somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশুটি একদিন বড়ো হবে; অপেক্ষার প্রহর গুনছে বাংলাদেশ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০০৭ বিকাল ৪:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইহুদীদের প্রবর্তিত বর্তমান ব্যাংকিং কনসেপ্টের মূলে কুঠারাঘাত করে মানুষের সৃষ্টিশীলতা মূল্যায়নের যে নতুন পথ যিনি করে দিলেন তার নাম ড: মুহাম্মদ ইউনুস। তেলে মাথায় তেল দেওয়াই ব্যাংকিং সিস্টেমের চিরাচরিত কাজ। ড: ইউনুস ক্ষূদ্র-ঋণ কনসেপ্টের মাধ্যমে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন শুধু পয়সাওয়ালাদের জন্য নয় গরীবের জন্যেও হতে পারে ব্যাংক।

হঁ্যা; ড: ইউনুসকে নিয়ে নেগেটিভ সমালোচনা কম নয়, সেসব সমালোচনার যথেষ্ট কারণও ছিল। বিশেষ করে অতিরিক্ত সুদ ঐসকল সমালোচনার উৎস বা কেন্দ্রবিন্দু। সুদ ইসলামী জীবন ব্যাবস্থায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দেশের মূদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ত বাড়াতে এবং উৎপাদনশীলতা কমাতে সুদ এক শক্তিশালী হাতিয়ার। শুধু ইসলামী জীবন ব্যাবস্থা নয়, সুদ যে সমাজ ব্যাবস্থায় ঢুকে পড়ুকনা কেন তা ধনী ও গরীবের ব্যাবধান বাড়িয়ে দেবেই। আর এভাবেই স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি সুদ নিয়ে ড: ইউনুসদের এনজিওগুলো যেমন দ্রুত বড়ো হয়েছে তেমনি দরিদ্র মানুষগুলো হত দরিদ্রতে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু আমাদের ভুলেগেলে চলবেনা সুদ ব্যবস্থার প্রবর্তন ড: ইউনুস করেননি বরং তার কনসেপ্ট দরিদ্র মানুষকে ব্যাংকিং এর আওতায় নিয়ে আসা; জীবন সংগ্রামের পরিক্ষার মুখোমুখি করা। এতে কিছুলোক সফল হয়নি তাকিন্তু নয় হয়ত তাদের সংখ্যা একেবারেই কম। শতকরা দশজন লোকও যদি সফল হয় তাকি নিতান্তই সামান্য পাওয়া এ সমাজের জন্য। কেউ বলবেন যে পরিক্ষায় 90 জন ফেল করে সে পরিক্ষার দরকার কি? পরিক্ষায় অংশগ্রহন না করলে তার জন্য পাস-ফেল ব্যাপারগুলোই অবান্তর হত। কিন্তু একথা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন মূর্খহয়ে বসে থাকার চেয়ে পরিক্ষা দিয়ে ফেল করা অনেক ভাল।

এনজিও নামক স্কুলগুলোতে ড: ইউনুসরা শিক্ষক, মানব সমাজ নামক পরিক্ষাকেন্দ্রে ব্যার্থ/দরিদ্র মানুষগুলো পরিক্ষার্থী। সবমিলিয়ে একটি পরিক্ষা ব্যবস্থার আয়োজন করা গিয়েছে। এখন সময় এসেছে এর গুণগত মান বাড়ানোর। পরিক্ষার পাশের হার বাড়াতে হবে। নানা উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, হবে ( যেমন-সুদের হার ক্রমে কমিয়ে আনা, সমস্যাগুলোর কারণ অনুসন্ধান, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ইত্যাদি)।

কোন জন্মদান প্রক্রিয়া মোটেও সহজ নয়। তিব্র-যন্ত্রণাদায়ক, জটিল প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই কোন কিছু জন্ম লাভ করে। বাংলাদেশ যেহেতু ক্ষূদ্র-ঋণ/গ্রামীন-ঋণ ব্যবস্থার জন্মভূমি তাই বাংলাদেশকেও একটি কষ্টকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। এখন ক্ষূদ্র-ঋণ নামক যে শিশুটির জন্ম হল তার সুস্থ বেড়েওঠা নিশ্চিত করতে হবে। একদিন বড়ো হবে শিশুটি; অপেক্ষার প্রহর গুনছে বাংলাদেশ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন আগে দিয়ে দেখতে দিন কে বাঘ কে বিড়াল?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬



সব দলের অংশগ্রহণে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন আগে দিন। কোন দলকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে কি করেনি সেইটাও জাতিকে দেখতে দিন। পিআর পদ্ধতির জাতীয় সংসদের উচ্চ... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিশ্চিত থাকেন জামায়েত ইসলাম এবার সরকার গঠন করবে

লিখেছেন সূচরিতা সেন, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪২


আমাদের বুঝ হওয়ার পর থেকেই শুনে এসেছি জামায়েত ইসলাম,রাজাকার আলবদর ছিল,এবং সেই সূত্র ধরে বিগত সরকারদের আমলে
জামায়েত ইসলামের উপরে নানান ধরনের বিচার কার্য এমন কি জামায়েতের অনেক নেতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×