শালবন বিহারের ইতিহাসঃ
পূর্বে এই প্রত্নকেন্দ্রটি শালবন ' রাজার বাড়ি' নামে পরিচিত ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ উন্মোচিত হওয়ায় একে শালবন বিহার নামে আখ্যায়িত করা হয়। এর আসল নাম ভবদেব মহাবিহার। খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীর মধ্যভাগ হতে অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগ পর্যন্ত দেব বংশ এই অঞ্চল শাসন করেন এবং চতূর্থ রাজা ভবদেবই এই মহাবিহারের নির্মাতা ছিলেন। বর্গাকার বিহারটির প্রত্যেক বাহুর দৈর্ঘ্য ৫৫০ ফুট । চার বাহুতে সর্বমোট ১১৫ টি সন্ন্যাসকক্ষ , মধ্যভাগে একটি উন্নত মন্দির ও উত্তর বাহুর মধ্যবর্তী স্থানে বিশালাকার তোরন এই বিহারের বিশেষ আকর্ষন।
কেন্দ্রীয় মন্দিরটিতে ৬ টি ও বিহারটিতে ৪ টি নির্মান যুগের প্রমান পাওয়া গিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় যুগের ধ্বংসাবশেষ তৃতীর, চতূর্থ ও পঞ্চম নির্মান যুগের ধ্বংসাবশেষের নিচে ঢাকা পড়েছে। ষষ্ঠ নির্মান যুগের মন্দির উপর হতে অপসারিত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্দিরটি তৃতীয় নির্মান যুগে ক্রুশাকৃতিরূপ পরিগ্রহ করে এবং ঐ সময়েই চতুরদিকসহ বিহার দ্বারা বেষ্টিত হয়ে একাই বিশাল প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়। নিকটবর্তী আনন্দ বিহার ও এর কেন্দ্রীয় মন্দির সম্ভবত এই বিহারের পূর্ব দৃষ্টান্ত।
খননে এই প্রত্নকেন্দ্র হতে বিপুল পরিমান প্রত্বসম্পদ পাওয়া গিয়েছে। যা স্থানীয় জাদুঘরে সঞ্চিত ও প্রদর্শিত আছে। এখানে আবিষ্কৃত প্রত্বসম্পদ ষষ্ঠ শতাব্দী হতে ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রাচীন বঙ্গ সমতটেরই অতীত স্মৃতি বহন করে।
শালবন বিহার
শালবন বিহার
শালবন বিহারের সব ছবিতেই আমি থাকাতে আর দিতে পারিলাম না।
আসুন দেখে নেই জাদুঘরের ভেতরের ছবি।
জাদুঘরের প্রবেশ পথ
প্রবেশ করার পরই এই ছবির অংশটা চোখে পড়বে। এটা মে বি কোন নকশা হবে।
জাদুঘর ঢুকার পর হাতের বাম পাশেই এই মুর্তিটি চোখে পড়বে
মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস
জাদুঘরের ভেতরে কিছু কিছু অংশে একদম অল্প আলো ছিল
ধাতব মুদ্রা
মাটির তৈরি জিনিসপত্র
মাটির তৈরি বিভিন্ন শিল্পকর্ম
মাটির তৈরি বিভিন্ন শিল্পকর্ম
মাটির হাড়িপাতিল
চতূর্ভূজা শ্যামা তারা, অবলোকিতেশ্বর , বরদ মূদ্রায় অবলোকিতেশ্বর
এটা সংস্কৃত ভাষা কিনা জানিনা। সেই সময়ে এভাবেই লেখা হত।
এটা হচ্ছে ঘন্টা। বেশ বড় ঘন্টাটি।
অলংকার
অলংকার
জাদুঘরের ভেতরের অংশ এটা
এর অপর পাশেই শালবন বিহার।
উফ! ছবি আরো অনেক ছিল আপলোড করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
জাদুঘরের ভেতরে সবাই ছবি তুলছিল কেউ কিছুই বলছিলনা। আমি ছবি তোলার পর দেখলাম একটা জায়গায় লেখা ছবি তোলা নিষেধ।
কিন্তু কি আর করা তখনত আমার ছবি তোলা শেষ।
অনেকদিন পর পোস্ট দিলাম। সবাইকেই শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