মিশরের রাজধানী কায়রোর নিকটবর্তী আল ওয়াফা আল আমাল পাবলিক কবরস্থান (The Al-Wafaa Wa al-Amal public cemetery in Cairo)। এখানেই সমাহিত করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মাদ মুরসিকে।
ছবি: আল জাজিরাহ নিউজের সৌজন্যে প্রাপ্ত।
সত্যের পথের নির্ভীক এক সৈনিকের প্রস্থান:
সত্যের পথের নির্ভীক সাহসী সৈনিক ছিলেন তিনি। উপর্যুপরি অবর্ণনীয় জেল জুলূম আর নির্যাতনের তীব্র থেকে তীব্রতর সকল অত্যাচার মোকাবেলা করেছেন বিপুল ধৈর্য্য-স্থৈর্যে। মুহূর্তের জন্য হতাশ হননি। বছরের পর বছর ছিলেন জালিমের কারাগারে। বিনা দোষে। স্বার্থান্বেষী সুবিধাভোগীদের ইন্ধনে-ষড়যন্ত্রে। ২০১৩ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। হ্যাঁ, বলছিলাম মিসরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির কথা। তার পুরো নাম হাফেজ মুহাম্মাদ মুরসি ইসা আল-আইয়াত। একটি জীবন্ত ইতিহাসের নাম। তিনি ২০ অগাস্ট ১৯৫১ সনে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একই সঙ্গে ছিলেন একজন মিশরীয় রাজনীতিবিদ, প্রকৌশলী ও পঞ্চম রাষ্ট্রপতি। আদালতের কাঠগড়াতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত সোমবার। ১৭ জুন ২০১৯। মিসরের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা জবরদখলকারী স্বৈরাচারী সেনাপ্রশাসক সিসির অনুগত একটি আদালতের এজলাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
আদালতের এজলাসেই প্রাণ হারালেন সাহসী এ সৈনিক:
প্রসঙ্গত, মিশরের সেনাবাহিনী দেশটির প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যূত করার পর থেকে তাকে কারাগারেই বন্দী করে একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। বঞ্চিত করা হয়েছিল চিকিৎসাসহ সকল প্রকার মানবিক অধিকার থেকে। তাকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছিল। অবশেষে গতকাল সোমবার আদালতের এজলাসেই প্রাণ হারালেন তিনি।
মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট বিচারকের কাছে কথা বলার অনুমতি চাইলে তাকে কথা বলতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এসময় তিনি বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। এক পর্যায়ে তিনি হার্টঅ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মুরসির ছেলে আহমদ নাজাল ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লেখেন, আমার পিতা আল্লাহর কাছে চলে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে আরব বসন্তের জেরে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে বিশাল গণঅভ্যুত্থান। এতে পদচ্যুত হন হোসনি মোবারক।
ফেরাউনের প্রেতাত্মারা এখনও পূর্ণ সক্রিয় মিশরের রাজনীতিতে:
অবস্থা দৃষ্টে মনে করা অস্বাভাবিক নয় যে, ফেরাউনের প্রেতাত্মারা এখনও পূর্ণ সক্রিয় মিশরের রাজনীতিতে। ফারাও বা ফেরাউন রাজবংশের কুখ্যাত অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠী কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে হাজার হাজার বছর পূর্বে। কিন্তু এখনও যেন তাদের প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়ায় মিশরের আকাশে বাতাসে। ফারাওরা যেন পূর্ণ সক্রিয় দুর্ভাগা মিশরবাসীর ভাগ্য নিয়ন্ত্রণে। মিশরের শাসন ক্ষমতায় দীর্ঘ দিনের জেকে বসা স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের পতনের পর হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও মিশরের গণতন্ত্র তখনও ছিল সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের প্রতি অনুগত সেনাবাহিনী, সাংবিধানিক আদালতসহ কয়েকটি গণবিচ্ছিন্ন এলিট গোষ্ঠীর হাতে বন্দী। যার কারণে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই অবৈধ সুবিধা ভোগ করে আসা এসব কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর সাথে তার সংঘাত চলে আসছিল। তাদের ইন্ধনেই দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র এক বছরের মাথায় সেকুলার ও বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলন শুরু করে আর সেই আন্দোলনকে অজুহাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে।
মুরসির দল ক্ষমতায় এলেও সর্বস্তরেই সক্রিয় ছিল সেনা সমর্থিত সুবিধাভোগী হোসনি মুবারাকের অনুসারীরা:
