
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্প্রতি বিশাল প্রত্যাশা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন, যেখানে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে এটি ছিল তার প্রথম আমেরিকা সফর। ১২ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা এবং অভিবাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা। তবে, বিশেষ করে বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্পের কাছে নালিশ করে মোদি প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জনে ব্যর্থ হন, যা স্পষ্টতঃ তাকে গভীর হতাশায় নিমজ্জিত করেছে।
সফরের সময়, মোদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ট্রাম্পের সমর্থন কামনা করেন। তবে, ট্রাম্প এই বিষয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। এতে মোদি অত্যন্ত হতাশ হন, কারণ তিনি আশা করেছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করবে।
অন্যদিকে, অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের বহিষ্কারের বিষয়ে মোদির অনুরোধ সত্ত্বেও, ট্রাম্প প্রশাসন তাদের কঠোর নীতি অব্যাহত রেখেছে। সম্প্রতি, অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা ভারতীয়দের বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যেখানে তাদের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাখা হয়েছিল। এ ধরনের ঘটনা মোদির জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর এবং মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমেরিকা থেকে দ্বিতীয় দফায় ১১৯ অবৈধ অভিবাসীকে নিয়ে ভারতে এসেছে মার্কিন বিমান বাহিনীর সি-১৭ একটি পরিবহণ বিমান। ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাতে তা অমৃতসরে অবতরণ করে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে প্রথম ধাপে তারা পাঠিয়েছিল ১০৪ জনকে। সর্বশেষ গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহেই তৃতীয় দফার অবৈধবাসীদের নিয়ে তাদের আরো একটি বিমানের ভারতে আসার কথা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফর মোদির জন্য প্রত্যাশিত সাফল্য বয়ে আনতে পারেনি। বাংলাদেশ ইস্যুতে ট্রাম্পের নিরপেক্ষতা এবং অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর কঠোর নীতি মোদির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অবস্থানকে দুর্বল করেছে। ফলে, মোদি বর্তমানে মানসিকভাবে চাপে আছেন এবং তার শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে।
সার্বিকভাবে, মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর তার জন্য হতাশাজনক অভিজ্ঞতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ট্রাম্পের কাছ থেকে সমর্থন না পাওয়া এবং অবৈধ ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর মার্কিন কঠোর নীতি মোদির রাজনৈতিক কৌশল ও ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এতে তার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে, যা ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে।
ক্ষমতার দাপটে মদমত্ত অন্ধ মোদির এই শিক্ষা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতভাবেই রয়েছে। শুধু এতটুকুই নয়, আরও অনেক শিক্ষা তার জন্য অপেক্ষা করছে। কারণ, তিনি তার সাম্প্রদায়িক নীতিতে ভর করে গোটা ভারতকে বিভাজনের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এমনকি আদালতের উপরে অন্যায় হস্তক্ষেপ করে একের পর এক ঐতিহাসিক মসজিদ দখল করে মন্দির বানানোর কুকীর্তির কারণে কুখ্যাত হিসেবে ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।
মুসলিম সম্প্রদায়কে কোনঠাসা করার জন্য যত প্রকারের শয়তানি করা যায়, মোদি তার সবগুলোর প্রয়োগ করেছেন। গো হত্যাকে অপরাধ আখ্যায়িত করে বিভিন্ন প্রদেশে অসংখ্য মুসলিমকে প্রকাশ্য রাস্তায় পিটিয়ে হত্যার ইন্ধন এই মোদিই দিয়েছেন। গুজরাটের কসাই খ্যাত মোদি যে তকমাধারী খুনী তা গোটা বিশ্ব বহু আগে থেকেই জানে। সে কারণেই মোদির চানক্য নীতির অবসান চায় খোদ ভারতীয়রাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



