somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নেতাদের জন সম্মুখে ভাষন ও প্রাসংগিক কিছু কথা

২০ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জন সম্মুখে স্বাধারণত রাজনৈতিক নেতারাই ভাষন দিয়ে থাকেন। একজন নেতা বা ভাষন দাতা কোন মাপের মানুষ তা সহজেই বুঝা যায় তার প্রদত্ত ভাষন শুনে। কোন মাপের মানুষ বলতে ভাষন দাতার পলিটিকেল নীতি বা যে সংগঠনের নেতা সেটার নীতিকে বুঝাচ্ছি।

চিল্লা চিলি্ল করে আবোল তাবোল বললেই সেটাকে ভাষন বলা হয়না। বক্তব্যে থাকতে হবে বক্তব্যের সপক্ষে গহনযোগ্য যুক্তি। যুক্তি ছারা বক্তব্যের কারণেই আমাদের দেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি আসছে না। সকল দলের রাজনৈতিক নেতারাই উস্কানি মূলক ভাষন প্রদান করে থাকেন।
দেশের বড় দুই দলের নেত্রীরাও একে অপরের প্রতি মিথ্যে বা উস্কানি মূলক বক্তব্য দিয়ে থাকে। প্রায় প্রতিটি ভাষনেই নেতারা বলে থাকেন " আমাদের সাথে দেশের জনগন আছে, আমরা দেশের জনগনকে নিয়েই আন্দোলন গড়ে তুলবো।"
দেশের জনগন কি আসলেই এদের সাথে আছে? বি এনপি বলেন বা আওয়ামিলীগ, আন্দোলন বা মহাসমাবেশে যে লোক গুলো দেখা যায় ওরা আসলে দলের নিধর্ারিত কর্মী। হাতে গুনে কয়েক জন হয়তো বেশি আসতে পারে। আন্দোলন করে মরার সখ সবার নেই। তাই দেখবেন আন্দোলন বা হরতালের সময় রাস্তা ঘাট থাকে খালি।

দেশের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে স্বাধারণ জনগন, যারা মিছিল মিটিং এ অংশ গ্রহন করতে প্রস্তুত নয়। শুধু ভোট দেবার জন্য কেন্দ্রে যায় আর নিজের ভোটটা পছন্দের প্রার্থীকে দেয়।

আমাদের জেলার ( কিশোরগঞ্জ-2 ) কটিয়াদি আসনে গতবার আওয়ামিলীগ চার হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিল। স্বাধীনতার পর থেকে এই প্রথম বার আওয়ামিলীগ এ আসন টি পেল।যা ভোট গননার আগ পর্যন্ত কেউ আন্দাজ করতে পারেনি। বলছিলাম দেশের স্বাধারণ জনগন যাকে ভোট দিবে সেই জয়ী হতে পারবে। মিছিল বা জনসভায় জন সমুদ্র দেখে বলার কোন অবকাশ নেই কোন দল জয়ী হবে।

আওয়ামিলীগ এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক উবাইদুল কাদের গতকালের ভাষনে বলছিল, ইয়াজ উদ্দিন কে পদত্যাগ করতে হবে। আমার জানা মতে দেশের সকল রাজনৈতিক দলের কোন নেতাকেই এমন ভাবে বলতে দেখেনি। রাষ্টপতি তত্বাবধায়ক সরকারের শপথ নেয়ার পর প্রথম শেখ হাসিনা ও আব্দুল জলিলের সাক্ষাতেও রাষ্টপতিকে যতেষ্ট সম্মান করতে দেখেছি এদের উভয়কেই।

এখানের নামের আগে রাষ্টপতি বা মাননীয় রাষ্টপতি এমন কোন শব্দ উবাইদুল কাদেরকে ব্যাবহার করতে দেখিনি। আসলে কথায় আছে, সম্মানিত লোকই সম্মান করতে জানে।
একজন অশিক্ষিত লোক কবি নজরুল ইসলামকে সম্মান করবে না। কারণ সে জানে না কবি নজরুল কত বড় একজন কবি।সে তো পড়তেই পারেনা।
উবাইদুল কাদেরের সব গুলো ভাষন শুনলে তাকে ওজন করা আরো সহজ হবে।

ভাষন প্রদান করার সময় চিন্তা করে ভাষন দিলে হয়তো আজ দেশের রাজনৈতিক অবস্থা এমন পর্যায়ে আসতো না। আমার মনে হয় দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে হিংসাত্তক রাজনীতি এক মাত্র আমাদের দেশেই করা হয়ে থাকে। নির্বাচন কমিশান নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার সমাধান কি এতটাই কঠিন যে দেশের কেউ এর সমাধান করতে পারছেনা?

এটা দুই দলের দুই নেত্রীর সরা সরি অংশ গ্রহনে আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে। কিন্তু সেটা আজ কারো ভাবনাতেই নেই বা কেও কল্পনাও করে না যে দুই নেত্রীকে এক সাথে কোন আলোচনায় দেখা যাবে। আমার আগের একটা পোস্টে বলেছিলাম, আমাদের দেশের নেতা নেত্রীরা ক্ষমতায় এলে একথা ভাবে না যে আমার জনপ্রিয়তা কমতে পারে বা আবার মতায় আসতে পারবো না অথবা আমার কোন ভুল হতে পারে যা জনগন মানতে পারেনি। এমনটা ভেবে থাকলে হিংসাত্তক রাজনীতি দেশ থেকে উঠে যাবে। তখনই দেশের দুই দলের নেতাদের কে এমন কি দুই নেত্রীকেও এক সাথে আলোচনায় বসতে দেখা যাবে।
ভাষন চিন্তা করে দিলে আজ মান হানির মামলার প্রয়োজন হতো না। সরা সরি প্রমান ছারা দূর্নিতির অভিযোগ করা মুর্খতার পরিচয়, যা ভাষন প্রদান কারীদের ভাবা উচিৎ। বি এন পি-আওয়ামিলীগ উভয়কেই এমনটা করতে দেখেছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×