সাত বছরে ৭৩ হাজার আত্মহত্যা: প্রতিদিন ২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান মতে, প্রতিদিন গড়ে আত্মহত্যা করছে ২৯ ব্যক্তি। ওই পরিসংখ্যানে আরো বলা হয়েছে, ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এ ৭ বছরে দেশে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে ৭৩ হাজার ৩শ ৮৯ ব্যক্তি। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৮শ ৫৭ জন গলায় ফাঁসি দিয়ে এবং ৪১ হাজার ৫শ ৩২ জন বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে অল্প বয়সী কিশোর, কিশোরী থেকে যুবক, যুবতী, পুরুষ ও মহিলা।
পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান মতে, ২০০৩ সালে ১০ হাজার ৩শ ৮৩ জন, ২০০৪ সালে ১০ হাজার ১শ ৬৪ জন, ২০০৫ সালে ১০ হাজার ৩শ ৫৭ জন, ২০০৬ সালে ১০ হাজার ৬শ ৮০ জন, ২০০৭ সালে ১১ হাজার ২শ ৫ জন, ২০০৮ সালে ১০ হাজার ৫শ ৯০ জন, ২০০৯ সালে ১০ হাজার ১০ জন আত্মহত্যা করেছে। পরিসংখ্যানটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতিবছর দেশে গড়ে ১০ হাজার ৪শ ৮৪ জন মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। আর প্রতিমাসে আত্মহননের সংখ্যা ৪শ ৭৪। সে হিসেবে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে গড়ে ২৯ জন করে।
পুলিশের তদন্তকারী সূত্রগুলো বলেছে, মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে গলায় ফাঁসি দিয়ে এবং গ্রামাঞ্চলগুলোতে বিষপানে মারা যাওয়ার প্রবণতা বেশি। সূত্র মতে, পারিবারিক কলহ, সাংসারিক অশান্তি, পরীক্ষায় ব্যর্থতা, পরকীয়া ও মাদকাসক্তির জের ধরে এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এছাড়া সামান্য মান অভিমানকে কেন্দ্র করেও আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ঝিনাইদহের শৈলকূপা ও হরিণাকু- থানা এলাকায় আত্মহত্যার ঘটনা শীর্ষে।
এ দুটো থানার সাবেক ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী শীর্ষ নিউজ ডটকমের সাথে আলাপ কালে বলেছেন, প্রতি মাসে এ দু'টো থানায় গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি আত্মহত্যার মামলা রেকর্ড করা হতো। মটিভেশন চালিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তার মতে, এ অঞ্চলে আত্মহত্যা হচ্ছে একটা 'ম্যানিয়া'। পরিবেশগত কারণেই ম্যানিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। আত্মহত্যার ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে দেশের থানাগুলোতে। পরে তদন্ত করে আদালতে মামলাগুলোর ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করছে পুলিশ।
দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা সম্পর্কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাইকাট্রিক বিভাগের সহকারী রেজিস্টার মো. রাশিদুল হক রানা শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান- আচরণগত অসুবিধা, ব্যক্তিগত সমস্যা, মানসিক বিপর্যয়, অবসাদগ্রস্ততা ও মাদকাসক্তি মানুষকে আত্মহননের দিকে ঠেলে দেয়। আত্মহত্যা মানেই 'সেলফ মার্ডার'। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে পুরুষদের মধ্যে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মহিলাদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। শিক্ষা ও মটিভেশন কর্মসূচির মাধ্যমে আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে তিনি জানান।দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে। পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান মতে, প্রতিদিন গড়ে আত্মহত্যা করছে ২৯ ব্যক্তি। ওই পরিসংখ্যানে আরো বলা হয়েছে, ২০০২ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এ ৭ বছরে দেশে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছে ৭৩ হাজার ৩শ ৮৯ ব্যক্তি। এর মধ্যে ৩১ হাজার ৮শ ৫৭ জন গলায় ফাঁসি দিয়ে এবং ৪১ হাজার ৫শ ৩২ জন বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। এদের মধ্যে রয়েছে অল্প বয়সী কিশোর, কিশোরী থেকে যুবক, যুবতী, পুরুষ ও মহিলা।
পুলিশ সদর দফতরের পরিসংখ্যান মতে, ২০০৩ সালে ১০ হাজার ৩শ ৮৩ জন, ২০০৪ সালে ১০ হাজার ১শ ৬৪ জন, ২০০৫ সালে ১০ হাজার ৩শ ৫৭ জন, ২০০৬ সালে ১০ হাজার ৬শ ৮০ জন, ২০০৭ সালে ১১ হাজার ২শ ৫ জন, ২০০৮ সালে ১০ হাজার ৫শ ৯০ জন, ২০০৯ সালে ১০ হাজার ১০ জন আত্মহত্যা করেছে। পরিসংখ্যানটি বিশ্লেষণে দেখা যায়, প্রতিবছর দেশে গড়ে ১০ হাজার ৪শ ৮৪ জন মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। আর প্রতিমাসে আত্মহননের সংখ্যা ৪শ ৭৪। সে হিসেবে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে গড়ে ২৯ জন করে।
পুলিশের তদন্তকারী সূত্রগুলো বলেছে, মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে গলায় ফাঁসি দিয়ে এবং গ্রামাঞ্চলগুলোতে বিষপানে মারা যাওয়ার প্রবণতা বেশি। সূত্র মতে, পারিবারিক কলহ, সাংসারিক অশান্তি, পরীক্ষায় ব্যর্থতা, পরকীয়া ও মাদকাসক্তির জের ধরে এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এছাড়া সামান্য মান অভিমানকে কেন্দ্র করেও আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ঝিনাইদহের শৈলকূপা ও হরিণাকু- থানা এলাকায় আত্মহত্যার ঘটনা শীর্ষে।
এ দুটো থানার সাবেক ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী শীর্ষ নিউজ ডটকমের সাথে আলাপ কালে বলেছেন, প্রতি মাসে এ দু'টো থানায় গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি আত্মহত্যার মামলা রেকর্ড করা হতো। মটিভেশন চালিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। তার মতে, এ অঞ্চলে আত্মহত্যা হচ্ছে একটা 'ম্যানিয়া'। পরিবেশগত কারণেই ম্যানিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। আত্মহত্যার ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে দেশের থানাগুলোতে। পরে তদন্ত করে আদালতে মামলাগুলোর ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করছে পুলিশ।
দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা সম্পর্কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাইকাট্রিক বিভাগের সহকারী রেজিস্টার মো. রাশিদুল হক রানা শীর্ষ নিউজ ডটকমকে জানান- আচরণগত অসুবিধা, ব্যক্তিগত সমস্যা, মানসিক বিপর্যয়, অবসাদগ্রস্ততা ও মাদকাসক্তি মানুষকে আত্মহননের দিকে ঠেলে দেয়। আত্মহত্যা মানেই 'সেলফ মার্ডার'। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্বে পুরুষদের মধ্যে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মহিলাদের মধ্যে এর প্রবণতা বেশি। শিক্ষা ও মটিভেশন কর্মসূচির মাধ্যমে আত্মহত্যার হার কমিয়ে আনা সম্ভব বলে তিনি জানান।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
স্মৃতিপুড়া ঘরে
বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।
দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন