০১:
আঁধারের পথে হেঁটেই যে আলোকে আবিষ্কার করতে হয় এই চরম সত্যটা কেন আমরা বারবার ভুলে যাই বা ভুলে যাবার ভান করি আমি বুঝি না। সবজায়গাতেই আমি দেখতে পাই সবাই ভাল হতে চায়, ভাল থাকতে চায়, ভাল খেতে চায়। আমি যখন জিজ্ঞাসা করি এই ভাল থাকা, খাওয়া বা ভাল মানুষ হতে চাওয়া দ্বারা তারা কি বলছে, তখন অবশ্যই আমি একই রকম উত্তর পাইনা। এ থেকে ব্যাপারটা শতভাগ স্পষ্ট যে ভাল বিষয়টা সবার কাছে সমভাবে ভাল নয়। অর্থাৎ ভাল বিষয়টা অনেকাংশেই আপেক্ষিক। এই আপেক্ষিক বিষয়টা নিয়েই আমরা পাহাড়ের মত দাঁড়িয়ে থাকি যেন একচুলও এদিক সেদিক হবার নয়।
এভাবে অটল দাঁড়িয়ে আমরা ভিন্নমতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি, ভাবি অন্যায়ের বিরুদ্ধে, আঁধারের বিরুদ্ধে এ আমাদের জিহাদ, ভাবি আমরাতো প্রগতির পথে আছি। কয়েক দশক আগের ব্যাপারগুলো যে আজকে এক ধরনের প্রতিক্রিয়াশীলতা হতে পারে তা ভেবে দেখার সুজোগ আমরা নিজেদের দিই না। আমরা তথাকথিত আলোর মশাল নিয়ে ছুটে চলি, অন্ধকাচ্ছন্ন সবকিছুকে আলোকিত করতে। কিন্তু আমাদের মশালের আলোয় চারপাশ আলোকিত হচ্ছে নাকি চারপাশ পুঁড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে তা বোঝার সময়টুকু আমরা নিজেদের দিই না।
০২:
এবার যদি ধরেও নেই আপেক্ষিক অর্থে নয় তা সর্বসম্মতভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন। এ ক্ষেত্রে লক্ষ করুন এই অন্ধকারের অস্তিত্য স্বয়ং স্রষ্টাও মেনে নিয়েছেন এবং এর উপস্থিতি আপনার চূড়ান্ত পরলৌকীক সাফল্যে প্রতিবন্ধকতা নয়। ইহলৌকীক জীবনে এর গুরুত্ব নিকোল ম্যাকায়াভেলিরা উদাহরণ দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। আর আপনারা নিজেরাই এর সবচেয়ে বড়ো প্রমাণ।
এসব কথার অর্থ এই নয় যে অন্ধকার সমগ্রতাকে গ্রাস করুক, আসলে সে সামর্থও এর নেই। জিহাদের জন্য প্রস্তুত? একটু ধৈর্য ধরুন। অন্ধকারকে ছড়িয়ে পড়তে দিন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, প্রতিটি রক্ত কণিকায় এরা দাপিয়ে বেড়াক। এভাবে একসময় নিজেরাই তারা ক্লান্ত, দুর্বল হয়ে যাবে। তারপর মৃত্যু কামনা করবে আপনার কাছে। আপনি তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করুন, সুখী করুন অন্ধকারকে। সাবধান, অন্ধকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে তাকে আঘাত করবেন না। কেননা অন্ধকার প্রাকৃতিক, আর জানেন তো--প্রকৃতিকে শক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, বন্ধুত্ব করতে হয় তার সাথে।
তাই আসুন আমরা অন্ধকারের জন্য একবার হ্যাঁ বলি..........

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



