


নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, নাসিরউদ্দিন ফিরোজ শাহ ছিলেন দিল্লির মামলুক সালতানাতের ৮ম সুলতান। তিনি নাসিরউদ্দিন মাহমুদের পুত্র এবং সুলতান ইলতুতমিশের পৌত্র ছিলেন। ইলতুতমিশ তাকে তার বাবার নাম প্রদান করেছিলেন। আলাউদ্দিন মাসুদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি মসনদে বসেন।মাহমুদ ধার্মিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নামাজ এবং কুরআন লিপিবদ্ধকরণে তিনি অনেক সময় ব্যয় করতেন। তার শ্বশুর গিয়াসউদ্দিন বলবন মূলত শাসনকাজ তদারক করতেন। ১২৬৬ সালে মাহমুদ নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার পর বলবন মসনদে বসেন।

আলাউদ্দিন মাসুদ ছিলেন দিল্লির মামলুক সালতানাতের সপ্তম সুলতান। তিনি রুকনউদ্দিন ফিরোজের পুত্র এবং রাজিয়া সুলতানার ভাইপো। তার পূর্বসূরি মুইজউদ্দিন বাহরাম নিহত হওয়ার পর অভিজাতরা তাকে পরবর্তী শাসক হিসেবে নির্বাচন করে। তবে তিনি অভিজাতদের দ্বারা বেশি নিয়ন্ত্রিত হতেন এবং সরকারে তার ক্ষমতা বেশি ছিল না। তার বিনোদনপ্রিয়তা এবং মদ্যপানের কারণে অনেকে তার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল। ১২৪৬ সালে অভিজাতদের মধ্যে তার বিরুদ্ধে অসন্তোষ বৃদ্ধি পায় এবং তাকে সরিয়ে শামসউদ্দিন ইলতুতমিশের নাতি নাসিরউদ্দিন মাহমুদকে সুলতানের পদে বসায়।

মুইজউদ্দিন বাহরাম ছিলেন দিল্লির মামলুক সালতানাতের ষষ্ঠ সুলতান। তিনি সুলতান শামসউদ্দিন ইলতুতমিশের পুত্র এবং রাজিয়া সুলতানার ভাই। তার বোন ভাটিণ্ডা থাকাকালে তিনি চিহালগনি বলে পরিচিত চল্লিশজন অভিজাত ব্যক্তির সমর্থনে নিজেকে সুলতান ঘোষণা করেন। রাজিয়া তার স্বামী ভাটিণ্ডার প্রধান মালিক আলতুনিয়ার সাহায্য নিয়ে ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা ধরা পড়েন এবং তাদের হত্যা করা হয়। তবে মুইজউদ্দিনের শাসনামলে তার সমর্থক নেতারা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে লিপ্ত হয়। বিশৃঙ্খল অবস্থায় তিনি তার সেনাবাহিনীর হাতে ১২৪২ সালে নিহত হন। তার মৃত্যুর পর রুকনউদ্দিন ফিরোজের ছেলে আলাউদ্দিন মাসুদ তার উত্তরসুরি হন। ওগেদেই খান গজনির কমান্ডার দায়ির এবং কুন্দুজের কমান্ডার হিসেবে মেঙ্গেটুকে নিয়োগ দেন। ১২৪১ সালের শীতকালে মোঙ্গলরা সিন্ধু অববাহিকা আক্রমণ করে এবং লাহোর অবরোধ করে। এসময় দায়ির মারা যান তবে ১২৪১ সালের ৩০শে ডিসেম্বর মোঙ্গলরা শহর হত্যাকান্ড চালায়।তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে সুলতান খুব দুর্বল ছিলেন। চিহালগনিরা তাকে দিল্লির শ্বেত দুর্গে বন্দী করে হত্যা করে।

রুকনউদ্দিন ফিরোজ ছিলেন দিল্লির মামলুক সালতানাতের চতুর্থ সুলতান। তিনি মাত্র সাত মাস শাসন করেছেন। তাছাড়া তিনি বাদাউনের গভর্নর ছিলেন। তিনি শামসউদ্দিন ইলতুতমিশের ছেলে ছিলেন। তবে তিনি সঙ্গীতে মগ্ন থাকতেন। সেসব কারণে তার মা শাহ তুরকান সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন। তিনি স্বৈরাচারী শাসন চালিয়েছিলেন। অযোগ্য হওয়ায় শেষপর্যন্ত রুকনউদ্দিন ফিরোজকে ১২৩৬ সালের নভেম্বর হত্যা করা হয়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


