সিলেটবাসীর কপালে আরও কত যে দুঃখ আছে তা বলা মুশকিল!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
প্রসঙ্গ কিন ব্রিজে ফাটল
সিলেটের কিন ব্রিজ নিয়ে পলাশ আহমদের লেখা সংবাদে লম্বা একটি মন্তব্য লিখেছিলাম কিন্তু নেটে সমস্যার কারনে প্রায় ১৫মিনিটের লেখা মন্তব্যটি আর প্রকাশ করা গেলনা বরং লেখাটিও হাওয়া হয়ে গেল। সিলেটবাসীর জন্য সিলেটের বড় বড় নেতারা অনেক করেছেন। তবে তাদের মধ্যে অন্তর্কলহের (কইন মারামারি) কারণেই সিলেটবাসীর অপুরণীয় তি হয়ে গেল, হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা বন্ধ হওয়ার সম্ভবনাও দেখা যাচ্ছেনা। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে সিলেটের কৃতি সন্তান মরহুম স্পীকার হুমায়নুর রশীদ চৌধুরী সাহেব মেয়াদোত্তীর্ণ কিন ব্রিজটি ভেঙ্গে সেস্থলে ৪লেন বিশিষ্ট একটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং ব্রিটিশ সরকার এর নকশা থেকে শুরু করে সমুদয় ব্যয়ভার বহনের জন্য অর্থ বরাদ্ধ করে তা পাঠিয়েও দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে চারদলীয় জোট সরকার মতায় আসার পর চামচা, দালাল, বাটপারদের কুমন্ত্রনায় কারিশমা দেখানোর জন্য সিলেটের আরেক কৃতি সন্তান সাবেক অর্থমন্ত্রী এম.সাইফুর রহমান ৪ লেনের পরিবর্তে সেখানে ঝুলন্ত ব্রীজ নির্মাণের ঘোষনা দেন। পরবর্তীতে ঝুলন্ত সেতুর মুলা কিছুদিন ঝুলার পর চামচা, দালাল, বাটপার যারা সাবেক অর্থমন্ত্রী এম.সাইফুর রহমানের চারপাশে সবসময় ঘুর ঘুর করতো তাদেরই কুমন্ত্রনায় ঝুলন্ত সেতুর পরিবর্তে এই শত বছরের পুরনো ব্রীজটি যথাস্থানে রেখে এর সংস্কার ও রঙ চঙয়ের নামে বেশ কয়েক কোটি টাকা লুটপাট করতে সম হয় এবং কাজিরবাজার ও শেখঘাটের পার্শ্বে আরেকটি ব্রিজ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু ফখরুদ্দিনের ফুলের মতো পবিত্র সরকার আসার পর সেই সেতুটির কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। দেখা যায় কিছু খাম্বা দাড় করানো আছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এদিকে দালাল বাটপার চামচারা নিজের আখের গোছাতে সম হলেও সিলেটবাসীর জন্য সৃষ্টি হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। নদীর এপার থেকে ওপারে যেতে হলে কত যে দুর্ভোগ পোহাতে হয় তা একমাত্র ভুক্তভোগিরাই জানেন। এতদিন গাদাগাদি করে মোবাইল টাকাপয়সা পকেটমার টাউট বাটপারদের হাতে খুইয়েও নাহয় কিনব্রিজদিয়ে হেটে হেটেও পার হওয়া যেতো সুরমা নদী। আজ হঠাৎ করে ফাটল দেখা দেওয়ায় সে পথও বন্ধ। এদিকে পথচারিদের কষ্টের সীমা নাই। অপরদিকে কোটি কোটি টাকা যারা পকেটস্থ করেছে সেসব দালাল বাটপাররা হয়তো দাত বের করে হাসছে আর বলছে ফাটল মেরামতের নামে আবারও বড় অংকের দান মারা যাবে। নিজে না পেলেও জাতি ভাইতে পাবে। তবে এর অবসান ২০২১ সালের পুর্বে হবে বলে এখনও ভাবা যাচ্ছে না।
সিলেটবাসীর কপালে আরও কত যে দুঃখ আছে তা বলা মুশকিল!
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?
অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।

১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন
১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন
=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?
যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!
যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।