--তোমার আল্পনা কতদূর?
-তা জেনে আর কি হবে?সাগরপাড়ের আল্পনা,আসুক ঢেউ,মিশিয়ে দিক বালুর সাথে।আগে জানলে বালুতে মিছে আল্পনা!অমন ভুল কখনোই করতাম না আমি।
-বাব্বা,বেশ অভিমান দেখছি।
-এ অভিমান ভাঙবার নয় বলছি।চলে যাও তুমি।
-বুঝতে পেরেছি।আল্পনায় ঢেউ আঘাত হেনেছে বুঝি?কিন্তু কি করে সম্ভব তা?এত উঁচু বাধ তো দিচ্ছি।ঢেউয়ের তো সে সাধ্য নেই এ বাঁধ ডিঙাবার!
-কঁচু বুঝেছ তুমি।অতগুলো দিন পর দেখা হল,আমার হাত দুটোও তো অন্তত ছুয়ে দিতে পারতে!
-ও,এই কথা!কি হতো হাত ছুলে বল?আমি তো আর এমন কেউ নই যার ছোঁয়ায় কারো জীবন ধন্য হয়ে যাবে।হা হা।
-ঠাট্টা রাখো।বল,কেন ছুয়ে দাওনি আমার হাত?কতদিন তোমার স্পর্শ পাবার জন্য এ হাতে আমি মেহেদী রাঙিয়েছি,জানতে চেয়েছো কখনো সে কথা?
-না,জানতে চাইনি।
-তুমি অমনভাবে বলছ যেন তুমি জানতে বলেই জানতে চাওনি কখনো?
-ঠিক তাই।
-তবে কেন স্পর্শ করলেনা আমার এ মেহেদী রাঙানো হাত?যোগ্য ছিলনা বলে?
-সুভাষিণী,তুমি জানোনা,তোমার হাত দুটি ছোবার লোভ ঢাকতে আমি নিজেকে কতটা ক্ষয় করেছি।আমার কি ইচ্ছে করেনা তোমায় ছুয়ে ভালবাসতে?
-তবে কেন কষ্ট সইলে বল?যে হাতে তোমার তরে মেহেদী রেঙেছে,সে হাত না ছুয়ে কেন তুমি কষ্ট সইলে?আমায়-ই বা কেন কষ্ট দিলে?
-তোমার ঐ হাতেই যে আমাদের ভালবাসার আল্পনা তৈরী হচ্ছিলো শোভা।তোমার হাত দুটি ছুতে গেলে যদি আমাদের ঐ আল্পনাটা নষ্ট হয়ে যায়!এ ভয়েই তোমায় ছুইনি শোভা।আমায় ক্ষমা করে দিও।তোমায় বড্ড ভালবাসি যে!
-আমিও কি কম ভালবাসি তোমায়?
-সে অভিযোগ তো আমি করিনি।
-নাও,ছুয়ে দেখ আজ।আর আল্পনা বহুদূর চলছে।সে আর পিছু ফিরবার নয়।