একি! তোর মনে নেই? ঠিক এ দিনটাতেই
তো!
ঐ যে আমাকে ঘুম ভাঙানোর কথা ছিল,
কথা ছিল ঠিক সকালেই
আমাকে এগিয়ে দেবে।
-"সবকিছু নিয়েছিস তো ঠিকমতো?
টাকা আছে? হঠাত্
ঘুমিয়ে পড়বি না তো?"
এত্ত প্রশ্নবাণে জর্জরিত হয়েও
হাসি আমি। এবং ভুল অংকের মত
ঘুমটা সকালে ভাঙলো না!
"মুভি ফেস্টিভাল শুরু হলো যে,
একটা দিন পরে গেলে কি হতো তোর?"
-আজব তো! যাবো না আমি?
সকালের ব্যস্ত রাস্তায় ছোট্ট
বাক্যটা আবিষ্কার করতে দেরি হয়না।
"... তুই দূরে থাকলে কিছুই আমার
ভালো লাগেনা।"
ছোট্ট ছোট্ট বার্তা, কী যেন একটায়
পরিপূর্ণ। সেই "কী যেনটার" দুর্বার
মায়ায়
মনে আসতে থাকে একাকি কথোকপথন।
-"আমাকে কাশবন
দেখাতে নিয়ে যাবি?"
-"এ এবার নতুন কী? নদীর পাশে অনেক
আছে তো!"
-"আমি দেখেছি নাকি তোর নদী?"
-"আচ্ছা নিয়ে যাব, জানিস তো,
বালি গুলো একদম সাদা।"
কল্পনায় গাঢ় বাদামী বুদ্ধিদীপ্ত চোখ
দুটো হয়ে যায় চড়ুই পাখির ডানা,
গল্পের তোড়ে নড়তে থাকা আঙুল
হয়ে ওঠে পুতুল নাচ,
আর তার ছায়া হয়ে যায় নিরাপদ বটবৃক্ষ!
ধানক্ষেতের সবুজ গন্ধে স্মৃতির
লেখনী বাড়তে থাকে।
-"এভাবে একা চলে গেলি কেন তুই?"
-"কী অভিমান রে বাবা! কুম্ভকর্ণের
ঘুমটা কার ছিল শুনি?"
কিন্তু তোকে যে জাগাতে চাইনি,
আরেকটু ঘুমাক,
সকালের রোদটা জাগিয়ে দিক।
এলোমেলো চুল
গুলোতে ছেঁড়া তুলো স্বপ্ন বুনুক।
ঝাপসা চোখটা ঘড়ির
কাঁটাকে বারবার
পিছে ফিরিয়ে নিক।
বারবার, যেখানে আমি আর তুই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




