এটা থামান...বাঙালিরা সার্বিকভাবে অসৎপ্রবণ না...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


