এরা কি আসলেই মানুষের জন্য রাজনীতি করেন? নাকি নিজেদের জন্য করেন বা ক্ষমতার জন্য করেন। আজ কালের পরিস্থিতি দেখে তো মনে হয় ওনারা নিজেদের জন্যই রাজনীতি করেন।
কোন সরকার দেশের জনগনের জন্য গঠিত হয়। সরকারের জন্য জনগন নয়, জনগনের জন্য সরকার। 14 দলের আন্দোলনের ফলে দেশে যে অবস্থার সৃস্টি হয়েছে তা বলা বাহুল্য। দেশের সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে গেছে 14 দলের আন্দোলনে। ঘরের বাইরে যেতে পারছে না। এটাই কি তাদের জনগনের করা জন্য রাজনীতি ? তাহলে তাদের চোখে কি পরে না দেশের মানুষের এই দূভের্াগ ?
কোন রাজনৈতিক দলই এই জনগনের কথা চিন্তা করে না। বি এন পি যখন বিরোধি দলে ছিল তখনো আমরা দেখেছি, সংসদ বর্জন, হরতাল, আন্দোলন ইত্যাদির মাধ্যমে দেশের বারটা বাজিয়েছে। সংসদ বর্জনের শুরুটা মূলত তারাই করেছে। আওয়ামিলীগ সেটাই ফলো করেছে।
তাহলে কারা দেশের জন্য রাজনীতি করে ? কোন দল কে দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে ? এ প্রশ্নের জবাব হয়তো কেউ সঠিক ভাবে দিতে পারবে না। অর্থাৎ আমাদেরকে বর্তমানে এই দল গুলোর সাথেই থাকতে হবে। বিশ্বেও উন্নত দেশ গুলোর দিকে যদি আমরা নজর দেই তাহলে দেখবো সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। আছে সুস্থ গনতন্ত্র চর্চা। ফলে তারা নিজের দেশকে করতে পেরেছে সমৃদ্ধশালি।
যদি কোন দাবি আদায়ের প্রসংগ আসে তাহলে আলোচনা করতে পারে। দাবিটা যেখানে আদায় করা যাবে সেখানে চাপ সৃষ্টি করেই দাবি আদায় করা যাবে। এ দাবি আদায় করার জন্য সাধারণ মানুষকে কেন জরানো হবে ? কেন সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলবে ? দেশের অধিকাংশ খেটে খাওয়া মানুষই সরকার বদল নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না। তাদের চিন্তা শুধু দো মুঠো ভাত।
সমাজের মধ্যবিত্তরাও চায় দেশের শান্তি পূর্ন অবস্থা। অফিসে যেতে ওদেরও যে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে । সবাই চায় আন্দোলন হোক কিন্তু সেটা হোক অফিসিয়াল পর্যায়ে। মাঠে নেমে আন্দোলন করে জনগনকে ভোগান্তিতে ফেলা ওরা চায় না।
যারা রাজনীতি করেন তাদেরকে এটা মনে রাখতে হবে আপনাদের চাহিদা ততক্ষন আছে যতক্ষন জনগন আপনাদের পাশে আছে। আপনার গ্রহন যোগ্যতা তাদের কাছে আগের মত আছে কিনা সেটাও আপনাকে ল রাখতে হবে। কারন আপনাকে যে এরাই ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
কিন্তু আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলের নেতারা মনে করেন একবার ক্ষমতা হাতে এলে আর যাবে না। কেউ কেরে নিতে পারবে না। সরকার ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে কোন ভুল কাজ করলে জনগন তা মানবে না আর এর জন্য দলের চাহিদা কমতে পারে। দলের নেতারা এ কথাটা মানতে চান না। এরা চায় জোর করে কিছু একটা আদায় করে নিতে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এ আজিজ এর কার্য কলাপ যেহেতো সমালোচিত হয়েছে। তিনি যেহেতো বিতর্কিত সেহেতো তাকে নিজের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিৎ। ভোটার লিস্ট নিয়ে উনি অনেক উল্টা পাল্ট কাজ করেছেন। সে ভোটার লিস্ট কারো কাছেই গহন যোগ্য হয়নি। কিন্তু এম এ আজিজ বলছেন আমার পদ একটি সংবিধানিক পদ আমাকে কেউ সরাতে পারবে না আর আমিও সরবো না। কেন সরবেন না ? যেখানে আপনি বিতর্কিত সেখানে আপনি কিভাবে থাকবেন ? আপনি কি দেশের নাগরিক না ? আপনার কি দেশে শান্তি বজায় রাখতে চান না ? আপনি থাকলেও নির্বাচন হবে গেলেও হবে তাহলে ক্ষমতা ছারতে বাধা কোথায়? কোন দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য কি এম এ আজিজ বসে আছেন ? দেশের সবাই চাচ্ছে যেন একটি নিরপেক্ষ, শান্তি পূর্ন নির্বাচন হয়।
এম এ আজিজ সরে গেলে যদি শান্তি পূর্ন নির্বাচন হতে পারে তাহলে দেশের শান্তির কথা চিন্তা করে উনাকে পদত্যাগ করতে হবে। আর যদি পদ ত্যাগ না করেন তাহলে বুঝা যাবে এর ভেতরে কোন কিছু লোকায়িত আছে।
দেশের মানুষ যাকে ভোট দেবে সেই যেন ক্ষমতায় আসতে পারে সে চেষ্টা ই সবাইকে করতে হবে। আমরা যে-যে দলই করিনা কেন, চাই একটি সুস্থ, শান্তি পূর্ন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যা দেশের প্রতিটা নাগরিক চায়।
এম এ আজিজের মাথায় বুদ্ধি আসুক, লজ্জার জন্ম হোক তার মনে, আর দেশে শান্তি ফিরে আসুক এ কামনা- ই করছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



