ঘটনা ১ :
তখন আমি ক্লাশ সিক্স এ পরি। আমার চাচাতো বোনের বিয়েতে যাই। সেখান থেকে অনেক জোর করে আমাকেও আপার সাথে ওর শশুর বাড়ি পাঠানো হয়। ছোট বলে বান্দর পোলাপাইন জোটাইতে বেশি সময় লাগে নাই। যাই হোক সংগী গুলা নিয়া খেলা শুরু করি। এক সময় সবাই বুদ্ধি করি দোলনা বানাবো। যেই কথা সেই কাজ। সাগরেড গুলা পিড়ি আর দড়ি জোগার করে নিয়ে আসে। একটা ছোট জাম গাছে আমি উঠে পরি দড়ি আটকানোর জন্য। তখন ই ঘটে আসল কাহিনী। হঠাৎ শুনি উপর থেকে একটা কর্কশ গলা শুনতে পাই। যখন উপরে তাকাইলাম দেখি কেউ নাই। আর তখন আমার পিঠে কে যেন একটা জোরে ধাক্কা দেয়। আমি সাথে সাথে নিচে পরে যাই। ভাগ্যিস গাছ টা নীচু ছিল তাই হালকা পায়ে ব্যাথা পেয়েছিলাম। তারপর নিচে ওদেরকে জিগ্গেস করি কোন শব্দ পাইছে নাকি। কিন্তু কেউ কিছু শুনে নাই। সব তো ভয়ে দৌড়। তারপর একটা বয়ষ্ক লোক কে বল্লে উনি বলেন যে জায়গা টা ভাল না। কেউ সহজে ঐখানে যায় না। আর আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন ছিল ভরদুপুর।
ঘটনা ২ :
২০০৮ এর ফেব্রুয়ারীর ঘটনা। আমার দাদি আমাদের বাসায় ই মারা যান। তো তিনি যেই রুমে থাকতেন সেখানেই কম্পিউটার রাখা। আর পাশাপাশি ২ টা রুমের মাঝখানে কোন দরজা নাই। দাদি মারা যাওয়ার পর থেকে আমি ঐ রুমে যাই না সন্ধ্যার পর। আমি এটা মানি যে ভয় এটা পুরাই মনের ব্যাপার। তাই মারা যাওয়ার ৩ দিন পর নিজের মন কে শক্ত করে কম্পিউটার চালাতে যাই। যখন কাজ করছি তখন মনে হল কেউ আমার মাথায় হাত বুলাচ্ছে। তবু ও মনের ভ্রান্ত ধারণা ভেবে চুপ করে থাকি। বাইরে প্রচন্ড ঝড় হচ্ছিল। আমি তবুও বসে আছি। রাত ১২ টা বেজে গেছে। আমি যেখানে বসে ছিলাম তার উপরেই বাল্ব জ্বলছিল। হঠাৎ ভয়ংকর শব্দ করে বাইরে বাজ পড়ল। সাথে সাথে কারেন্ট চলে গেল আর বাল্বটা ভেংগে আমার পায়ের উপর পড়ল এবং পা কেটে গেলো। আর পাশের জানালাগুলো সব খুলে গেলো। আমি সাথে চিৎকার করে আমার পাশের রুমে দৌড় দেই। আমার নানী দোয়া দরূদ পড়তে থাকেন। আর আমি চেতনা হারিয়ে ফেলি। পরদিন সকালে আব্বাকে বলি রাতের ঘটনা। তখন দেখে যে বাল্ব জায়গায়ই আছে। কেউ বিশ্বাস করে না আমার কথা। নানী তখন সবাইকে আমার ভয়ের কথা বলে। আর তখন সবাই আমার কথা বিশ্বাস করে কারণ ওরা সবাই আমার পায়ের কাটা টা দেখে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




