বিপুল সংখ্যক ইসলাম অনুসারীদের নিয়ে যশোর, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করেন হযরত খান জাহান আলী (রা.)। তুর্ক-আফগান ন্সাপত্য রীতির অনুসরণে এক অনবদ্য শ্রেষ্ঠ নিদর্শন দক্ষিণ বাংলার নিদর্শন ষাট গম্বুজ মসজিদ। এটি নির্মাণ করেন খান জাহান আলী (রা.) অন্যান্য অনুসারীদের নিয়ে। যশোর, খুলনা প্রভৃতি জায়গা থেকে বাগেরহাটের খান জাহান আলীর মাজার দেখতে যাওয়ার পথেই চোখে পড়ে মসজিদটি। বিশাল এলাকা নিয়ে নির্মিত মুসলমানদের ঐতিহ্যের অন্যতম এ নিদর্শনটি। খান জাহান আলীর মাজার থেকে প্রায় দেড় মাইল উত্তর-পশ্চিমে বিখ্যাত ঘোড়া দিঘির পূর্ব পাড়ে অবন্সিত মসজিদটি। দেশের প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ও বৃহত্তম বলে জানা যায়।
মসজিদটির চারকোণে দেখতে পাওয়া যায় চারটি সুদৃশ্য মিনার। এজন্য অনেকে এটিকে চার মিনার মসজিদও বলে থাকেন। মিনারগুলো গোলাকার এবং তা নির্মিত দুই ধাপে। এর পূর্ব দিকের দেয়ালে রয়েছে ১১টি দরজা। এগুলো দিয়েই প্রবেশ করা যায় ভেতরে। আর পশ্চিম দেয়ালে চোখে পড়ে ১০টি মেহরাব। প্রধান মেহরাবটি নির্মিত পাথর দিয়ে। এর মোট গম্বুজ সংখ্যা ৮১টি। ওপরে ৭৭টি ও চারকোণে আছে চারটি গম্বুজ। মসজিদটি আজও টিকে আছে এসবসহ নানা শোভা বর্ধনের মাধ্যমে।
ষাট গম্বুজ মসজিদটির আশপাশেও দেখতে পাওয়া যায় প্রচুর মসজিদ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় ৩০০ গজ দক্ষিণ-পূর্বে সুন্দর ঘোনা গ্রামে চার মিনার বিশিষ্ট সিঙরা মসজিদ (বর্গাকারে নির্মিত), ঠাকুরদিঘির পশ্চিম দিকের মাঝখানে খাঁজকাটা মনোহর মেহরাবে নির্মিত নয় গম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলী (রা.)-এর বসতবাড়ি ছেড়ে প্রায় দেড় মাইল দূরে রণবিজয়পুর গ্রামে পোড়ামাটির ফুল, লতাপাতা আর জ্যামিতিক নকশায় সুসজ্জিত এক গম্বুজ ও তিন মিনার বিশিষ্ট রণবিজয়পুর মসজিদ ইত্যাদি। এগুলোর সবই বহন করে চলেছে খান জাহান আলী (রা.)-এর হ্মৃতি। এসব মসজিদে এখনো হাজার হাজার মুসল্লি নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। অবশ্য মাঝে মধ্যে ষাট গম্বুজ মসজিদসহ অন্যান্য মসজিদে চলে সংস্কার কাজ। অনেকে মনে করেন, এসব মসজিদের মত দেশের অন্যান্য ন্সানের মসজিদগুলোরও সংস্কার জরুরি। না হলে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক মসজিদের অস্তিত্ব হয়তো আর থাকবে না, যা ইসলাম ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে বড় বাধা।
তিনি মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবন্সার উন্নয়নের দিকেও নজর দেন। কেননা, এসব মসজিদে যাতায়াতের জন্য রাস্তা, ব্রিজ ইত্যাদির প্রয়োজন। তিনি বহু জলাশয়ও নির্মাণ করেছেন। তার নির্মিত অসংখ্য কীর্তির মধ্যে রয়েছে ঠাকুর দিঘি ও খাঞ্জালির দিঘি। হযরত খান জাহান আলী (রা.) ও তার অনুসারীদের প্রচেষ্টায় এখনো দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ধর্ম দাঁড়িয়ে আছে শক্ত ভিতের ওপর। এখন এসব টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের। কারণ ধর্মীয় বিষয় ছাড়াও ইতিহাস ঐতিহ্যের হ্নার্থেও এসব টিকিয়ে রাখা জরুরি। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সকল শ্রেণীর মানুষকেই এগিয়ে আসা দরকার।
