1ম অভিজ্ঞতা:
সেদিন মসজিদে ছিলাম। হঠাৎ আবিষ্কার করলাম মসজিদের স্বাভাবিক নিরবতা ছিনিয়ে নিয়েছে কিছু মুসল্লী ও বহিরাগত লোকজন। মসজিদের গেটে জটলা, হই-হুল্লোর। আমি উঠে দাঁড়ালাম, জটলার দিকে এগিয়ে গিয়ে বুঝতে চেষ্টা করলাম কি হচ্ছে!
বুঝলাম জুতা চুরির দায়ে শাস্তি হচ্ছে কারও। ছেলেটির আর্তনাদ আমার আত্তার ভিত্তিমূল কাঁপিয়ে দিচ্ছিল বারবার। সামান্য এক জোড়া জুতা!! যেদেশে ডিমকে কেন্দ্র করে মানুষ মরে সেখানে জুতা চুরির দায়ে কাউকে পেটানোর ঘটনা মানুষের কাছে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।
উৎসাহী একজন এগিয়ে এলেন আমার দিকে। বললেন___ ভাইযান, ব্যাটা দেখতে এককেরে আপনেগো লাহান, পাবলিকে বুঝব কেমনে ... ..............।
হায়; লোকটি যা বলেছিল তা যদি বুঝতে পারত।
2য় অভিজ্ঞতা:
আমার এক আত্নীয় (উচ্চশিক্ষিত, মাথার দৌড়ে কম যায়না) ---- উনি একবার রাত 10টায় অফিস থেকে ফিরে বদ্ধ-ঘরে মিউজিক প্লেয়ারের ফুল ভলিউম দিয়ে বিবস্ত্র হয়ে উদ্দাম নৃত্তে মেতে উঠেছিলেন কেননা সেদিন দুপুরে বায়তুল মোকররম মসজিদের আশেপাশে কোথাও পুলিশের কাছে টুপিওয়ালাদের মার খাওয়ার প্রাকটিক্যাল দৃশ্য দেখেছেন তিনি। তাই তার এই বিশেষ সেলিব্রেশন।
ঘটনাটি বেশ কয়েক বছর আগের। এ ঘটনা আমাকে বুঝতে সাহায্য করেছে মানুষের এ ধরনের সেন্টিমেন্ট কতটা ভয়ংকর, যার চুড়ান্ত পরিনতি 28শে অক্টোবর। আমরা যদি এখনও এধরনের সেন্টিমেন্ট থেকে বের হতে না পারি আরও অসংখ্য 28শে অক্টোবরের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আমরা অনেক সময় অনেক বড়োবড়ো কথা বলি কিন্তু হয়ত নিজেরাই তার অর্থ বুঝিনা (1ম-অভিজ্ঞতা)। আর যারা কিছুটা বুঝি তা ভেতরে লালন করি না (2য় অভিজ্ঞতা)। বলা এবং বোঝা যথেষ্ট নয় বরং তা আমাদের ভেতরে লালন করতে হবে। তবেই তা পূর্ণতা পাবে আমাদের ভেতরে ধীরে-ধীরে, ঠিক যে ভাবে একটি শিশু বড়ো হয়ে ওঠে, কখনওবা আমাদের অজান্তেই।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