এই বাস্তবতার কারণেই হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই প্রভাবশালী ‘ফরেন পলিসি’ ম্যাগাজিনের মন্তব্য ছিল, ‘‘মুরসির রাষ্ট্রপতিত্ব প্রাথমিকভাবে মিশরের অভ্যন্তরীণ নীতি গঠনে সামান্যই প্রভাব ফেলবে, কেননা প্রশাসনের সর্বস্তরেই মূলত: হোসনি মুবারাকের অনুসারীরা, বা তার অনুগতরা বা তার দ্বারা নিযুক্তরা কর্মরত আছে।’’
সাংবাদিক ইয়সরি ফাউদাকে দেয়া এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে মুরসি বলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি শাসিত ও সংসদ শাসিত ব্যবস্থার সংমিশ্রণে একটি সাময়িক অন্তবর্তিকালীন প্রশাসনের পক্ষপাতী, যার মধ্য দিয়ে প্রশাসনের স্বাভাবিকীকরণ আর গতিশীলতা বজায় থাকবে। কিন্তু দেশটির তথাকথিত সাংবিধানিক আদালত ও সেনাবাহিনী দেশটির নির্বাচিত পার্লামেন্টকে বিলুপ্ত করে দিয়েছিল। অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই পার্লামেন্ট পুনর্বহালের ঘোষণা দেন। এর ফলে ২০১২ সালের ১০ জুলাই প্রেসিডেন্টের প্রতি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে।
হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রেখেছিল সিসি প্রশাসন:
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি কারাগারে অকালে মারা যেতে পারেন বলে আন্তর্জাতিক কয়েকটি সংস্থা আগে থেকেই সতর্ক করেছিল। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, সাবেক এ প্রেসিডেন্টকে কারাবন্দি রাখার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির আগাম মৃত্যুর জন্য ক্ষমতাসীন আবদেল ফাত্তাহ আল সিসিকেও দায়ী করেছিল যুক্তরাজ্যের বিশেষ স্বাধীন বন্দিত্ব পর্যালোচনা প্যানেল ইনডিপেনডেন্ট ডিটেনশান রিভিউ প্যানেল।
সোমবার আদালতে হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যর পর অনেক্ষণ মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রেখেছে সিসি প্রশাসন। সঠিক সময়ে হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির মৃত্যুর খবরও দেয়া হয়নি বলে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে। জীবিত হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসিকে তারা ভয় পেত এটা ঠিক। ভয় পেত বলেই তাকে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে পুরে একের পর অসংখ্য মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে নিপীড়ন নির্যাতন করে আসছিল। শেষ পর্যন্ত তাহলে কি মৃত হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসিকেও কি ভয় পায় তারা? তা না হলে তার মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা কেন?
সব কারসাজি অন্ধকারের বাসিন্দা সুবিধাভোগীদের:
মিশরের তথাকথিত সামরিক পরিষদ এক বিবৃতিতে তথাকথিত সাংবিধানিক আদালতের পার্লামেন্ট বিলুপ্তির আদেশ সমুন্নত রাখার আহবান জানায়। কিন্তু এসব বৈরী প্রতিপক্ষের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেই ক্ষমতা গ্রহণের এক সপ্তাহের মাথায়ই প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি সংসদের অধিবেশন ডাকার নির্দেশ জারী করেন। হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি গণতন্ত্রকে সমুন্নত করার পদক্ষেপ শুরু করেছিলেন। কিন্তু দুর্নীতিপরায়ণ বাম ও সেকুলার রাজনীতিকরা গণতন্ত্র বিরোধী সেনাবাহিনী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে হাত মিলিয়ে হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু করলে সেনাবাহিনী হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যূত করার সুযোগ লুফে নেয়।
সেনাপ্রধান থেকে প্রেসিডেন্ট:
মিশরে গত সাইত্রিশ বছরের ইতিহাসে তিনিই ছিলেন প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ২০১৩ সালে কথিত গণঅসন্তোষের সুযোগ নিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিসরীয় সেনাবাহিনী। পরে প্রেসিডেন্টের মসনদে বসেন হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির হাতে সেনাপ্রধান হওয়া আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। ২০১৩ সালে হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ করা হয়। এর হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এবং বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়।
পাশ্চাত্যের দ্বিমুখী চরিত্র চেনার আরেকটি সুযোগ:
মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি তার হাজার হাজার বিপ্লবী সমর্থককে নিয়ে গত পাঁচ বছর ধরে কারাগারে ছিলেন কিন্তু পাশ্চাত্যের কেউ তার পক্ষে টু শব্দটি পর্যন্ত করেনি। একজন বৈধ এবং নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে অন্যায়ভাবে ক্ষমতাচ্যুত করার প্রতিবাদ করেনি। তাকে অন্যায়ভাবে জেলে আবদ্ধ করার বিপক্ষে কথা বলেনি। তার মুক্তির জন্য কোনো কথা বলেনি। এ থেকেই প্রমানিত হয়, গোটা পাশ্চাত্য শক্তির অবস্থান সত্যের পক্ষে নয়, বরং সবসময়ই নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে। তাদের দ্বিমুখী চরিত্র চেনার জন্য হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি এবং তার সমর্থকদের প্রতি চরম অন্যায়-অত্যাচার ও অবিচারের মোকাবেলায় তাদের মুখে কুলুপ এটে অব্যাহত নিরবতা একটি মাইলফলক হয়ে থেকে যাবে।
হালুয়া-রুটির ধান্ধাবাজ পল্টিওয়ালাদের কপালে কিছুই জোটেনি:
যেসব রাজনীতিবিদরা সে সময় হালুয়া-রুটির আশায় সিসির সাথে হাত মিলিয়েছিল, তাদেরও আজ আর কোন অস্তিত্ব নেই। গণতন্ত্র তো দূরের কথা দেশটিতে এখন আর কোনো রাজনীতিই নেই। স্বৈরতন্ত্র আগের চেয়ে আরো বহুগুন বেশি শক্তি নিয়ে জগদ্দল পাথরের মত জেঁকে বসেছে। সেই সাথে জেঁকে বসেছে দুর্নীতি আর তোষামোদি। ঠিক যেন নতুন ফারাওদের আগমনে গমগম করা আধুনিককালের মিশর। পার্থক্য এতটুকু, কয়েক হাজার বছর পূর্বের ফারাও শাসকদের সময়টায় গাড়ি, বিদ্যুত, কল কারখানা, বিমানসহ নানাবিধ সুবিধা মিশরে ছিল না, এখনকার ফারাওরা তা পাচ্ছেন। নব্য ফারাওরা বুঝি কিছুটা আধুনিক!
সিসি, আপনিও অমর নন, বিদায় এক দিন নিতেই হবে:
জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি। নির্মম নির্যাতন সয়ে সয়ে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি অটল ছিলেন তার নীতিতে। টলেননি। বিচলিত হননি একটুও। অবশেষে চলেও গেলেন। তার এ যাওয়াটা সুন্দরের। শিক্ষার। অনুকরণের। আদর্শের। তার জন্য পৃথিবীর মাটি ও মানুষ ব্যাথা-বেদনায় কাতরতা প্রকাশ করেছে। কেউবা কেঁদেছেন। দুআ করেছেন। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। তার শহিদী মৃত্যু কামনা করেছেন। তার জন্য জান্নাতপ্রাপ্তির দুআ করেছেন। উড়ন্ত পাখিদের ডানা ঝাপটানোতেও যেন অন্যরকম একটা ব্যথার অনুভব প্রকাশ পেয়েছে তার এই মৃত্যুতে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যে এবং সাজানো মামলায় হাজিরা দিতে এসে আদালতে তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছেন। মিথ্যের বিরুদ্ধে, অপশক্তির বিরুদ্ধে, জালিমের বিরুদ্ধে লড়তে লড়তে তিনি শাহাদাত বরণ করেছেন। তার এ মৃত্যু গৌরবের। তার এ মৃত্যু সম্মানের। কিন্তু আপনি যা করছেন, আপনার জন্য কেউ কাঁদবার থাকবে তো? কেউ ভাববার থাকবে তো? কেউ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করার থাকবে তো?
হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসির লাশ সমাহিত করা হয় যেখানে:
কায়রোর নিকটবর্তী আল ওয়াফা আল আমাল পাবলিক কবরস্থানে (The Al-Wafaa Wa al-Amal public cemetery in Cairo) সমাহিত করা হয়েছে প্রেসিডেন্ট হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসিকে।
হাফেজ ড. মোহাম্মদ মুরসি, হে সাহসী সৈনিক, আল্লাহ পাক আপনাকে ওপাড়ের রঙিন ভূবনে জান্নাতে উঁচু সম্মানে ভূষিত করুন।
বিবিসি ও আহরাম অনলাইন, দৈনিক সংগ্রাম, আলজাজিরাহ নিউজসহ অন্যান্য সংবাদপত্র অবলম্বনে।
কিছু সংবাদ লিঙ্ক-
মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোরসি মারা গেছেন- বিবিসি বাংলা
মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসি আর নেই- দৈনিক সংগ্রাম
মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির ইন্তেকাল
আদালতে মারা গেলেন মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট
যেভাবে মৃত্যু হয় মুরসির! মৃত্যুর বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা
এজলাসে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুরসির মৃত্যু
Egypt's ex-President Mohamed Morsi dies after court appearance
মোহাম্মদ মুরসির ইন্তেকালে বিশ্বব্যাপী প্রতিক্রিয়া। আল জাজিরাহ নিউজ যেভাবে তুলে ধরেছে-
Mohamed Morsi's death: World reaction
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৯ সকাল ৮:৪১