রমণীর সৌন্দর্য বহুলাংশেই নির্ভর করে তাদের কেশধামের সৌন্দর্য্যর উপর। যে রমণীর কেশ যত আকর্ষণীয় সে নারী অধিকাংশের কাছে ততবেশী আবেদনময়ী। আপাত দৃষ্টিতে এগুলোকে চিকন চিকন সুতার গুচ্ছ মনে হলেও এটা কিন্তু আসলেই কোন সাধারণ কিছু নয়। রমণীর "অলক" বেণী করে যদি সেটা দিয়ে কোন পেশীবহুল পুরুষকে কষাঘাত করা যায় আর সে যদি সত্যিই পুরুষ হয়ে থাকে নিশ্চিত সে ঘায়েল হবে। রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ বনলতা সেন কবিতায় নায়িকার কেশ নিয়ে বলেছেন- "চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার দিশা, মুখ তার শ্রাবস্তির কারুকার্য" আরও অনেক কবি রমণীর কেশ নিয়ে রচনা করেছে অনেক কেশোকাব্য। আমার তাই স্পৃহা জেগেছে আমিও রচনা করি টাকোসমাচার। আসুন আজ জেনে নেই রমণীর মস্তিষ্কে কেশসংকট বা টাক হলে সম্ভাব্য কি কি ঘটতো। ###- বাংলা শব্দসম্ভারে একটা নবশব্দ যোগ হত [টাকলি]এবং প্রতিযোগিতামূলক বিভিন্ন পরীক্ষায় আসত টাকলু শব্দের স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দ কোনটি। ###- বাজারে আয়না দোকানদারদের মাথায় হাত পড়ত কারণ আয়না বিক্রির হার নেমে আসত অনেক নিচে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলে বা মেসের মেয়েরা কক্ষসাথী হিসেবে টাকলিকেই প্রাধান্য দিত কারণ টাকলির মস্তিষ্কে তেল দিলে সে মস্তিষ্ক চিকচিক করবে এবং অপরজন তার চেহারার প্রতিচ্ছবি সাথীর মস্তিষ্কেই দর্শন করতে পারবে ফলে আয়না আর দরকার হবেনা। ###- একধরণের কাগজ পাওয়া যায় বাজারে যা কাঠমিস্ত্রি ভাইয়েরা কাঠ পালিশের কাজে ব্যবহার করেন সাধারণত। মেয়েদের মাথায় ঠাক হলে তারাও এটা ব্যবহার করতো মাথাপালিশের জন্য। ###- তিব্বত কদুর তেল নামে বাজারে যে তেল পাওয়া যায় সেটার নাম হত তিব্বত পালিশ তেল আর বিজ্ঞাপনে বলা হত- চল্লিশ বছর ধরে ঘসাচ্ছি মাথা পিছলা করে আজও কাজ করছি। ###- ছোটবেলায় আমরা যে আম পাতা জোড়া জোড়া কবিতা পড়েছিলুম সেটাকে আমরা পড়তুম এভাবে- টাকলির মাথা পিছলা পিছলা ওরে টাকলি নিচে তাকা। আসছি আমি হারামজাদা। হারামজাদা সেজেছে চেহারাটা দেখতে দে। ###- লীজান মেহেদী কোং এর ভাগ্য খোলে যেত কারণ রমণীর দল তখন মাথায় নকশা করে মেহেদী মাখত। নকশা হিশেবে মগজের ছবিটাই বেশী চলত। কখনও কখনও দেখা যেত মাথায় ওরা অক্টোপাসের ছবিও একেছে। কেউ কেউ মাথায় নাগমণিও একে নিত। ###- বিয়ের দিন ক্যামেরাম্যান ছবি তুলতে গিয়ে প্রতিফলনজনিত নানাবিধ সমস্যায় পড়ত।
মেয়েদের মাথায় টাক থাকলে সম্ভাব্য যা ঘটতো।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন