somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ছোট গল্প- (চারু)

১২ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চারু - শিল্পকায় সৃষ্টি সম্পুর্ন কাল্পনিক

সৃষ্টির আপন সুন্দর্য যদি নারী হয় তাহলে সেই নারীর আরেক নাম হল চারূ । উজ্বল শ্যামলা হলেও মুখের ঘটন এমন যে যেকোন শিল্পকার তার মনের ক্যানবাসে জমা করতে একটুও ভুল করবেননা । তবে দঃখের বিষয় হল এই যে আজকাল শিল্পকাররা চারূদের এমন বস্তিতালয় ত্যাগ করে শহরের নামকরা ফ্লেটে ভীড় জমিয়েছেন । চারু বয়স এখনো তেমন হয়নি-রবিন্দ্রনাথের সময় হলে কুমারি বলাযেত এখনকার যুগেও যদি কেও থেকে থাকে তাহলে চারূর বাবাও তাদের মধ্যে একজন থাকবেন । ওনার মতে মেয়েকে এখনি বিয়ে দেবার উপযুক্ত সময় হয়েছে । বিদ্যালয়ের মধ্যে চারূর ডাক-নাম তাকলেও এবাড়িতে এই একজনি তাকে গ্রাহ্য করেনা । মেয়ের বিয়ে দেওয়াই যেন তার মহ্য-কম ।
ভুরের আলো উঠতে শুরূ করেছে । মা-মেয়ে দুজনি নাস্তা তৈরি করছে । নাস্তা তেমন কিছুনা রংচায়ের সাথে আটার রূটি । অবশ্য এরপরেই দুপুরের খাবার রান্নায় লেগেপড়তে হবে । সাতটার আগেই রাহেলা বেগম তার গামেন্টসে পৌছাতে হবে । আর চারূর বাবা হারূন আর রশিদ যত তারাতারি রিক্সা নিয়ে বেরূতে পারেন ততোই আয় বেশি হওয়ার সম্ভবনা থাকে । চারূ স্রারের বাসায় কৌচিংয়ে যেতে হবে অবশ্য স্যারের কাছে তেমন কেউ কৌচিং করতে আসেনা । দু-একজন আসে তাও স্যারের জুরাজরির কারণে । অবশ্য স্যার যে এই প্রাইভেটের জন্য অনেক বেশী টাকানেন তা নয় বরং তিনি দু-একজনকে ফ্রিতে পড়তে দেন । এদের দলেই চারূ পরতে আসে । চারূর বাবা যখন যানতে পরলেন তখন বাক্য ভঙ্গি এরকম ছিল-
বাহ! এমন স্যারও আজকাল আছেন । বুঝলি মা এমন স্যার কে শতবার স্যালাম করন যায় ।(বাবার কথা অব্শ্য একেবারে মিথ্যা না স্যারেরা এরকম গরীব ছাত্রদের ফ্রীতে ক্লাস করান বলে যানা যায়না)
স্যার আমাকে অন্যরকম স্নেহ করেন । ৯:১৫ মিনিটে আমি স্যারের বাসায় উপস্থিত ।আজ আমি একাই এসেছি । স্যার‌্যারেরও নাকি মাথা দরা ।
আমিঃ স্যার আন্টি কোথায়
স্যারঃ তুমার আন্টি রাগকরে বাপের বাড়ি চলেগেছে ।আজকে নাস্তাও খাইনি । চারু তুই একটু চা করে দিতে পারবি ।
আমিঃ ঠিক আছে স্যার ।
স্যারঃ তুই নাস্তা করেছিস ? জ্বী স্যার করেছি । আচ্ছা ঠিকাছে আমার এখানে আরেক কাপ খা ।(স্যারের আদেশ পালন করলাম ) অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই চা করে নিয়ে এসেছি ।
স্যারঃ আরে তুই খুব মজাকরে চা রন্নাকরতে পারিস । তবে একটু চিনি কম হয়েছে ।
আমিঃ স্যার চিনি নিয়ে আসব ।
স্যারঃ হে নিয়ে আয় ।
স্যারের কাপে চিনি যখন আমি নিজের চা শেষ করেই কখন অগ্ঞান হয়েপরি । যখন ঙ্ঞান ফিরল যখন তখন আমি স্যারের বিছানায় শুয়ে আছি দেখলাম স্যার ইস্কুলেরর জন্য রেডি হচ্ছেন । আমাকে তাকাথে দেখে স্যার বল্লেন- কীরে তর শরীর খারাপ নাকী । তোকে পড়তে দিলাম তখন দেখি তুই মাথা ঘুরে পরেগেলি ।আমি বিছানায় এনে শুযালাম । এখন কেমন বোধ করছিস ।
আমি নিজের ওপর লজ্বিত বোধ করলাম এবং বিছানা থেকে উঠতে যাচ্ছিলাম তকন স্যার বল্লেন- আরে করছিস কী শুয়েথাক । শরীর খারাপ থাকলে ইস্কুলে যাবার প্রয়োজন নেই । হ্যাড স্যারকে আমি ম্যনেজ করে নেব ।
না স্যার ঠিক আছে, আজ একটা পরিক্ষা আছে । যখন উঠতে উঠতে দেখি আমার পরণের ক্রসবেল্ট কাপেটর মেঝেতে পড়ে আছে । শরীরের কাপরও আগের মতো নেই । সম্ভবত স্যার যখন আমায় বিছানায় শুয়েছিলে তখন কোন ভাবে খুলে গেছে ।আমি ওসব বিষয়ে তেমন পাত্তাদিলাম না তবে সবচেয়ে আশ্চযর বিষয় ঔষটি । আমি যখন কাপদোতে গেলাম তখন দেখি কাপে তলায় একটি আদগলা ঔষদ । অবশ্য এটি স্যারের কাপও হতে পারে । টিফিনের সময় স্যার দুটি কেক পটালেন । ভাল কম্পানির কেক দামি হবে হয়তো ।এর ফকে একবার বাসার চাবিটা নিয়ে গেছেন ।
সকালে ঘুমথেকে উঠে শরিরে ব্যাথা অনোভব করলাম । গলায় দইটা নোখের দাগও লক্ষনিয় । হয়তো কোন ভাবে আমর নোখের দাগ হতে পারে । আজ আর ইস্কুল, কৌচিং কিছুতেই যাওয়া হলনা । মা মনে করেছে আমি অসুস্থ সকালের রান্না একা একাই করেছেন । কাল বাবার ইনকাম হয়েছে তাই সকালে এক ছোরা কলা কিনে দিয়ে গেছেন । বাবা যাবর সময় আমার পাশে বই দিয়ে গছেন ।
স্যার ইংরেজী খুব ভাল বুঝাতে পারেন । আজ আমরা মোট তিনজন এসেছি এদের একজন ক্লাস নাইনের আমরা দুজন ইটে পড়ি । আজ আন্টি চলে এসেছেন । তার ব্যাবহার খুব ভাল । এক বার তিনে ্েসে আমার নাম জানতে চাইলেন-
-তুমার নাম কীগো মেয়ে ?
আন্টি আমার নাম চারূ
-ভালো নাম এটে পড় না ? জী
-রোল কত ? তিন ।
তোমর কোন সমস্যা হলে সোজাসোজি আমায় বলবে কেমন ।
জী আচ্ছা ।
আন্টি যেমন সুন্দর তেমনি তার গৈলার স্বরও সুনদর । খুব মিষ্টি করে কথা বলেন । তবে সমস্যা বিষটা কী তখন টিক বুঝতে পারিনি ।
আজকে স্যারের ক্লাস ছিল । তিনি আমাদের ইংরেজী ১ম পড়ান । স্যার ক্লাসের প্রতি তেমন একটা মনুযোগি নন । টিফিন প্রিয়ডে স্যার আমার আর তিন্নির জন্য দুটি ক্যাক পাঠালেন । আমরা দু-জনি অনার কছে পড়ি । তিন্নি অনেক আগথেকেই স্যারের কাছে পড়ছে ।সে স্যারের একজন স্নেহের ব্যাক্তিত্য । আমাকেও স্যার অনেক স্নেহ করেন । তিন্তি আমাদের ক্লাসের মধ্যে সবসময় ইংরেজিতে হায়েস্ট পায় অন্য সাবজেক্টগুলিতে তেমন মার্কস পায়না । সে সবসময নিরব থাকে অনেক সময় লোকিয়ে লোকিয়ে কাদেও সেটা আমি অনেক বার লক্ষ্র করেছি । এব্যাপারে কিছু জিঙ্গেস করলেও উত্তর দেয় না । তার চেহারা আমার থেকে অনেক গুন সুন্দর ।তবে সুন্দর হলেও সে আমার মতো গরবি না । সমাজের গরবি আর উচ্চবিত্তরা সুখি প্রাকৃতির হয় । মধ্যাবিত্তরা হয় অসুখি । তাদের কাছে না পাওয়ার দু:খ জরিয়ে থাকে ।

লিখার বাকি অংশ আমি অতিস্ত্তর উপস্তিত করার চেষ্টা করব ।আমি খুব একটা লেখালেখিতে অব্যস্ত নই । বানান তো ভুল আছেই এরছেয়ে বড় কথা এখানে হয়তো গল্পটি আমি সাজিয়ে লেখতে পারি নি । সকল কিছু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । আমাকে অনুসরন করতে পারেন আবার আমি ফেবুতে ও যোগাযোগ রাখতে পারেন ।

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:৩৮
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×