৩৭তম বিসিএসে প্রদানকৃত একটি দুর্দান্ত ভাইভা।
দিয়েছেন দুরন্ত পাল।
সময় :- আনুমানিক আধা ঘণ্টা।
বোর্ড :- অজানা।
অনেক তুফান বয়ে গেছে দেহের উপর দিয়ে, তুফানের কি দাপটরে বাবা! আমার শরীরের চাঁদোয়া খুলতে বাধ্য হলাম তারপর তুফান আটকাতে গফের দেয়া ঐ চাঁদোয়াটাকে ব্যাবহার করলাম।
অনেক অপেক্ষার পর আমার ডাক পড়লো, আমি ছিলাম বোর্ডের ত্রিশতম।
প্রথমেই অনুমিত নিয়ে ঢুকে পড়লাম, পড়নে ছিলো পিংক কালারের স্যুট।
বোর্ডপ্রধান বসতে বললেন আর জানতে চাইলেন সব রঙ ছেড়ে আমি কেন পিংক কালারের স্যুট পড়লাম।
আমি বললাম আসলে আমার প্রিয় নায়ক পালমান খান উনার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি " কন বানেগা পালপত্নি " ফিল্মে এই রঞ্জা স্যুট পড়েছিলেন। উনি জানালেন পালমান খান উনারও একজন প্রিয় নায়ক।
বোর্ডপ্রধান :- গতকাল উল্লেখযোগ্য একটা দিবস ছিলো, বলতে পারেন সেটা কি?
আমি :- পালরুস।
এক্সটারনাল ১:- পালরুস শব্দটার ব্যাসবাক্য বলুন।
আমি :- পালের উরুস
এক্সটার্নাল ১ :- এটা কোন সমাস?
আমি : ষষ্টি পালপুরুষ সমাস।
এক্সাটার্নাল ১ :- পালব্বাস(সাব্বাস) বাংলায় আপনার ভাল দখল আছে।
এক্সটারনাল ২ :- পাল টানানোর পূর্বেই জাহাজটি পালদ্বীপ ছেড়ে পলায়ন করলো। পালানুবাদ করুন।
আমি :- the ship has flew from paldip before setting of sail.
এক্সটারনাল ২ :- পালদ্বিপের রাজধানি কোথায়?
আমি :- পালে।
বোর্ডপ্রধান :- পালব্বাহ(বাব্বাহ) ইউ আর এ পালিনিয়াস।
গত সপ্তাহে যে পালরুস হয়েছিলো সেটাতে একটা বিখ্যাত গান গাওয়া হয়েছিলো বলতে পারেন সেটা কোন গান?
আমি :- শুধু বলতেইনা গাইতেও পারি।
বোর্ডপ্রধান :- চারলাইন গেয়ে শুনান দেখি।
আমি :-
পালটা টানাইয়া দেয় -
নৌকাটা ছাড়িয়া দেয়।
পাল শাহ আইয়া পড়ছে-
আউয়ার গ্রুপের ওয়ালেতে।
এক্সটারনাল ১ :- বলতে পারেন ফেইসবুকে সবছেয়ে লম্বা ব্লক লিস্ট কার?
আমি :- দুঃখিত স্যার এটা আমি পারিনা।
বোর্ডপ্রধান :- পারাটা উচিৎ ছিলো।
এক্সটারনাল ১ :- পালখাতা আর হালখাতার মধ্যাকার তফাৎ বলুন।
আমি :- হালখাতার প্রচলন হয়ে ছিলো মুঘল সম্রাট আকবরের বদৌলতে আনুমানিক ৫০০ বছর পূর্বে অন্যদিকে পালখাতার প্রচলন হয়েছিলো পালরাজার আমল থেক, যতদূর জানি ত্রিশতম বিসিএসের পরে থেকে।
# হালখাতার জন্য একধরণের লাল রঙা টালিখাতা ব্যাবহার করা হয় এবং এতে হিসাব সংরক্ষণ করা হয় অপরদিকে পালখাতা একটা নিল বই বা ফেইস বুকের মত নিলাভ একটা ওয়েব সাইটে সংরক্ষণ করা হয় এগুলো সাধারণত নোট আকারে সংরক্ষণ করা হয়।
এক্সটারনাল ৩ :- ধরুন আপনি ক্যাডার হয়ে গেলেন তারপর কী করবেন?
আমি :- পায়ের নিচে বিয়ারিং চাকা লাগাবো আর এইযে দেখছেন চাঁদোয়াটা এটাকে পালের মতো টানিয়ে দেবো মাথার উপর, হাতে একটা স্টিয়ারিং থাকবে। বাতাসের কারণে পাল উড়বে সেটা এগিয়ে চলবে বটবট করে এই উড়ন্ত পাল আমার বডিতে লম্ব ভেক্টর আকারে একটা বল প্রয়োগ করবে যার ফলে আমি এগুতে থাকবো কারণ নিচে আছে বিয়ারিং। আমি শুধু স্টিয়ারিং ঘুরাবো। সারা বাংলাদেশ ঘুরে বেড়াবো আর মঞ্চে মঞ্চে বক্তৃতা দেবো যদি কোনরকম আমার প্রতি একটা মেয়ে আকর্ষিত হয়। বিয়ে করতে খুব সুবিধা হবে। জানেন আমার এই বংগদেশ ভ্রমণের জন্য আমি একটা গানও রচনা করেছি, একটু শুনাই?
এক্সটারনাল ৩:- অবশ্যই।
আমি :-
ওই উড়ছে,পাল উড়ছে।
দারুণ গতিতে আমি ছুটছি।
জেমস জেমস, পাকোলা চকোলেট জেমস।
রসে ভরা, মনকাড়া, পাকোলা চকোলেট জেমস।
এক্সটারনাল ৩ :- পালরুণ(দারুণ) জাস্ট পাউলসম(অওসম)
বোর্ড প্রধান :- আচ্ছা মিঃ দুরন্ত পাল আপনি এখন আসতে পারেন। শুভকামনায় থাকলাম।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মে, ২০১৬ দুপুর ২:০৩