চারু - শিল্পকায় সৃষ্টি সম্পুর্ন কাল্পনিক
সৃষ্টির আপন সুন্দর্য যদি নারী হয় তাহলে সেই নারীর আরেক নাম হল চারূ । উজ্বল শ্যামলা হলেও মুখের ঘটন এমন যে যেকোন শিল্পকার তার মনের ক্যানবাসে জমা করতে একটুও ভুল করবেননা । তবে দঃখের বিষয় হল এই যে আজকাল শিল্পকাররা চারূদের এমন বস্তিতালয় ত্যাগ করে শহরের নামকরা ফ্লেটে ভীড় জমিয়েছেন । চারু বয়স এখনো তেমন হয়নি-রবিন্দ্রনাথের সময় হলে কুমারি বলাযেত এখনকার যুগেও যদি কেও থেকে থাকে তাহলে চারূর বাবাও তাদের মধ্যে একজন থাকবেন । ওনার মতে মেয়েকে এখনি বিয়ে দেবার উপযুক্ত সময় হয়েছে । বিদ্যালয়ের মধ্যে চারূর ডাক-নাম তাকলেও এবাড়িতে এই একজনি তাকে গ্রাহ্য করেনা । মেয়ের বিয়ে দেওয়াই যেন তার মহ্য-কম ।
ভুরের আলো উঠতে শুরূ করেছে । মা-মেয়ে দুজনি নাস্তা তৈরি করছে । নাস্তা তেমন কিছুনা রংচায়ের সাথে আটার রূটি । অবশ্য এরপরেই দুপুরের খাবার রান্নায় লেগেপড়তে হবে । সাতটার আগেই রাহেলা বেগম তার গামেন্টসে পৌছাতে হবে । আর চারূর বাবা হারূন আর রশিদ যত তারাতারি রিক্সা নিয়ে বেরূতে পারেন ততোই আয় বেশি হওয়ার সম্ভবনা থাকে । চারূ স্রারের বাসায় কৌচিংয়ে যেতে হবে অবশ্য স্যারের কাছে তেমন কেউ কৌচিং করতে আসেনা । দু-একজন আসে তাও স্যারের জুরাজরির কারণে । অবশ্য স্যার যে এই প্রাইভেটের জন্য অনেক বেশী টাকানেন তা নয় বরং তিনি দু-একজনকে ফ্রিতে পড়তে দেন । এদের দলেই চারূ পরতে আসে । চারূর বাবা যখন যানতে পরলেন তখন বাক্য ভঙ্গি এরকম ছিল-
বাহ! এমন স্যারও আজকাল আছেন । বুঝলি মা এমন স্যার কে শতবার স্যালাম করন যায় ।(বাবার কথা অব্শ্য একেবারে মিথ্যা না স্যারেরা এরকম গরীব ছাত্রদের ফ্রীতে ক্লাস করান বলে যানা যায়না)
স্যার আমাকে অন্যরকম স্নেহ করেন । ৯:১৫ মিনিটে আমি স্যারের বাসায় উপস্থিত ।আজ আমি একাই এসেছি । স্যার্যারেরও নাকি মাথা দরা ।
আমিঃ স্যার আন্টি কোথায়
স্যারঃ তুমার আন্টি রাগকরে বাপের বাড়ি চলেগেছে ।আজকে নাস্তাও খাইনি । চারু তুই একটু চা করে দিতে পারবি ।
আমিঃ ঠিক আছে স্যার ।
স্যারঃ তুই নাস্তা করেছিস ? জ্বী স্যার করেছি । আচ্ছা ঠিকাছে আমার এখানে আরেক কাপ খা ।(স্যারের আদেশ পালন করলাম ) অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই চা করে নিয়ে এসেছি ।
স্যারঃ আরে তুই খুব মজাকরে চা রন্নাকরতে পারিস । তবে একটু চিনি কম হয়েছে ।
আমিঃ স্যার চিনি নিয়ে আসব ।
স্যারঃ হে নিয়ে আয় ।
স্যারের কাপে চিনি যখন আমি নিজের চা শেষ করেই কখন অগ্ঞান হয়েপরি । যখন ঙ্ঞান ফিরল যখন তখন আমি স্যারের বিছানায় শুয়ে আছি দেখলাম স্যার ইস্কুলেরর জন্য রেডি হচ্ছেন । আমাকে তাকাথে দেখে স্যার বল্লেন- কীরে তর শরীর খারাপ নাকী । তোকে পড়তে দিলাম তখন দেখি তুই মাথা ঘুরে পরেগেলি ।আমি বিছানায় এনে শুযালাম । এখন কেমন বোধ করছিস ।
