somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি তোমার কাছে আসবো বলে তোমাকেই হারালাম

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি যা ভেবেছিলাম। যা বলেছিলাম, যা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তাই করেছিলাম। সব কিছুই স্বার্থপরের মত ছিলো আমার, একচেটিয়া। শুধু নিজের কথা ভাবা। তোমার ভেতরে কি হচ্ছে। তুমি কতটা পুড়ে যাচ্ছো ভাবিনি আমি কোনোদিন। যখন যা ইচ্ছে হয়েছে, খামখেয়ালীপনায় তাই করেছিও আমি। তুমি তার সবই মেনে নিয়েছিলে। কোনোদিন প্রতিবাদ করোনি আমার যে কোনো সিদ্ধান্ততেই। বার বার হারিয়েছি, বার বার ফিরে এসেছিও। তুমি বার বার নির্দ্বিধায় আমাকে টেনে নিয়েছো তোমার বুকের কুঠুরে। একবারও কি ভেবেছো এই হারিয়ে যাওয়া আর বার বার ফিরে আসা এর কারণ কি ছিলো? দ্বিধা দ্বন্দ ভুল বুঝাবুঝির বাইরেও এমন কিছু শান্তি দিচ্ছিলোনা আমাকে কোনোভাবেই, যার কারণে আমি নিজেই স্থিরতায় আসতে পারিনি। আর তাই আমি শেষমেশ তোমাকেই হারিয়ে ফেলতে হয়েছিলো।

একটা ফাটা রেকর্ডের মতো শুধু একি কথা শুনালাম্।
আমি তোমার কাছে আসবো বলে তোমাকেই হারালাম।
শুধু আমার নিজের কথাই ভেবে গেলাম।

অঞ্জন দত্তের এই গান কি আমাদের জন্যই লেখা? আমার তেমনই মনে হয়। তোমার কাছে আসবো বলে তোমাকেই হারালাম। আমি শুধু নিজের কথাই ভেবে গেলাম। আসলেই কি তাই? নিজের কথাই শুধু ভেবেছিলাম আমি? তোমার কথা ভাবিনি একটুও? দ্বিধাদ্বন্দ মান অভিমান, ভুল বুঝাবুঝি। এর মাঝেও সেই আশ্চর্য্য কোমল অদ্ভুত ভালোবাসা। সে মায়াজাল কেটে কি করে গেলাম আমি? আসলেও কি কাটতে পারলাম!


আমি তোমার সাথে অনেক গুলো দিন কাটিয়েছি
তোমার কথা ভেবে তোমার হাতটা ধরে রেখেছি
আমরা কি সত্যি সত্যিই ভালোবেসেছি ?

এই প্রশ্নের কোনো অবকাশ নেই আজ আর। এই যদি সত্যি না হয় তবে মিথ্যে কাকে বলে জানা নেই আমার। এ শুধু সত্যিই না ধ্রুবসত্যি। এ আমাদের ধ্রুব সত্য ভালোবাসা। জনম জনম ধরে অস্পৃষ্যে হাতটা ধরে রেখেছি তোমার। আর অনেকগুলো দিন? দিন, রাত, ঘন্টা প্রহর মাসের পর মাস বছরের পর বছর কারো দিকেই চাইনি আমি। সারা জগত জুড়ে শুধু তখন একটাই মুখ, শুধু একটাই তুমি। শুধু তুমি।


একটা দিন ছিলো একটা দিন একটা বৃষ্টি ভেজা পাহাড়ের মাথায়
ছিলো না ছিলো না লজ্জা ছিলো না কোনো কষ্ট
ছিলো না কিছু হারিয়ে ফেলার ভয়।
একটা রাত ছিলো একটা রাত ছিলো অনিশ্চয়তা হাতে পায়
ছিলো না কোনো আফসোস ছিলো না অপরাধবোধ
ছিলো না সারা শরীরে শংসয়।
সেই পাহাড় আমার হারিয়ে গেলো কোথায়?

শত সহস্র দিন রাত্রী সংশয়বিহীন প্রহর কাটিয়েছিলাম আমরা। সেই বৃষ্টিভেজা পাহাড়ে আমরা ছিলাম অপ্রতিরোধ্য। নীল সাদা স্কুল ড্রেস। বাড়ি ফিরেই এক দৌড়ে তোমার কাছে ছুটে যাওয়া। সেই বৃষ্টি ভেজা পাহাড়ের মাথায়। চিৎকার ডাকে অপেক্ষা শেষে তন্দ্রা ভেঙ্গে উঠে বসা তুমি রাখাল বালক। সারাদিনের গল্প বলে চলা মুখের পরে মুগ্ধ দৃষ্টি মন্ত্র বালক! অনর্গল কথার ফাঁকে একটু আধটু হু হা। সবুজ ঘাসের বিছানায় একসাথে আকাশ দেখা। সেই আকাশ আমাদের কোথায় হারালো?



এখন টেবিল ল্যাম্পের আলো এখন আমাদের সেলফোন
ঘুরে ফিরে একি এসএমএস স্বান্তনাও তেমন।
এটাই তোমার”আমাদের জীবন।”

হ্যাঁ এটাই জীবন। হারিয়ে ফেলা জীবনের একটুখানি ছায়া। একটুখানি সান্তনা। এটাই জীবন এটাই এখন আমাদের জীবন।


ধরো আমি চলে যাবো শুধু হাতে রয়েছে একটা রাত
সেই একটা রাতের বদলে খুঁজে পাবো সেই আমাদের পাহাড়
সেই একটা রাতের জন্য আবার।

সেই পাহাড়টা খুঁজে পেতে সেই একটা রাত আসলেই বড় দরকার আমার। হোক সেটা জীবনের শেষ দিন। তবুও শেষবারের মত হলেও
পাহাড়টাকে দেখতে চাই আমি আবারও একটাবার। সেই একটা রাতের জন্য আবার। সেই একটা রাতের বদলে নিশ্চয়ই খুঁজে পাবো আমাদের সেই পাহাড়।

সেই একটা রাতের বদলে আমি কি আমাদের ফিরে পাবো ?
সেই একটা রাতের পর সারা জীবন একা কাটাবো?
সেই একটা রাতের পর

বাঁচবো…….?

অনেক গুলি প্রশ্ন বয়ে চলে বুকের গভীরে। সান্তনা খুঁজে ফেরে। উত্তর জানা নেই। তবুও মনে হয় এই একটা রাতের বড় দরকার আমার। তারপর মৃত্যু বা বেঁচে থাকা কোনোটাতেই আপত্তি নেই আর ......
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৪২
৮টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×