somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

সন্তান দত্তক বা পালক নেওয়া; ইসলামী শরিয়াহ কি বলে?

২৮ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যে কারণে এই পোস্ট
ইসলামে সন্তান দত্তক নেয়ার বিধি-বিধান বিষয়ে একটি পোস্ট বর্তমানে আলোচিত পাতায় রয়েছে। মূলত: ব্লগার মাহমুদুর রহমানের সেই পোস্টটিতে মন্তব্য করার খেয়ালেই বিষয়টি নিয়ে লেখার অবতারনা। এক পর্যায়ে তার পোস্ট এবং সেই পোস্টে উঠে আসা বিজ্ঞ ব্লগারদের মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যগুলো পর্যবেক্ষনের পরে অল্প কথায় বিষয়টিতে মনের ভাব ব্যক্ত করা দুরূহ বলে প্রতীয়মান হওয়ায় শেষমেষ সংক্ষিপ্ত সময়ের ব্যবধানে পূর্ণ একটি পোস্ট দেয়াই সঙ্গত মনে হলো। অতি অল্প পরিমান তথ্য-উপাথ্যের ভিত্তিতে পোস্টটি সংকলন করার চেষ্টা করেছি। তারপরেও কারও চোখে তথ্য কিংবা তত্ত্বগত কোনো ত্রুটি-বিচ্যূতি ধরা পড়লে সবিনয়ে জানানোর অনুরোধ থাকলো। ব্লগার মাহমুদুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা, তার উক্ত পোস্টে মন্তব্য করার চেষ্টা থেকেই যেহেতু এই পোস্টের জন্ম। সকলের মঙ্গল হোক।

ইসলামী শরিয়াহর দৃষ্টিতে সন্তান দত্তক নেয়া
ইসলামী শরিয়ায় অন্য কারো সন্তান লালন-পালন এবং তার অভিভাবকত্ব গ্রহনের অনুমতি রয়েছে। কেউ যদি কোনো ইয়াতিম, অনাথ, গৃহহীন বা অবহেলিত শিশুকে নিজের সন্তানের ন্যায় অন্ন-বস্ত্র ও সব ধরনের সহযোগিতার মাধ্যমে লালন-পালন করেন কিংবা কোনো নিঃসন্তান দম্পতি কোনো শিশুকে মাতৃপিতৃস্নেহে লালন-পালন করে তাকে স্বেচ্ছায় কিছু দান করেন, তাহলে শরিয়তে তা নিষিদ্ধ নয়। বরং, ইয়াতিম, অনাথ, অসহায়, স্বজনহারা এবং দরিদ্র শিশুর অভিভাবকত্ব নিয়ে তার দেখাশোনার দায়িত্ব গ্রহণ করে তাকে যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তোলাকে ইসলামী শরিয়াহ বরাবরই উত্সাহিত করে থাকে। ইসলামী শরিয়াহ এ ধরনের কাজকে অনেক বেশি পূন্যময় বলে ঘোষণা করেছে। আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ ফরমান, ‘আমি ও ইয়াতিমের অভিভাবক জান্নাতে দুই আঙুলের ন্যায় অতি কাছাকাছি থাকব।’ (বুখারি : ৬০০৫)

শুধু তাই নয়, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইয়াতিমের খোরপোশ ও লালন-পালনের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করে, আল্লাহ তাআ'লা তাকে জান্নাত দান করবেন।’ (তিরমিজি : ১৯১৭)