আমি নিজের ওপর লজ্বিত বোধ করলাম এবং বিছানা থেকে উঠতে যাচ্ছিলাম তকন স্যার বল্লেন- আরে করছিস কী শুয়েথাক । শরীর খারাপ থাকলে ইস্কুলে যাবার প্রয়োজন নেই । হ্যাড স্যারকে আমি ম্যনেজ করে নেব ।
না স্যার ঠিক আছে, আজ একটা পরিক্ষা আছে । যখন উঠতে উঠতে দেখি আমার পরণের ক্রসবেল্ট কাপেটর মেঝেতে পড়ে আছে । শরীরের কাপরও আগের মতো নেই । সম্ভবত স্যার যখন আমায় বিছানায় শুয়েছিলে তখন কোন ভাবে খুলে গেছে ।আমি ওসব বিষয়ে তেমন পাত্তাদিলাম না তবে সবচেয়ে আশ্চযর বিষয় ঔষটি । আমি যখন কাপদোতে গেলাম তখন দেখি কাপে তলায় একটি আদগলা ঔষদ । অবশ্য এটি স্যারের কাপও হতে পারে । টিফিনের সময় স্যার দুটি কেক পটালেন । ভাল কম্পানির কেক দামি হবে হয়তো ।এর ফকে একবার বাসার চাবিটা নিয়ে গেছেন ।
সকালে ঘুমথেকে উঠে শরিরে ব্যাথা অনোভব করলাম । গলায় দইটা নোখের দাগও লক্ষনিয় । হয়তো কোন ভাবে আমর নোখের দাগ হতে পারে । আজ আর ইস্কুল, কৌচিং কিছুতেই যাওয়া হলনা । মা মনে করেছে আমি অসুস্থ সকালের রান্না একা একাই করেছেন । কাল বাবার ইনকাম হয়েছে তাই সকালে এক ছোরা কলা কিনে দিয়ে গেছেন । বাবা যাবর সময় আমার পাশে বই দিয়ে গছেন ।
স্যার ইংরেজী খুব ভাল বুঝাতে পারেন । আজ আমরা মোট তিনজন এসেছি এদের একজন ক্লাস নাইনের আমরা দুজন ইটে পড়ি । আজ আন্টি চলে এসেছেন । তার ব্যাবহার খুব ভাল । এক বার তিনে ্েসে আমার নাম জানতে চাইলেন-
-তুমার নাম কীগো মেয়ে ?
আন্টি আমার নাম চারূ
-ভালো নাম এটে পড় না ? জী
-রোল কত ? তিন ।
তোমর কোন সমস্যা হলে সোজাসোজি আমায় বলবে কেমন ।
জী আচ্ছা ।
আন্টি যেমন সুন্দর তেমনি তার গৈলার স্বরও সুনদর । খুব মিষ্টি করে কথা বলেন । তবে সমস্যা বিষটা কী তখন টিক বুঝতে পারিনি ।
আজকে স্যারের ক্লাস ছিল । তিনি আমাদের ইংরেজী ১ম পড়ান । স্যার ক্লাসের প্রতি তেমন একটা মনুযোগি নন । টিফিন প্রিয়ডে স্যার আমার আর তিন্নির জন্য দুটি ক্যাক পাঠালেন । আমরা দু-জনি অনার কছে পড়ি । তিন্নি অনেক আগথেকেই স্যারের কাছে পড়ছে ।সে স্যারের একজন স্নেহের ব্যাক্তিত্য । আমাকেও স্যার অনেক স্নেহ করেন । তিন্তি আমাদের ক্লাসের মধ্যে সবসময় ইংরেজিতে হায়েস্ট পায় অন্য সাবজেক্টগুলিতে তেমন মার্কস পায়না । সে সবসময নিরব থাকে অনেক সময় লোকিয়ে লোকিয়ে কাদেও সেটা আমি অনেক বার লক্ষ্র করেছি । এব্যাপারে কিছু জিঙ্গেস করলেও উত্তর দেয় না । তার চেহারা আমার থেকে অনেক গুন সুন্দর ।তবে সুন্দর হলেও সে আমার মতো গরবি না । সমাজের গরবি আর উচ্চবিত্তরা সুখি প্রাকৃতির হয় । মধ্যাবিত্তরা হয় অসুখি । তাদের কাছে না পাওয়ার দু:খ জরিয়ে থাকে ।
লিখার বাকি অংশ আমি অতিস্ত্তর উপস্তিত করার চেষ্টা করব ।আমি খুব একটা লেখালেখিতে অব্যস্ত নই । বানান তো ভুল আছেই এরছেয়ে বড় কথা এখানে হয়তো গল্পটি আমি সাজিয়ে লেখতে পারি নি । সকল কিছু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । আমাকে অনুসরন করতে পারেন আবার আমি ফেবুতে ও যোগাযোগ রাখতে পারেন ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৮