বিপুল সংখ্যক ইসলাম অনুসারীদের নিয়ে যশোর, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ধর্ম প্রচার করেন হযরত খান জাহান আলী (রা.)। তুর্ক-আফগান ন্সাপত্য রীতির অনুসরণে এক অনবদ্য শ্রেষ্ঠ নিদর্শন দক্ষিণ বাংলার নিদর্শন ষাট গম্বুজ মসজিদ। এটি নির্মাণ করেন খান জাহান আলী (রা.) অন্যান্য অনুসারীদের নিয়ে। যশোর, খুলনা প্রভৃতি জায়গা থেকে বাগেরহাটের খান জাহান আলীর মাজার দেখতে যাওয়ার পথেই চোখে পড়ে মসজিদটি। বিশাল এলাকা নিয়ে নির্মিত মুসলমানদের ঐতিহ্যের অন্যতম এ নিদর্শনটি। খান জাহান আলীর মাজার থেকে প্রায় দেড় মাইল উত্তর-পশ্চিমে বিখ্যাত ঘোড়া দিঘির পূর্ব পাড়ে অবন্সিত মসজিদটি। দেশের প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম ও বৃহত্তম বলে জানা যায়।
মসজিদটির চারকোণে দেখতে পাওয়া যায় চারটি সুদৃশ্য মিনার। এজন্য অনেকে এটিকে চার মিনার মসজিদও বলে থাকেন। মিনারগুলো গোলাকার এবং তা নির্মিত দুই ধাপে। এর পূর্ব দিকের দেয়ালে রয়েছে ১১টি দরজা। এগুলো দিয়েই প্রবেশ করা যায় ভেতরে। আর পশ্চিম দেয়ালে চোখে পড়ে ১০টি মেহরাব। প্রধান মেহরাবটি নির্মিত পাথর দিয়ে। এর মোট গম্বুজ সংখ্যা ৮১টি। ওপরে ৭৭টি ও চারকোণে আছে চারটি গম্বুজ। মসজিদটি আজও টিকে আছে এসবসহ নানা শোভা বর্ধনের মাধ্যমে।
ষাট গম্বুজ মসজিদটির আশপাশেও দেখতে পাওয়া যায় প্রচুর মসজিদ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ষাট গম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় ৩০০ গজ দক্ষিণ-পূর্বে সুন্দর ঘোনা গ্রামে চার মিনার বিশিষ্ট সিঙরা মসজিদ (বর্গাকারে নির্মিত), ঠাকুরদিঘির পশ্চিম দিকের মাঝখানে খাঁজকাটা মনোহর মেহরাবে নির্মিত নয় গম্বুজ মসজিদ, খান জাহান আলী (রা.)-এর বসতবাড়ি ছেড়ে প্রায় দেড় মাইল দূরে রণবিজয়পুর গ্রামে পোড়ামাটির ফুল, লতাপাতা আর জ্যামিতিক নকশায় সুসজ্জিত এক গম্বুজ ও তিন মিনার বিশিষ্ট রণবিজয়পুর মসজিদ ইত্যাদি। এগুলোর সবই বহন করে চলেছে খান জাহান আলী (রা.)-এর হ্মৃতি। এসব মসজিদে এখনো হাজার হাজার মুসল্লি নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। অবশ্য মাঝে মধ্যে ষাট গম্বুজ মসজিদসহ অন্যান্য মসজিদে চলে সংস্কার কাজ। অনেকে মনে করেন, এসব মসজিদের মত দেশের অন্যান্য ন্সানের মসজিদগুলোরও সংস্কার জরুরি। না হলে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অনেক মসজিদের অস্তিত্ব হয়তো আর থাকবে না, যা ইসলাম ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে বড় বাধা।
তিনি মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবন্সার উন্নয়নের দিকেও নজর দেন। কেননা, এসব মসজিদে যাতায়াতের জন্য রাস্তা, ব্রিজ ইত্যাদির প্রয়োজন। তিনি বহু জলাশয়ও নির্মাণ করেছেন। তার নির্মিত অসংখ্য কীর্তির মধ্যে রয়েছে ঠাকুর দিঘি ও খাঞ্জালির দিঘি। হযরত খান জাহান আলী (রা.) ও তার অনুসারীদের প্রচেষ্টায় এখনো দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ধর্ম দাঁড়িয়ে আছে শক্ত ভিতের ওপর। এখন এসব টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের। কারণ ধর্মীয় বিষয় ছাড়াও ইতিহাস ঐতিহ্যের হ্নার্থেও এসব টিকিয়ে রাখা জরুরি। এজন্য সরকারের পাশাপাশি সকল শ্রেণীর মানুষকেই এগিয়ে আসা দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৪৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