ইসলামী শরিয়ায় পিতৃপরিচয় ছিন্ন করা অবৈধ
ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক সন্তান দত্তক নেয়ার সময় স্মরণ রাখতে হবে, চুক্তিপত্রে সই করে সন্তানের পিতৃপরিচয়স্বত্ব ত্যাগ করে এমনভাবে দেয়া যাবে না যে, জন্মদাতা মা-বাবা আর কখনো ওই শিশুর মা-বাবা হিসেবে পরিচয় প্রকাশ করতে পারবেন না। ইসলাম এ কাজ কখনো সমর্থন করে না। কেননা, ইসলাম সাওয়াবের নিয়তে অসহায়ের পাশে দাঁড়াতে বলেছে, কিন্তু সন্তান দখল করা কিংবা তার প্রকৃত পরিচয় বিলুপ্ত করার অনুমতি আদৌ দেয়নি। অনেক সময় দেখা যায়, টাকার বিনিময়ে গরিব মা-বাবা সন্তান দত্তক দেয়ার নামে সন্তানকে বিক্রি করে দেন। এটাকে এক ধরনের সন্তান বেচাকেনাও বলা যেতে পারে। এটি কেবল অমানবিকই নয়, ঘৃণ্যও বটে। ইসলামে এ ধরনের স্বাধীন মানুষ ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ হারাম। নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআ'লা ইরশাদ করেন, ‘কিয়ামতের দিন আমি তিন ব্যক্তির প্রতিপক্ষ হব—এক. ওই ব্যক্তি, যে কোনো কাজে আমার নামে কারো সঙ্গে কসম করার পর তা ভঙ্গ করেছে। দুই. যে ব্যক্তি কোনো স্বাধীন মানুষ বিক্রি করে সম্পদ অর্জন করেছে। তিন. আর যে ব্যক্তি কোনো লোক দিয়ে কাজ করিয়ে তার বিনিময় দেয়নি।’ (বুখারি : ২২২৭)

ইসলামী শরিয়া মতে পালক সন্তানের বিধান
শিশু সন্তানকে দত্তক বা পালক নিলে ইসলামী শরিয়তে তার কোনো বিধানই পরিবর্তন হবে না; বরং তার আগের অর্থাত, জন্মদাতা আসল মা-বাবা ও আত্মীয়পরিচয় এবং মা-বাবার অভিভাবকত্বের অধিকার যথারীতি অক্ষুন্ন থাকবে। এককথায়, পালক বা দত্তক দেয়া বা নেয়ার ফলে এই শিশু সন্তানের জন্মদাতা মা-বাবার অভিভাবকত্ব এবং উত্তরাধিকারে কোনো পরিবর্তন আসবে না। দত্তক নেয়ার বা দেয়ার আগের ও পরের বিধান সম্পূর্ণ অভিন্ন। এক্ষেত্রে সন্তান লালন-পালনকারী ব্যক্তির সওয়াব পাওয়াটাই মূখ্য এবং মৌলিক বিষয়।

লালন-পালনকারীদের মা-বাবা সম্মোধন করতে পারবে পোষ্য সন্তান
দত্তক সন্তানের জন্য লালন-পালনকারীদের সম্মানার্থে মা-বাবা ডাকা জায়েজ। একইভাবে তারাও সন্তানকে স্নেহ করে ছেলেমেয়ে ডাকতে পারবে। তবে এটা মনে করার সুযোগ নেই যে, পালক নেওয়ায় সন্তানের আসল মা-বাবা থেকে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে এবং এখন লালন-পালনকারীগনই তার সব কিছু—এটা মনে করা সম্পূর্ণ অনুচিত এবং নিষিদ্ধ। এটি জাহেলি যুগের কুসংস্কার। আল কুরআনে বিষয়টি কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির ৬/৩৩৭, সুনানে আবু দাউদ : ১৯৪০)

আমরা জানি, স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জায়েদ রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে দত্তক হিসেবে গ্রহন করে নিজ ঘরে সন্তান স্নেহে লালন-পালন করে বড় করে তুলেছিলেন। তাঁর পিতার নাম ছিল হারেসা। তাঁকে সবাই জায়েদ ইবনে মুহাম্মাদ—অর্থাত্ মুহাম্মাদের পুত্র বলে ডাকতো। আল কুরআনের আয়াত নাযিলের মাধ্যমে বিষয়টি নিষেধ করে দেয়া হয়। পরে সবাই তাঁকে জায়েদ ইবনে হারেসা বলেই ডাকতে শুরু করেন। কুরআনুল হাকিমে মহান আল্লাহ তাআ'লা ইরশাদ করেন,

وَمَا جَعَلَ أَدْعِيَاءكُمْ أَبْنَاءكُمْ ذَلِكُمْ قَوْلُكُم بِأَفْوَاهِكُمْ وَاللَّهُ يَقُولُ الْحَقَّ وَهُوَ يَهْدِي السَّبِيلَ

‘আর আল্লাহ তোমাদের পোষ্যপুত্রদের তোমাদের পুত্র করেননি, এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ সঠিক কথা বলেন এবং সরল পথ প্রদর্শন করেন। (সুরা আহজাব : ৪)

Allah has not made your adopted sons your sons. Such is (only) your (manner of) speech by your mouths. But Allah tells (you) the Truth, and He shows the (right) Way.

