somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউ- The Holiday (2006)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধুমধারাক্কা মুভির রিভিউ দুইটা অলরেডী দিসি। আজকে আপনাদেরকে রিভিউ দিবো আমার দেখা ওয়ান অফ দা মোস্ট রোমান্টিক মুভি, The Holiday এর। এই ছবির নায়িকা দুইটাই খুব জব্বর, কেট উইন্সলেট আর ক্যামেরুন ডিয়াজ। এক নায়ক জুড ল আর আরেক নায়ক Jack Black, যারে আমি এতদিন জানতাম কমেডিয়ান হিসেবে। =p~ =p~

যাই হোক, কাহিনী খুবই রোমান্টিক। আন্ত:মহাদেশীয় (আম্রিকা আর ইউ. কে) ভালোবাসার কাহিনী। আমার ধারনা খুব শিগগির এর হিন্দি বা বাংলা রিমেক বাইর হইবো। :-0 যাই হোক, আর দেরী না কইরা রিভিউ শুরু করি।

ক্যামেরন বিখ্যাত ফিল্ম ট্রেইলার মেকার। থাকে আম্রিকার এল.এ তে। প্রচুর পয়সার মালিক কিন্তু খুব একটা জলি ক্যারেক্টার না। তার বয়ফ্রেন্ড বোর হয়া দিলো ছ্যঁকা। রাগে ক্ষোভে ক্যামেরন তার ঘরবয়ফ্রেন্ডরে দিলো বাসা থিকা বাইর কইরা। ক্যামেরনের একটা ব্যাপার হইলো সে কখনো কাঁদতে পারে না; তা সে যতবড় দু:খই পাক। জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণ হইয়া সে ভাবলো দুরে কোথাও সময় কাটাইতে যাইবো।

ঐদিকে ইউ. কের সারেতে থাকে কেট। নিউজ এডিটর। তার অফিসের বস তার লগে হান্কিপান্কি সবই করে বাট কয় না যে ভালোবাসে। ঐদিকে কেট বইয়া আসে কবে অরে প্রপোজ করবো। মাগার ওর বস ওরে ঝুলায়া দিয়া আরেক মাইয়ারে আংটি পরায়া দিলো। :(( মানসিকভাবে পুরাপুরি ভাইংগা পইরা কেট সিদ্ধান্ত নিলো সেও দুরে কোথাও সময় কাটাইতে যাইবো।

নেটে ক্যামেরন আর কেট পরিচিত হয়া ডিসিশন নিলো তারা বাসা এক্সচেন্জ করবো দুই হপ্তার লিগা। কেটের বাসা সারের এক প্রত্যন্ত গ্রামের খুব সাধারন বাসা হইলেও ক্যামেরনের বাসা লস এন্জেলসের সব ফিল্মস্টারদের বাসার পাশে। কেটতো ঐ বাসায় গিয়া মহাখুশী মাগার ক্যামেরন কেটের গ্রাম্য বাসায় গিয়া খুব হতাশ হইলো। খুব সাধাসিধা আর বোরিং। ভাবলো পরদিনই ফিরা যাইবো।কিন্তু অকস্মাৎ বজ্রপাতের মতো রাত্রে কেটের ভাই জুড ল আইসা হাজির হইলো। ;) ও মাঝেমাঝে ওর বোনের বাসায় আইসা রাত কাটায়। এখন আইসা তো দেখে সুন্দরী ক্যামেরন হাজির। তারপর আর কী? আগুন আর পেট্রল পাশাপাশি রাখলে যা হয় আর কি!:P ক্যামেরন খুব সহজে না মিশতে পারলেও জুডের কথা আর কাজের যাদুতে:P দ্রুতই তার প্রেমে পইড়া গেলো। B-)

ঐদিকে কেট পরিচিত হইলো মিউজিক কম্পোসার জ্যাকের লগে। জ্যাকের ডার্লিং হলিউডের মাইনর একট্রেস। যাই হোক জ্যাকও সামহাউ ছ্যাকা খাইয়া গেলো। জ্যাকের দু:খে কেট হয়া উঠল ভালো বন্ধু। একসময় তা প্রেমে রুপান্তরিত হইলো।

এই দিকে দেখতে দেখতে দুই হপ্তা পার হইয়া গেলো। ক্যামেরনের ফিরে আসার পালা। এই সময় জুড ওরে প্রপোস কইরা বসলো। কিন্তু ক্যামেরনের বিশাল কাজ, সে থাইকা যাইতে পারবো না। সো সে ফিরা চললো তার বাসায়। কিন্তু মাঝপথেই তার মনে পইড়া গেলো জুডের সাথে কাটানো সুন্দর সময়ের কথা। এই দুই সপ্তাহ ছিলো তার জীবনের সেরা সময়। যে ক্যামেরনের শতদু:খেও চোখে পানি আসে না, সেই ক্যামেরন অঝোরে কাঁদতে লাগলো। কিন্তু তার সেই কান্নায় ছিলো প্রচন্ড সুখ। এরপর শেষাংশটা আপনারাই দেইখা নিয়েন।

ছবির কাহিনি থিকা শুরু কইরা অভিনয়, মিউজিক কম্পোজিশন (জটিল!), ভিজুয়ালাইজেশন সবই ছিলো এককথায় নিখুঁত। দেখার মত একটি ছবি।কাহিনী সিম্পল হইলেও উপভোগ্য। একটা দৃশ্যের কথা না বইলা পারতাসি না; ক্যামেরনের সাথে পরিচয়ের ১ম রাতের পর জুড আর ক্যামেরন লান্চের জন্য বাইর হয়। শীতের সকাল। গাড়ী ড্রাইভ করার সময় জুড ক্যামেরনের দিকে তাকাইলো, অমনি ক্যামেরন এইরকম লজ্জা পাইলো যেনো নতুন বিয়া করা বউ! :P হা্য় সে যে কি লাজুক দৃষ্টি তার চোখে, যেনো বাংগালী কোনো মেয়ে! B:-/ (১:০৫:৩০ সেকেন্ডে পাবেন)

ডাউনলোড করতে পারেন এইখান থিকা---

imdb রেটিং ৬.৯/১০ হইলেও
আমার রেটিং হবে ৮/১০ B-)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×