জন সম্মুখে স্বাধারণত রাজনৈতিক নেতারাই ভাষন দিয়ে থাকেন। একজন নেতা বা ভাষন দাতা কোন মাপের মানুষ তা সহজেই বুঝা যায় তার প্রদত্ত ভাষন শুনে। কোন মাপের মানুষ বলতে ভাষন দাতার পলিটিকেল নীতি বা যে সংগঠনের নেতা সেটার নীতিকে বুঝাচ্ছি।
চিল্লা চিলি্ল করে আবোল তাবোল বললেই সেটাকে ভাষন বলা হয়না। বক্তব্যে থাকতে হবে বক্তব্যের সপক্ষে গহনযোগ্য যুক্তি। যুক্তি ছারা বক্তব্যের কারণেই আমাদের দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি আসছে না। সকল দলের রাজনৈতিক নেতারাই উস্কানি মূলক ভাষন প্রদান করে থাকেন।
দেশের বড় দুই দলের নেত্রীরাও একে অপরের প্রতি মিথ্যে বা উস্কানি মূলক বক্তব্য দিয়ে থাকে। প্রায় প্রতিটি ভাষনেই নেতারা বলে থাকেন " আমাদের সাথে দেশের জনগন আছে, আমরা দেশের জনগনকে নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলবো।"
দেশের জনগন কি আসলেই এদের সাথে আছে? বি এনপি বলেন বা আওয়ামিলীগ, আন্দোলন বা মহাসমাবেশে যে লোক গুলো দেখা যায় ওরা আসলে দলের নিধর্ারিত কর্মী। হাতে গুনে কয়েক জন হয়তো বেশি আসতে পারে। আন্দোলন করে মরার সখ সবার নেই। তাই দেখবেন আন্দোলন বা হরতালের সময় রাস্তা ঘাট থাকে খালি।
দেশের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে স্বাধারণ জনগন, যারা মিছিল মিটিং এ অংশ গ্রহন করতে প্রস্তুত নয়। শুধু ভোট দেবার জন্য কেন্দ্রে যায় আর নিজের ভোটটা পছন্দের প্রার্থীকে দেয়।
আমাদের জেলার ( কিশোরগঞ্জ-2 ) কটিয়াদি আসনে গতবার আওয়ামিলীগ চার হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম বার আওয়ামিলীগ এ আসন টি পেল।যা ভোট গননার আগ পর্যন্ত কেউ আন্দাজ করতে পারেনি। বলছিলাম দেশের স্বাধারণ জনগন যাকে ভোট দিবে সেই জয়ী হতে পারবে। মিছিল বা জনসভায় জন সমুদ্র দেখে বলার কোন অবকাশ নেই কোন দল জয়ী হবে।
আওয়ামিলীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক উবাইদুল কাদের গতকালের ভাষনে বলছিল, ইয়াজ উদ্দিন কে পদত্যাগ করতে হবে। আমার জানা মতে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের কোন নেতাকেই এমন ভাবে বলতে দেখেনি। রাষ্টপতি তত্বাবধায়ক সরকারের শপথ নেয়ার পর প্রথম শেখ হাসিনা ও আব্দুল জলিলের সাক্ষাতেও রাষ্টপতিকে যতেষ্ট সম্মান করতে দেখেছি এদের উভয়কেই।
এখানের নামের আগে রাষ্টপতি বা মাননীয় রাষ্টপতি এমন কোন শব্দ উবাইদুল কাদেরকে ব্যাবহার করতে দেখিনি। আসলে কথায় আছে, সম্মানিত লোকই সম্মান করতে জানে।
একজন অশিক্ষিত লোক কবি নজরুল ইসলামকে সম্মান করবে না। কারণ সে জানে না কবি নজরুল কত বড় একজন কবি।সে তো পড়তেই পারেনা।
উবাইদুল কাদেরের সব গুলো ভাষন শুনলে তাকে ওজন করা আরো সহজ হবে।
ভাষন প্রদান করার সময় চিন্তা করে ভাষন দিলে হয়তো আজ দেশের রাজনৈতিক অবস্থা এমন পর্যায়ে আসতো না। আমার মনে হয় দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে হিংসাত্তক রাজনীতি এক মাত্র আমাদের দেশেই করা হয়ে থাকে। নির্বাচন কমিশান নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান কি এতটাই কঠিন যে দেশের কেউ এর সমাধান করতে পারছেনা?
এটা দুই দলের দুই নেত্রীর সরা সরি অংশ গ্রহনে আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে। কিন্তু সেটা আজ কারো ভাবনাতেই নেই বা কেও কল্পনাও করে না যে দুই নেত্রীকে এক সাথে কোন আলোচনায় দেখা যাবে। আমার আগের একটা পোস্টে বলেছিলাম, আমাদের দেশের নেতা নেত্রীরা ক্ষমতায় এলে একথা ভাবে না যে আমার জনপ্রিয়তা কমতে পারে বা আবার মতায় আসতে পারবো না অথবা আমার কোন ভুল হতে পারে যা জনগন মানতে পারেনি। এমনটা ভেবে থাকলে হিংসাত্তক রাজনীতি দেশ থেকে উঠে যাবে। তখনই দেশের দুই দলের নেতাদের কে এমন কি দুই নেত্রীকেও এক সাথে আলোচনায় বসতে দেখা যাবে।
ভাষন চিন্তা করে দিলে আজ মান হানির মামলার প্রয়োজন হতো না। সরা সরি প্রমান ছারা দূর্নিতির অভিযোগ করা মুর্খতার পরিচয়, যা ভাষন প্রদান কারীদের ভাবা উচিৎ। বি এন পি-আওয়ামিলীগ উভয়কেই এমনটা করতে দেখেছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



