somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউ- A Christmas Carol (2009)

১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ও ভাই শুনেন! হ্যাঁ ভাই, আপনাকেই বলতাসি। যেহেতু আপনি ব্লগে আছেন, নিশ্চয়ই আপনার এই পরিমান টাকা আছে যে ইন্টারনেটের খরচটা দিতে পারেন। ধরে নেয়া যায় যে আপনি উচ্চবিত্ত না হলেও উচ্চ মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্ত একজন মানুষ। আচ্ছা কখনও কি ভেবে দেখেছেন আপনার চেয়েও হতদরিদ্র মানুষে এই দুনিয়াটা সয়লাব! রাস্তার ফকিরদের কথা বাদই দিলাম; কিন্তু জানেন কি আপনার মতই মধ্যবিত্ত কত লোক হঠাৎ বিপদে পড়ে আজ পথের ফকির; প্রিয়জনের জীবন বাঁচানোর জন্য না পারছে রাস্তায় ভিক্ষা করতে, না পারছে চিৎকার করে কাঁদতে! রাস্তায় প্রবল শীতে কম্পমান বৃদ্ধ ভিক্ষুক থেকে শুরু করে ছিন্নবসনা নারী আমরা সবাই দেখতে পাই কিন্তু তাদের সাহায্যার্থে আমরা কয়জন মহানুভব এগিয়ে যাই?

ভয় পাইয়েন না। আমি কোনো সাহায্য পোস্ট দেই নাই। এইটা নিতান্তই একটা মুভি পোস্ট যদিও এর মেসেজ মোটেই সামান্য নয়। এ ক্রীসমাস ক্যারল (২০০৯) মুভিটি চার্লস ডিকেনস এর কালজয়ী উপন্যাস "A Christmas Carol" অবলম্বনে তৈরী। নিজ সময়কার উচ্চবিত্তদের নিম্ন মানসিকতায় হতাশ এবং দরিদ্রদের প্রতি সমব্যথী চার্লস এই উপন্যাস লিখার পর ঐ সমাজে মোটামুটি একটা মানবিক রেভোলিউশন ঘটে যায়।

ইবনিজার স্ক্রুজ, লন্ডনের খুব কৃপন একটা ব্যক্তি। সে নিজে ক্রীসমাস উদযাপন করে না, কেউ করুক তাও পছন্দ করে না। তার মতে ক্রীসমাস হচ্ছে টাকা নষ্ট করার একটা অযুহাত। তার কৃপনতা তাকে দূরে সরিয়ে দেয় তার খুব প্রিয়জনদের কাছ থেকে। :(

কাহিনী শুরু হয় ক্রীসমাসের আগের রাতে। সেই রাতে তার দেখা হয় তার আরেক মৃত কৃপন ব্যবসায়ী পার্টনার জ্যাকব মার্লির সাথে। মৃত জ্যাকব এখন নরকযন্ত্রনা ভোগ করছে। সে স্ক্রুজকে সাবধান করে দেয় এবং বলে যে তিনজন আত্না স্ক্রুজকে সঠিক জীবনপথ প্রদর্শন করবে। সে যেনো ভালো হইয়া যায়। ;)

তারপরই একে একে আসতে থাকে তিনজন আত্না। প্রথমেই আসে তার বিগত জীবনের ক্রীসমাসগুলোর প্রতীকি আত্না। সে স্ক্রুজকে স্মরন করিয়ে দেয় অতীতে কত ভয়াবহ অন্যায় করেছে সে মানুষের প্রতি। তার প্রেমিকা, ফ্যামিলী, একমাত্র কর্মচারীর প্রতি! তারপর আসে ক্রীসমাস উপহারের আত্না।এই আত্না তাকে মনে করিয়ে দেয় কিভাবে তার কৃপনতার জন্য তার সবচেয়ে আপনজন তার ভাগ্নে তার থেকে দূরে সরে গেছে। কিভাবে তার একমাত্র কর্মচারী কমবেতনে মানবেতর জীবনযাপন করছে। নিজের মৃত্যুপথযাত্রী সন্তানের চিকিৎসা খরচও সে বহন করতে পারছে না টাকার অভাবে! আস্তে আস্তে স্ক্রুজের বোধোদয় হতে থাকে। সে পণ করে বদলে যাওয়ার।

কিন্তু এরপরই আসে স্বয়ং আজরাইল (ভবিষ্যৎ ক্রীসমাসের প্রতীকি আত্না)! সে আইসা বলে আর সময় নাই /:) এখন তার চইলা যাওয়ার সময় হইসে। :|| এই আত্না তারে দাবড়ায়ে বেড়ায় লন্ডনের গলি ঘুপচিতে এবং শেষ পর্যন্ত কবচ করে স্ক্রুজের প্রান। এইবার স্বয়ং স্ক্রুজের আত্না দেখতে থাকে কিভাবে তার মৃত্যুর পর কারো মধ্যেই কোনো দু:খবোধ বা শোকের ছায়া পর্যন্ত নাই।

সবশেষে তার ঘুম ভাংগে তার বেডে। :) নতুন জীবন ফিরে পেয়ে সে মিশতে থাকে মানুষের সাথে। কিপটা স্ক্রুজ হতে সে পরিনত হয় দিলদরিয়া হাতেম তাই এ। আবার ফিরে পায় তার ভাগ্নেকে। তার দয়ায় তার কর্মচারীর ছেলে টিম ফিরে পায় নতুন জীবন।

সামনেই কুরবানীর ঈদ।আমরা সামর্থ্যবানরা হয়ত আমাদের ভূড়িঁ আরও বাড়াবো। কিন্তু প্রকৃত দরিদ্রদের কতটুকুই বা লাভ হয় এতে! আসেন আমরা চেষ্টা করি দরিদ্রদের জন্য সত্যিই কিছু করার। যাতে অন্তত: একজন দরিদ্র অভাগার দু:খ দুর করতে পারি! ছোট্ট টিমের মতো বলে উঠি,"God bless us! Everyone!!":D

সবাইকে ঈদ মোবারক!! :) B-)
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১
৮টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×