ادْعُوهُمْ لِآبَائِهِمْ هُوَ أَقْسَطُ عِندَ اللَّهِ فَإِن لَّمْ تَعْلَمُوا آبَاءهُمْ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ وَمَوَالِيكُمْ وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُم بِهِ وَلَكِن مَّا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا

'তোমরা তাদের পিতৃপরিচয়ে ডাকো। এটাই আল্লাহর কাছে ন্যায়সংগত বিধান। যদি তোমরা তাদের পিতৃপরিচয় না জানো, তবে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধুরূপে গণ্য হবে। এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা আহজাব : ৫)

Call them by (the names of) their fathers: that is juster in the sight of Allah. But if ye know not their father's (names, call them) your Brothers in faith, or your maulas. But there is no blame on you if ye make a mistake therein: (what counts is) the intention of your hearts: and Allah is Oft-Returning, Most Merciful.

রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে নিজের পিতাকে ছাড়া অন্য কাউকে পিতা বলে দাবি করে, তার জন্য জান্নাত হারাম।’ (বুখারি : ৪৩২৬)

মুসলিম শরিফে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে- 'রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নবুওয়াতের পূর্বে কৃতদাস শিশু যায়েদ ইবনে হারেছাকে মুক্ত করে দত্তক পুত্র করে রেখেছিলেন। সে রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ঘরে, তারই পিতৃস্নেহে লালিত-পালিত হয়ে বড় হয়। আমরা তাকে যায়েদ ইবনে মুহাম্মাদ (মুহাম্মদের পুত্র যায়েদ) বলেই সম্বোধন করতাম। যখন সুরা আহজাবের ৫ নম্বর আয়াত অবতীর্ণ করে আল্লাহ নির্দেশ দিলেন, ‘তাদের (পালক সন্তানদের) পিতৃ-পরিচয়ে তোমরা তাদের ডাকবে’- তখন আমরা আমাদের পূর্বের ডাক পরিবর্তন করি।' (সহিহ মুসলিম:৬৪১৫)

উপরোক্ত আয়াতদ্বয় এবং অত্র হাদিসের আলোকে বুঝা যায়, ‘লালন-পালনকারীকে সম্মান ও কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মা-বাবা ডাকা বৈধ হলেও কাজটি অনুত্তম এবং অনুচিত। কেননা, এতে জাহেলিয়াতের কুসংস্কারের সঙ্গে কিছুটা হলেও সাদৃশ্য বর্তমান। ইসলাম এ ধরনের সাদৃশ্য পছন্দ করে না।' -এমন অভিমতই পোষন করেছেন যুগশ্রেষ্ঠ ফকিহ মুফতি শফি রহমাতুল্লাহ আলাইহি। (আহকামুল কোরআন : ৩/২৯২)

দত্তক গ্রহনের ফলে উক্ত সন্তান লালন-পালনকারীদের সম্পদের উত্তরাধিকারী সাব্যস্ত হবে না
ইসলামী শরিয়া মোতাবেক লালন-পালনকারীর মৃত্যুর পর বা তাদের অবর্তমানে ওই সন্তান উত্তরাধিকার হিসেবে তাদের সম্পত্তি থেকে কোনো অংশ পাবে না। একইরকমভাবে লালন-পালনকারীগণও ওই সন্তানের ওয়ারিশ সাব্যস্ত হবে না। হ্যাঁ, লালন-পালনকারীগন জীবদ্দশায়ই পালক সন্তানকে নিজের সম্পত্তি থেকে দান করতে পারবেন অথবা লালন-পালনকারীর মৃত্যুর পর তাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদ তাকে দেয়ার জন্য আত্মীয়-স্বজনদের অসিয়ত করে যেতে পারবেন। শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, এই অসিয়ত কেবল এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ থেকেই কার্যকর হবে। অনুরূপ সন্তানের আসল মা-বাবা ও আত্মীয়স্বজন থেকে অবশ্যই সে উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধিকারী হবে। কেননা, তাকে পালক দেয়ার কারণে তার উত্তরাধিকার সম্পত্তির অধিকার খর্ব হয়নি। (তাকমিলাতু ফাতহিল কাদির : ১০/১২২)

