ছোট বেলার মফস্বল শহর-এর কোন এক আবৃত্তি অনুষ্ঠানে কবিতা 'হঠাৎ দেখা' পড়েছিলাম। ভীষন সাড়া পড়েছিল সেই কবিতা পড়ার পর। আপনারা যারা কবিতা টা পড়েছেন, বুঝতেই পারেন যে, এই কবিতাটা একটা ছেলে পড়লেই হয়তো বেশী মানাতো! কিন্তু পড়েছিলাম--'আমি তখন নবম শ্রেণী'...গার্লস স্কুলের এক ছাত্রী! 'আবৃত্তি সংসদ'-এর মিলন ভাই বলেছিলেন “ খুব ফিলিং দিয়ে পড়তে হবে, বুঝলি?”... আমি মাথা নেড়ে ছিলাম হ্যাঁ সূচক ভাবে! অনেক অন্যরকম ছিল ওই কিশোরী কালের 'হঠাৎ দেখা' পড়টা। নায়ক আর নায়িকার কষ্ট আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছিল! .......খুব বেশী যে তাদের কষ্টের সাথে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলাম- এমন দাবী ও করবো না তবে কষ্ট যে পেয়েছিলাম সেতো খুব সত্যি!
সেই কবিতা নিয়ে তখন কেবল ‘বেশী না বোঝা’ ছিল...আর এখন সেই খানে তৈরী হয়েছে ‘একটু অন্য ভাবে বোঝা”!! জীবনের এলোমেলো আঁকা-বাঁকা পথে অনেক দেখা হওয়াই হয়েছে, অনেক মানুষ-এর সাথে...ভাবিনি সে সব দেখা হওয়াও সম্ভব ছিলো বা হতে পারতো কোনদিন! (সেই সব দেখা হবার গল্প না হয় আজ আর এখানে না করি!)
বরং বলি...এই 'হঠাৎ দেখা' নিয়ে আমার এলেবেলে কথা! দেখা যে কেবল 'একজন নায়কের তার পুরানো প্রেমিকা-র সাথে রেইলগাড়ি-র কামরা তে’ ই হবে...এমন যে বুঝাচ্ছি না, সেটা বলেই রাখছি। কারো সাথে কোন সুসময়ে দেখা হয়, কারো সাথে বা ঘোর দুঃসময়ে! সারা জীবনটাই সেদিক দিয়ে ঝুঁকি-র এক মস্ত কারখানা মনেহয়! কারণ দুঃসময়ের দেখা গুলিই যেনো অনেক বেশী অস্বস্তিকর, অনেক শ্বাসরুদ্ধকর!
.....
(চলবে এই লেখা টা। আপনারা যারা ভীষন ভালো লেখেন তাদের কাছে এই এলেবেলে লেখাটা শুরুর জন্য আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি!)
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




