somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নীল কপোট্রন
কপোট্রন ভালবাসা বুঝে না, বুঝে কিছু ইলেকট্রিক সিগন্যাল। যা অপর একটা কপোট্রন সমৃদ্ধ ওমিক্রনের জন্যে প্রবাহিত হয়। কিন্তু ঐ ওমিক্রন এই সিগন্যালের কতটুকু রিসিভ করতে পারে তা আর ফিডব্যাক হিসেবে পাওয়া যায়না।

বিষয়: মহাকাশ-যেভাবে হারাল মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সে কোটি কোটি বছর আগের কথা। মঙ্গলগ্রহ ছিল আর্দ্র আর উষ্ণ একটি গ্রহ। ঘন বায়ুমণ্ডল এটাকে রক্ষা করত। দীর্ঘ নদী বয়ে যেত কুলু কুলু। জলে ভরা লেক আর সাগর ছিল। বিজ্ঞানীরা ব্যাপক গবেষণায় জানতে পেরেছেন এসব তথ্য। কিন্তু এই সম্পদ হারাল কোথায়?
মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের ঠিক কী হয়েছিল, তা এখন জানতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার গবেষকেরা। ম্যাভেন নামের একটি মহাকাশযানের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে গত বৃহস্পতিবার মঙ্গলগ্রহ সংক্রান্ত বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন, যার মধ্যে মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের কী হয়েছিল, সে তথ্যও রয়েছে।
বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, তাঁরা এখন জানেন যে এখনকার মঙ্গলগ্রহ আর সেই মঙ্গলগ্রহ এক নয়। এখন শুষ্ক আর শীতল এক গ্রহ এটি। যুগ যুগ ধরে বিজ্ঞানীদের কাছে মঙ্গলগ্রহের এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার রহস্য ঘিরে ছিল।
এ রহস্যের সমাধান প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে নাসার প্রধান কার্যালয়ে এক ঘোষণায় মার্স এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের প্রধান বিজ্ঞানী মাইকেল মেয়ার শিল্পী বব ডিলানকে উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বন্ধুরা, এর উত্তর হচ্ছে, ঝড়ো হাওয়ায় সব উড়ে গেছে।’
নাসার গবেষকেরা বলেন, মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডল ও উদ্বায়ী বিবর্তন সাক্ষ্য দেয় সৌরঝড়ে কবলে পড়েছিল মঙ্গলগ্রহ। মঙ্গলগ্রহের বায়ুমণ্ডলের সূর্য থেকে সৌরঝড়ে ধেয়ে আসা চার্জযুক্ত কণা মঙ্গলের অক্সিজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইডের মতো গ্যাস শুষে নিয়ে গেছে। মঙ্গলের সম্ভাব্য জীবনধারণের উপযোগী উপাদানগুলোও সৌরঝড়ে মিলিয়ে গেছে।
এর অর্থ, আদি পর্যায়ে মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল।
তাত্ত্বিক দিক হিসেবে ধরলে মঙ্গলের মতো পৃথিবীকেও একই অবস্থা বরণ করতে হতে পারে। কারণ পৃথিবী থেকেও আয়ন হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নাসার গবেষকেরা সম্মেলনে বলেছেন, আমাদের অত দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমাদের গ্রহ এখন ঠিক আছে কারণ, পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র বা ম্যাগনেটিক ফিল্ড আছে।
ম্যাভেন নভোযানের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মঙ্গলগ্রহের মেরুপ্রভা আর পৃথিবীর সুমেরু প্রভা প্রায় একই রকম। যখন সৌরঝড় থেকে আসা চার্জিত কণা পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে প্রবেশ করে এবং মেরুর দিকে পরিভ্রমণ করে বায়ুমণ্ডলের গ্যাসীয় কণার সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় তখন মেরুপ্রভা তৈরি হয়। কিন্তু মঙ্গলগ্রহে যেটুকু চৌম্বকক্ষেত্র অবশিষ্ট আছে সেখান থেকেই এর মেরুপ্রভার উৎপত্তি হয়। অর্থাৎ, মঙ্গলের মেরুপ্রভা বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ছাড়া মঙ্গলগ্রহের আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে এর ধুলা। এর উৎপত্তি হচ্ছে অন্য কোথাও, অন্য কোনো গ্রহে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে যে ধরনের ধূলিকণা বা বালি দেখা যায়, তা মঙ্গলের চাঁদ ফোবোস বা ডেমোস থেকে আসতে পারে।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছায় ম্যাভেন। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল নিয়ে গবেষণার জন্য এই নভোযানটি সেখানে পাঠানো হয়ছে। এ গবেষণার ফলে মঙ্গলগ্রহ আমাদের বাসযোগ্য হবে কি না, তা বোঝার দারপ্রান্তে চলে এসেছি আমরা। তথ্যসূত্র: সিএনএন।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×