somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাদ্রিদ এর পথে...(কিছুটা ১৮+) ১ম পর্ব

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"সল"। মাদ্রিদের জিরো পয়েন্ট বলা যায়। হলুদ আলোর বন্যায় পুরো স্কয়ারটাই আলোকত। আজ বিকালেই এসে পৌছেছে এখনে নিও। সমুদ্রপৃষ্ট হতে প্রা্য় ২১০০ ফুট উচু্ঁ এই শহরের আবহাওয়াটা বেশ ভালোই লাগছে নিও'র। পাহাড়ের উপর হওয়ায় উঁচুনিচু পথঘাট চলাটা খুব এনজয় করে নিও। খুব রোমান্টিক একটা অনুভুতি হয় তার।

সল এলাকাটা অবশ্য সমতল। হোটেলের বুকিংটা দেয়াটা সম্ভব হয় নাই আসার আগে শুধু ক্রেডিট কার্ডটির জন্য। সন্ধ্যা হয়ে গেছে। এখনি একটা হোটেলে উঠতে হবে। চত্বরে বসে উপভোগ করছিলো সে মাদ্রিদের সৌন্দর্য্য, যেনো দেখছে কোনো নববিবাহিতা বধুকে! বাসরে সোনালী রঙের শাড়ী পরে যেনো বসে আছে তার সামনে! হঠাৎ সম্বিত ফিরল তার "সার্ভেসা, সার্ভেসা" শব্দে। তাকিয়ে দেখে একজন শ্যামলা অল্পবয়স্ক (২০) ছেলে জিজ্গাসু নয়নে তাকিয়ে আছে, হাতে বিয়ার। কথা বলে জানতে পারলো ছেলেটিও বাংগালী। ওকে কিছুতেই বোঝানো গেলো না যে সে এখানে শুধু বেরাতে এসেছে। ওর ধারনা নিও এসেছে এখানে কাজ করতে। নিজের করুন পরিস্হিতির কথা ভেবে নিও'র প্রতি আর্দ্র হয়ে উঠে তার মন। হো হো করে হেসে উঠে নিও। ওকে বোঝায় যে সে কোনো বিপদে পড়ে নাই।এখনি হোটেলে গিয়ে উঠবে।

বাংগালী যেখানেই থাকুক আবেগ তাদের থাকবেই। কিন্তু এখানে বিদেশ বিভুইয়ে তার মুল্য দেয়ার উপায় নাই। এখানে কাজের অভাব আর রিসেশনের কারনে সবারই মোটামুটি করুন দশা।তারপরও দেশের বেকারত্ব আর কম বেতনে কাজ করার চেয়ে বাংগালী এখানে থাকাটাই বেশী পছন্দ করে। কিন্তু তার জন্য তাদের যে কি পরিমান মুল্য দিতে হয় তা শুধু তারাই জানে। অনেক মধ্যবয়স্ক তাদের পুরো সংসার দেশে ফেলে রেখে এখানে পড়ে আছেন শুধু টাকা কামানোর জন্য।

ছেলেটি প্রস্তাব দিলো যে নিও আজ রাতের জন্য তার পরিচিত এক বাসায় থাকতে ও খেতে পারে।ঐ বাসায় এমনিতেই একটি রুম খালি আছে। তারা এমনিতেই একজন স্হায়ী ভাড়াটিয়া খুঁজছে। নিও দেখল খরচ পরবে যদিও আবাসিক হোটেলের মত কিন্তু বাংগালী খাবার সাথে ফ্রী! ভাত, মাছ ভাজা, শুটকী, সবজি।আহ.... লোভ সামলানো দায় হয়ে পড়ল। হোটেল তো তার শুধু দরকার ব্যাগ রাখা আর রাতে শোয়ার জন্য! আর ঐ শালাদেরকে টাকা দেয়ার চেয়ে বাংগালীদের সামান্য উপকার করা ঢের ভালো।সিকিওরিটি নিয়ে সামান্য চিন্তিত হলেও,শেষতক নিও রাজি হয়ে যায়। ওকে বলে যে রাতে একসাথে তারা ঐ বাসায় ফিরবে।

নিও নেমে পড়ল রাতের মাদ্রিদ ভ্রমনে। সকালের জন্য একটা গাইডেড টুরের টিকেট কাটা আছে। বুলফাইট দেখার খুব ইচ্ছে ছিল, কিন্তু ঐদিন কোনো প্রোগ্রাম নাই! আজ রাত্রিটা উদ্দেশ্যহীন ভাবেই ঘুরতে হবে। তবে ট্যুরিস্ট ম্যাপ আছে সাথে, তাই কোনো চিন্তা নাই।গুরুত্বপুর্ন একটা রাস্তা ধরে হাটা শুরু করল ও

বুলফাইট


স্পেন, এক অনন্য মুসলিম সভ্যতার আদি দর্শন হলেও মুসলিম রাজত্বের পতনের পর এখন মুলত খ্রীস্টান অধ্যুষিত। কালচারও তাই তেমনই। স্পেনিশ মেয়ে, ও ফ্ল্যামেন্কো ড্যান্সের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। পেনিলোপির দেশ বলে কথা! আজ রাতটা হেটে আর ঐগুলা দেখেই কাটানো যেতে পারে। সামারের পিক সময় বলেই হ্য়ত মেয়েদের জামার খুব দৈন্য দশা। শুধু স্পেন নয় সারা ইউরোপ থেকে ছুটে আসছে পর্যটকের দল। উদ্ভিন্ন যৌবনা সব তরুনীর টাইট টপস আর মিনি স্কার্টের নীচের ফর্সা উরু মনে কামনার আগুন জ্বেলে দেয়। স্লীভলেস টপস পরে যখন ওরা চুল ঠিক করতে থাকে, তখন তা দেখে বুকের সবকিছু এলোমেলো হতে শুরু করে।হৃদস্পন্দন হয়ে যায় ড্রামবিট, আর গলা আসে শুকিয়ে! /:) মনের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নাই; এরকম না হলে বুঝতে হবে যে পুরুষত্বই শেষ।:|

ফ্ল্যামেন্কো


বত্রিশ বছর বয়স্ক নিও, ভার্জিনত্ব নিয়ে ভাবতে গিয়ে হেসে ফেলল। সারা জীবন রাম গরুরের ছানার মত কাটিয়ে শুধু এটিই রাখতে পেরেছে; কিন্তু এর কি কোনো মুল্য আছে আজকের এই দুনিয়ায়? যৌবন অনেকের কাছে আজ সবজির মত; ফ্রেশ খাওয়াই ভালো, রেখে দেয়া মানে পঁচানো। সে সন্দিহান যে সে তার মতই ভার্জিন একটা মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে কিনা। ওয়েস্টার্ণ সোসাইটিতে তো ঐটা আজ রীতিমত একটা গালি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলবে....
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৫৫
৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×