বিয়ে এবং পর্দার বিধান
লালন-পালনকারীর সঙ্গেও পালিত সন্তানকে পর্দার ক্ষেত্রে পুরোপুরি ইসলামের বিধান রক্ষা করে চলতে হবে। নিজ হাতে লালন-পালন করেছি বলে পর্দার বিধান লঙ্ঘনের কোনো সুযোগ এখানে নেই। অর্থাত্ পালক নেয়া শিশুটি ছেলে হলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তাকে পালক নেওয়া মায়ের সঙ্গে পর্দা করতে হবে। অন্যদিকে পালক নেওয়া শিশুটি মেয়ে হলে বয়স্ক হওয়ার পরে তাকে পালক নেওয়া বাবার সঙ্গে পর্দা রক্ষা করে চলতে হবে। এর কারণ হচ্ছে, ইসলামী শরিয়াহ মতে, দত্তকসংক্রান্ত সম্পর্ক কখনো বংশীয় সম্পর্কে পরিণত হয় না। এমনকি যদিও কারও কারও নিকট বিষয়টি শ্রুতিকটু অনুভূত হতে পারে, তথাপি প্রকৃত সত্য হচ্ছে, তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কও অন্য সাধারণ মানুষের ন্যায়ই বৈধ। এতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। (তুহফাতুল ফুকাহা : ২/১২৩)

তবে এক্ষেত্রে পর্দার বিধানটি শিথিল করে দেয় এমন একটি সহজ পদ্ধতি রয়েছে, যা অবলম্বন করা যেতে পারে। তা হলো, দুগ্ধপোষ্য থাকা অবস্থায় পালক শিশুটিকে তার লালন-পালনকারীগণের ভেতর থেকে এমন কোনো মহিলা আত্মীয়ার দুধ পান করিয়ে নিতে হবে, যার ফলে শিশুটির সঙ্গে তাদের দুধসম্পর্কের আত্মীয়তার সম্পর্ক সাব্যস্ত হয়ে যায়। তখন তাদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাত যেমন বৈধ হবে তেমনি এক্ষেত্রে লালন-পালনকারীদের সাথে উক্ত সন্তানের প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরে পর্দা করাও জরুরি হবে না এবং তাদের পারস্পারিক বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনও চির দিনের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। (বুখারি : ২৬৪৫)

অনাথ, অসহায় শিশু-সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহন অশেষ সাওয়াবের কাজ, সাওয়াবের কাজে উতসাহিত করুন
অনাথ, অসহায়, পিতৃমাতৃহীন কিংবা স্বজনহারা কোনো শিশু-সন্তানের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহনকে ইসলাম অবশ্যই সাওয়াবের কাজ সাব্যস্ত করেছে। এটি নি:সন্দেহে পূন্যের কাজ। কোনো অসহায় ইয়াতিম অনাথ সন্তানকে আপনি দয়া করে লালন-পালন করলে নিশ্চিতভাবে তার জন্য সাওয়াব লাভ করবেন। তবে তা হতে হবে অবশ্যই ইসলামী শরীয়ার ভিত্তিতে। শরিয়াহ মোতাবেক। আসুন, ইসলামী শরিয়াহর বিধানাবলী জেনে বুঝে তার উপরে আমল করার চেষ্টা নিজে করি, অন্যকেও উদ্বুদ্ধ করি। আল্লাহ পাক আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন। বিতর্ক পরিহার করে আলোচিত বিষয়টি কুরআন হাদিসের আলোকে সঠিকভাবে বুঝার এবং সেই অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন।



তথ্যসূত্র:
১। তাফসিরে ইবনে কাসির
২। আহকামুল কোরআন
৩। সহিহ বুখারি
৪। সহিহ মুসলিম
৫। জামে আত তিরমিযি
৬। সুনানে আবু দাউদ
৭। তুহফাতুল ফুকাহা
৮। তাকমিলাতু ফাতহিল কাদির
৯। অন্যান্য।

ছবি: অন্তর্জাল।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫২
১৭টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×