আমি পেয়াজ । তোমাদের অনেকেই আমাকে সব্জি হিসেবে চেন। আমার আকৃতি অনেকটা গোলাকার, আমার ভেতর খাজ কাটা এবং আমি একটা পাতলা পর্দা দিয়ে আবৃত ফলে তোমরা আমার তেজ টের পাও না এতো করে । আমার ভেতরে একটা বিশেষ রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যেটাকে তুমরা syn-propanethial-S-oxide নামে চেনো। আমার চরিত্রের বিশেষত্বটা কিন্তু এর মধ্যেই নিহীত কারণ এই রাসায়নিক উপাদানটা চোখের lachrymal গ্রন্থিকে কে বাধ্য করে চোখের পানি ছেড়ে দিতে ফলে রন্ধনশালায় রমণীর দলকে আমি কাঁদতে বাধ্য করি তবে এটাই আমার জীবনের শেষ এক্ট বা কাজ। :'(
অনেকেই মনে করেন আমি মেরুন রঙ্গের অধিকারী এতে আমার ইজ্জতে আঘাত লাগে।তোমরাই বল বিবেকবান মানুষের বাহিনী কী এমন হয় আমার নামে একটা রঙ্গের নামকরণ করে দিলে । যেমন কেউ মেরুণ রঙ্গের একটা কাপড় কিনলে তোমরা বললে সে তো পেয়াজ রঙ্গের কাপড় কিনেছে। এতে আমার ইজ্জত আর গৌরব দুইই বৃদ্ধি পায় ।
যখনই হয় হরতাল অবরোধ।
আমার দাম বেড়ে যায় অনেকগুন।
আমি স্বপ্ন দেখি । সেই দিন আর দুরে নেই বেশী তোমরা আমাকে কিনবে নিলামে তুলে।এখন তো কিনছো কেজি হিসেবে!তখন কিনবে তুলা দরে।
তখন একদল মানুষ বেরুবে যারা পেয়াজ খোদাই করে মেয়েদের জন্য গহনা বানাবে এদের বলা যেতে পারে পেয়াজ কর্মকার।
বিয়ের সময় বরেরা কনেদের পেয়াজের দুল, পেয়াজের নাকফুল, পেয়াজের হাড় পেয়াজের ব্রেসলেট উপহার দেবে। এতে করে প্রধান যে লাভটা হবে সেটা হলো কনেদের আসল চেহারা তুমরা সহজে দেখতে পারবে কারণ আমাকে যখন গহনা হিসেবে ব্যবহার করা হবে তখন syn-propanethial-S-oxide যন্ত্রণায় কনেদের চোখে পানি চলে আসবে যা সকল মেকাপ ধুয়ে মুচে গোল্লায় নিয়ে যাবে ফলে বিয়ের দিনেই রাতে নয় তুমরা তুমাদের বউদের আসিল চেহারা দর্শন করে ফেলবে।
পুনশ্চ: এবার কুরবানী ইদে আমার বাপকে আমি দেখেছি গরুর দামের চেয়ে পেঁয়াজের দাম নিয়ে বেশী চিন্তিত হতে।
এই ইদ থেকে আমরা পেয়াজকে আলাদারুপে মূল্যায়িত করবো । সালামি হিসেবে আর টাকা নয়। সালাম দিন পেয়াজ নিন এই নিতীতে অগ্রসর হবো ।
পেয়াজের এই স্বর্ণযোগের প্রতি শ্রদ্ধা রাখুন উন্নত হোন। আসুন সবাই কালোবাজারি হই আর পেয়াজ স্টক করে পেয়াজকে সোনায় রুপান্তরিত করি।
ইদ মোবারক।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৭