কাল সারারাত্র ঘুম হয়নি . . .
বই পড়তে ভালো না লাগলে শিক্ষার্থী যেমন
বইয়ের পাতা এপাশ ওপাশ করে
তেমনি সারারাত্র আমি
ছাদের উপর এপাশ ওপাশ করে হেঁটেছি।
হয়তো হাজার মাইল পথ হেঁটে
তার এতটুকুন বুঝতে পারি নি যে,
একদিন সব কিছু বদলে যাবে।
নিমেষের ফাঁকে প্রজাপতির মতো ডানামেলে
উড়ে যাব অসীম আকাশে; এরপর
আকাশের পর আকাশ।
সীমা সেখানেই. . .
সেখানে স্তরে বিস্তরে সাজানো আছে
অতল গহব্বরের প্রকাশিত শুকনো পাতার মতো
সারি সারি হৃদয়ের আহামরি
আসলে তাকে নিয়ে ভাবতে ইচ্ছে হয় না আমার
তারপরও না ভেবে উপায় নেই স্বপ্নীল মুহুর্তে
তৃষ্ণার আবেগে সে জেগে উঠে হৃদয়ের স্পন্দনে।
আজো আমি কূল হারা, হারানোর সময়
যথেষ্ট আছে আমার সময়ের জমাট বাধা বরফ খন্ডে।
তারপর ------- দম করে মনে মনে ছুটি . . .
ছুটতে ছুটতে কাঁপে বুক; চারদিকে শাখায়িত নিবিড়
আনন্দের মাঝে অদৃষ্টের সাংঘাতিক হিসাব নিকাশ
আমায় ক্ষমাহীন দিগ্ দিগন্তে অদ্ভুদ বিকাশের মাঝে
দখিনা বাতাসে দোলায়, পলকের ম্লানে আমায়
করে জলশূণ্য চৈত্রের মাঠের মতো দিশেহারা।
তার স্পষ্টের আকাশী তরণীতে
কী আঁকা বাঁকা অলংকরণ আঁকা ছবির মতো
অনিমেষ নয়নের ডাকে সাড়া দেয়।
আর দশ বছর আগের তৈরী দালানের ছাঁদে
আমি একা নিশ্চুপ অন্ধকারের মাঝে;
মনে হয় এই বুঝি তুমি এসে ধরলে জড়িয়ে
অচমকা আমার শরীরে; তোমার শরীরের গন্ধ
তাড়িয়ে বেড়ায় আমার নিশ্চুপতায়
তুমি কোথায়? তোমার অশরীয় দেহ মন এসে
বাসা বেঁধেছে আমার অন্ধকার ঘরের প্রতিটি কোণে।
উত্সর্গ : রাজীব নূরকে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




